
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নিউইয়র্কে হামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি আছে : নাহিদ ইসলাম

ঠিকাদারদের অর্থে টয়লেট প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তাদের চীন ভ্রমণ, চলছে ভ্রমণ বিভিন্ন দেশে

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে আরসা-আরাকান আর্মির তীব্র সংঘর্ষ, গোলাগুলি

রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল

ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার

বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ সময় কখন শুরু

১৩ মাসেও শেষ হয়নি শেখ হাসিনার চালের মজুদ: বস্তা দেখে বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন ইউএনও
অনলাইন জুয়ায় সর্বস্বান্ত মানুষ, বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণরা এ জুয়ায় বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে। জুয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকে। এ কারণে বেড়েছে পারিবারিক অশান্তি ও দাম্পত্য কলহ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহজে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের অসংখ্য মানুষ জুয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এ খেলা শুরুর পরই নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। বিভিন্ন নামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি জুয়া খেলা হয়।
এসব অ্যাপসের অধিকাংশই পরিচালনা করা হয় রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে।
বাংলাদেশে এগুলোর এজেন্ট রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাচার হয়। ফরিদগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে ৩৬ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ হাজার টাকা পাই। ফলে লোভে পড়ে এ খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছি। গত ছয় মাসে এ জুয়ার নেশায় পড়ে বাবার দেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশাচালক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের জুয়ায় জিতিয়ে লোভে ফেলা হয়। এরপর নেশা ধরে গেলে একের পর এক টাকা খোয়ানোর ঘটনা ঘটতে থাকে। তখন আর বের হওয়ার পথ থাকে না। অনলাইন এ জুয়ার কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। উপজেলার রূপসা
উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কলহ দেখা দেওয়ার একপর্যায়ে আমাদের পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা সচেতনতা চালালে অনলাইন জুয়া কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে এগুলোর এজেন্ট রয়েছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ বা প্রদান করে থাকে। এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে টাকা পাচার হয়। ফরিদগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে ৩৬ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ হাজার টাকা পাই। ফলে লোভে পড়ে এ খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছি। গত ছয় মাসে এ জুয়ার নেশায় পড়ে বাবার দেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশাচালক বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের জুয়ায় জিতিয়ে লোভে ফেলা হয়। এরপর নেশা ধরে গেলে একের পর এক টাকা খোয়ানোর ঘটনা ঘটতে থাকে। তখন আর বের হওয়ার পথ থাকে না। অনলাইন এ জুয়ার কারণে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। উপজেলার রূপসা
উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, আমার স্বামী অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কলহ দেখা দেওয়ার একপর্যায়ে আমাদের পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা সচেতনতা চালালে অনলাইন জুয়া কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।