দখলদার ইসরায়েলের সেই পুরোনো খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী – ইউ এস বাংলা নিউজ




দখলদার ইসরায়েলের সেই পুরোনো খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:০৯ 111 ভিউ
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সীমানাবৃদ্ধির রূপরেখা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জর্ডান নদীর ওপারের ভূমি ইসরায়েল দখল করে নেবে। সাম্প্রতিক একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি ওই মন্তব্য করেন। যদিও এই প্রত্যাশা ইহুদি জনগণের বেশ পুরোনো। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ‘গ্রেটার ইসরায়েলের’ স্বপ্ন দেখেন। সে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের সীমানা হবে জর্ডান নদীর ওপার পর্যন্ত প্রসারিত। অল্প অল্প করে তা দখল করে ইসরায়েল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। অতি-ডানপন্থী এ মন্ত্রী আরও দাবি করেন, জেরুজালেম শেষ পর্যন্ত সিরিয়ার দামেস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এর ব্যাখ্যায় তিনি ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যেখানে বৃহত্তর ইসরায়েল আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কথা বলা হয়েছে। সেই ভূমিতে

একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। স্মোট্রিচের মন্তব্যটি তার আগের মনোভাবই প্রকাশ করে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ফিলিস্তিন শহরকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা উচিত। বৃহত্তর ইসরায়েল ধারণাটি ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে। সেই ধারণা মতে উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলি নেতারা ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও জর্ডানের কিছু অংশ দখলের চেষ্টারত। যদিও ধর্মে ইহুদি রাষ্ট্রটির সঠিক সীমানা অনির্ধারিত; তবুও ইসরায়েলিরা ধারণাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। মন্ত্রীর ওই মন্তব্য তারই একটি সুচিন্তিত চিত্রায়ন। জর্দান নদী মধ্যপ্রাচ্যে শরিয়ত নদী নামেও পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্যের ২৫১-কিলোমিটার দীর্ঘ (১৫৬ মা) নদীটি গালীল সাগরের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বয়ে চলে মৃত সাগরে গিয়ে পতিত হয়। নদীটির পূর্ব সীমান্তে

রয়েছে জর্ডান ও গোলান মালভূমি এবং পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল। জর্ডান ও পশ্চিম তীর উভয়ই নদীটির কাছ থেকে তাদের নাম গ্রহণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নদীটি ইহুদিধর্ম ও খ্রিস্টধর্মে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নদী ঘিরেই ইহুদিদের ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কাহিনি প্রাচীনকাল থেকে আবর্তিত। ইহুদি ছাড়াও অনেক ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন ইহুদিরা একদিন তাদের প্রতিশ্রুত ভূমির দখল নেবে। যদি তাই হয় তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্বাধীন দেশের বিলুপ্তি ঘটবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফোনের ছবি নিরাপদ রাখবেন যেভাবে ‘সতর্ক’ সরকারের উচ্চ সুদে দেড় বিলিয়ন ডলারের ঋণ দাবি না মানলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কারখানার আগুন কবিরহাটে বিএনপি জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ পাকিস্তানের হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, সিরিজ খেলবে না আফগানিস্তান মক্কা নগরী ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সৌদির দোহায় বসছে পাকিস্তান-তালেবান বৈঠক, মধ্যস্থতায় কাতার ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলই চিনতাম না: জয়া আহসান গাজায় মালয়েশিয়ার মানবিক সহায়তা রাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের একমাত্র বিজয়ী কে এই নার্গিস মিম্বারে বসেই ছিঁড়ে ফেললেন সেই খতিব ফের ইতিহাস গড়ল স্বর্ণের দাম, দেশে ভরি কত শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় টাকা দেওয়ার কথা বলে আমবাগানে নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ ৫০ টাকার লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণচেষ্টা পাকিস্তানের সেনা অভিযানে আফগান সীমান্তে ১৮ ‘জঙ্গি’ নিহত ব্রিকসের ব্যাংকে সদস্যপদ পেতে চীনের সমর্থন চায় পাকিস্তান