রপ্তানি খাতে ইডিএফ সংকট – ইউ এস বাংলা নিউজ




রপ্তানি খাতে ইডিএফ সংকট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:০৮ 58 ভিউ
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ কমিয়ে দেওয়ায় বড় অঙ্কের এলসি খুলতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। একদিকে ডলার সংকটের কারণে উদ্যোক্তারা নতুন এলসি খুলতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলারের জোগান পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ইডিএফ থেকেও ব্যাংকগুলোর নতুন ঋণের জোগান চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রপ্তানি খাতে বড় অঙ্কের এলসি খুলতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ডলারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে কাঁচামাল আমদানিতে বিলম্ব ঘটছে। সংশ্লিষ্ট এলসির বিপরীতে রপ্তানিতেও দেরি হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানি খাতে। জানা গেছে, করোনার সময় রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলার করা হয়। একইসঙ্গে সুদের হার কমিয়ে

২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে রপ্তানিকারকরা এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে সহজে এবং কম সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের জোগান পেতেন। ফলে দ্রুত এলসি খুলে কম সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি করে রপ্তানি করতে পারতেন। কিন্তু গত বছরের গোড়ার দিকে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির সময় তারা রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করার শর্ত আরোপ করে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফ তহবিলের আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নেয়। একদিকে সুদের হার বৃদ্ধি, অন্যদিকে তহবিল থেকে ঋণের জোগান কমিয়ে দেওয়ায় রপ্তানিকারকদের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলার প্রাপ্তিতেও সমস্যা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই

রপ্তানি খাত নিরুৎসাহিত হয় এমন সিদ্ধান্ত কাঙ্ক্ষিত নয়। আগে ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে ডলারের জোগান দিয়ে দ্রুত এলসি খুলত; পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে সমপরিমাণ ডলার ঋণ হিসাবে নিয়ে নিত। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এ নিয়ম থেকে সরে আসে ব্যাংকগুলো। নির্ভরশীলতা বাড়ে ইডিএফ তহবিলের ওপর। কিন্তু তহবিল ছোট করে ফেলায় রপ্তানিকারকদের জন্য সংকট আরও বেড়েছে। এক্ষেত্রে ঋণের সুদ বৃদ্ধি কিংবা তহবিল হ্রাস নয়, বরং রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের মতো যেসব অপচেষ্টা ডলার সংকটের জন্য দায়ী, তা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ হ্রাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে, এটাই

প্রত্যাশা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ঘরের মেয়ে ঘরে ফেরার মতো আনন্দ পাচ্ছি: নুসরাত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ২ শতাধিক লাশ উদ্ধার যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু, ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের ৯ হাজার বই জব্দ, আটক ১ লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের দাবানলের হানা, দ্রুত ছড়াচ্ছে আগুন পৃথিবী ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে! নতুন বার্তা দিলো বিজ্ঞানীরা ভারতের উদ্দেশ্যে বড়সড় ‘হুমকি’ দিলেন ট্রাম্প! ফের বিমানবন্দরে হুমকির বার্তা, নিরাপত্তা জোরদার রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে দ্রুত আলোচনা চায় বিএনপি তাড়াতাড়ি বুড়ো হতে না চাইলে, নিয়মিত যে ৮ টি খাবার খাবেন ১৮ কোটি মানুষের সাহস আছে সীমান্তে, ভয় পাওয়ার প্রশ্নই আসে না এআই সহায়তা দিয়ে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর পাশে গুগল জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি হয়ে ডানে যাওয়া বন্ধ আলেমদের তত্ত্বাবধানে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা ইলন মাস্ক আমাদের আইনস্টাইন ফোনালাপে কি কথা হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজের? ব্যাংক অব আমেরিকার সিইও-কে নিয়ে সমালোচনা ট্রাম্পের ফেডারেল সহায়তার পরিবর্তে রাজ্যগুলোকেই সমস্যার সমাধান করতে বললেন ট্রাম্প চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: কবে আসছে পাকিস্তানের চূড়ান্ত স্কোয়াড? দাভোসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভাষণ দিতে পারেন ট্রাম্প