‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:১০ 31 ভিউ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রোববার (১৩ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হওয়া মাত্রই ট্রাইব্যুনাল ফাংশনাল হবে। এরপর আমরা নেসেসারি কিছু অর্ডারস চাইব। এ বিচার শুরুর আগে যেগুলো দরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা, অনেক রকমের তথ্য-উপাত্ত এগুলো সিজ করার জন্য অর্ডার লাগবে। তাদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য লাগবে। সে ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আদেশ আসবে। ইমপ্লিম্যান্ট করার দায়িত্ব কিন্তু ট্রাইব্যুনালের হাতে না, এর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। তিনি

বলেন, মূলত যাদের নির্দেশে ও যাদের কারণে এই গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, তাদের বিষয়গুলো যারা টপ কমান্ডারস... তাদের আমরা প্রায়োরিটির তালিকায় শুরুতে নিয়ে এসেছি। আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হবে। কোনো অপরাধী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে থাকলে, ইন্টারপোলের সিস্টেমের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ ইন্টারপোলে রেড নোটিশ পাঠাতে পারে। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত

গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন

করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কাশিমপুর কারগারে আরেকটি ‘৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড’ ঘটার শঙ্কা! লাস ভেগাসে ট্রাম্পের হোটেলের সামনে টেসলার সাইবার ট্রাক বিস্ফোরণ: চালক নিহত, ৭ জন আহত নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সামনে কি আরেকটি চুয়াত্তর? শিশুদের পাঠ্যবই ডাউনলোড করে পড়তে বললেন ডিডি গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা, ১ মে থেকে কার্যকর একাত্তরে ভূমিকা নিয়ে জামায়াতকে ধুয়ে দিলেন রিজভী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪০ ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের ইতিহাস বিপিএলের টিকিট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে এবার ভাঙচুর, আগুন পাঁচ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র মানবাধিকার প্রতিবেদনে রাবিতে পোষ্য কোটা বিতর্কে মুখোমুখি দু’পক্ষ ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে যা জানালো মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ : ইউক্রেন ও ইউরোপের নতুন বাস্তবতা চীনে বিশাল ছাড়ে আইফোন বিক্রির ঘোষণা রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ ছবির লুক নিয়ে তোলপাড় ‘স্কুইড গেম ২’খ্যাত অভিনেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি : ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু, উদ্ধার ৮৩ জন এলপি ও অটোগ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ