
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে: এনসিপি

মতভিন্নতা নিয়ে শিগগিরই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা :আলী রীয়াজ

‘ইউনূসের রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে একদিনে আওয়ামী লীগের ৩৯ মিছিলে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ

ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে-কুপিয়ে গুরুতর জখম

মতিঝিল-গুলিস্তান এলাকা জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত

ঢাকায় ‘ইউনূসবিরোধী’ বিক্ষোভ মিছিল করায় আওয়ামী লীগের ১১ কর্মী আটক

রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আসাদগেট থেকে ধানমণ্ডি ৩২ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ মিছিল
অন্তর্বর্তী সরকার অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। নির্বাচনের কথা বললেই তাদের রাগ হয়।
তিনি বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন তা প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি যদি ব্যবস্থা না নেন তবে তিনি সম্মানী মানুষ সম্মান বজায় থাকবে কিনা তাতে সন্দিহান।
সোমবার বিকালে সিলেটের শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিভাগের চার জেলার বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগের কার্যক্রম উদ্বোধন করতে সোমবার দুপুরে সিলেটে যান বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন অনুষ্ঠানস্থলে।
সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক জিকে গউছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারানের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক, আরিফুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এম নাসের রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে যাতে কোনো ফ্যাসিবাদ তৈরি হতে না পারে সেজন্য অনেক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বসেছি, কাজ করছি। তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ সংস্কারের জন্য সহায়তা চাই। কিন্তু এসব সংস্কারের জন্য কী নির্বাচিত সরকারের বিকল্প আছে? এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আমরা এই কথা বললে
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নারাজ হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দাবি করবে না কি দাবি করবে- বর্তমান সভ্য বিশ্বে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া আর কি আছে- এমন প্রশ্নও করেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেই নির্বাচনের কথা বললে তারা গোস্সা হয়। কোনো কোনো উপদেষ্টা আছেন বিশেষ করে একজন মহিলা উপদেষ্টা আমি নাম বলতে চাই না। তিনি বলেছেন- তারা নাকি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। যদি তারা এভাবে নির্বাচিত হন তবে নির্বাচন ব্যবস্থা আছে কেন? নির্বাচন কমিশন বা ভোটার তালিকার দরকার কি। যারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম করছেন তারা কি করবেন? বিএনপির এই নেতা বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ
কেউ স্বপ্ন দেখছেন অনির্বাচিতভাবে অনির্দিষ্টকালীন যতদিন মন চায় ততদিন ক্ষমতা ভোগ করবেন। তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি এখনো করব। আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তাতে আপনার সম্মান রক্ষা হবে, দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে এবং দেশে একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার যে কয়জন উপদেষ্টা চক্রান্ত করছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে তাদের সম্পর্কে আপনাকে আমরা জানিয়েছি। আপনি সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিন যাতে দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। আপনি সবার সম্মানিত ব্যক্তি আশাকরি আপনি সেই ব্যবস্থা নেবেন যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি
না হয়। অন্যথায় আপনার সম্মান রক্ষা হবে কিনা আমরা সন্দিহান। সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকার রাজপথে জনগণ কয়েক দিন ধরে নগরভবন তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাদের দাবি আদালতের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। তাকে আপনারা শপথ পাঠ করাবেন না, বিভিন্ন টালবাহানা করছেন। তাহলে কি এটা আইনের শাসন হলো? তাহলে আমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, অল্পবয়স্ক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মনে করছেন তারা আইনের শাসন মানবেন না। কোর্টের আদেশ মানবেন না, নির্বাচন কমিশনের গেজেট মানবেন না। তাহলে গণতন্ত্রের বিপরীতে আপনাদের যাত্রা হলো। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ
বলেন, আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগিতা করেছি; সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; কিন্তু তার মানে এই না আমরা দাসখত দিয়েছি আপনাকে, যা বলবেন তাই করার জন্য। এ সময় সোমবার রাতে অথবা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করানোর আহ্বান জানান। অন্যথায় এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বক্তব্য শেষে নতুন সদস্যদের ফরম সংগ্রহ ও পুরাতন সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সম্পাদক জিকে গউছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জাতীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারানের উপদেষ্টা ড. মো. এনামুল হক, আরিফুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এম নাসের রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে যাতে কোনো ফ্যাসিবাদ তৈরি হতে না পারে সেজন্য অনেক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যে সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বসেছি, কাজ করছি। তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ সংস্কারের জন্য সহায়তা চাই। কিন্তু এসব সংস্কারের জন্য কী নির্বাচিত সরকারের বিকল্প আছে? এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আমরা এই কথা বললে
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নারাজ হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দাবি করবে না কি দাবি করবে- বর্তমান সভ্য বিশ্বে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া আর কি আছে- এমন প্রশ্নও করেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেই নির্বাচনের কথা বললে তারা গোস্সা হয়। কোনো কোনো উপদেষ্টা আছেন বিশেষ করে একজন মহিলা উপদেষ্টা আমি নাম বলতে চাই না। তিনি বলেছেন- তারা নাকি জনগণ দ্বারা নির্বাচিত, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। যদি তারা এভাবে নির্বাচিত হন তবে নির্বাচন ব্যবস্থা আছে কেন? নির্বাচন কমিশন বা ভোটার তালিকার দরকার কি। যারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সংগ্রাম করছেন তারা কি করবেন? বিএনপির এই নেতা বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ
কেউ স্বপ্ন দেখছেন অনির্বাচিতভাবে অনির্দিষ্টকালীন যতদিন মন চায় ততদিন ক্ষমতা ভোগ করবেন। তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি এখনো করব। আপনি যত দ্রুত সম্ভব ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তাতে আপনার সম্মান রক্ষা হবে, দেশের মানুষ আশ্বস্ত হবে এবং দেশে একটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার যে কয়জন উপদেষ্টা চক্রান্ত করছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে তাদের সম্পর্কে আপনাকে আমরা জানিয়েছি। আপনি সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নিন যাতে দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। আপনি সবার সম্মানিত ব্যক্তি আশাকরি আপনি সেই ব্যবস্থা নেবেন যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি
না হয়। অন্যথায় আপনার সম্মান রক্ষা হবে কিনা আমরা সন্দিহান। সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঢাকার রাজপথে জনগণ কয়েক দিন ধরে নগরভবন তালাবদ্ধ করে রেখেছে। তাদের দাবি আদালতের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। তাকে আপনারা শপথ পাঠ করাবেন না, বিভিন্ন টালবাহানা করছেন। তাহলে কি এটা আইনের শাসন হলো? তাহলে আমরা কিসের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি বলেন, অল্পবয়স্ক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মনে করছেন তারা আইনের শাসন মানবেন না। কোর্টের আদেশ মানবেন না, নির্বাচন কমিশনের গেজেট মানবেন না। তাহলে গণতন্ত্রের বিপরীতে আপনাদের যাত্রা হলো। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ
বলেন, আমরা সব সময় আপনাদের সহযোগিতা করেছি; সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; কিন্তু তার মানে এই না আমরা দাসখত দিয়েছি আপনাকে, যা বলবেন তাই করার জন্য। এ সময় সোমবার রাতে অথবা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গেজেট অনুযায়ী ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করানোর আহ্বান জানান। অন্যথায় এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বক্তব্য শেষে নতুন সদস্যদের ফরম সংগ্রহ ও পুরাতন সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।