ট্রাম্পের চেষ্টায়ও থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ, পুতিন আসলে কী চান – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
     ১১:৩৩ অপরাহ্ণ

আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রের ‘গাজা পরিকল্পনা’র মধ্যেই জাতিসংঘে রাশিয়ার পাল্টা প্রস্তাব

নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের

দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী

দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের

যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ

পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু

ট্রাম্পের চেষ্টায়ও থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ, পুতিন আসলে কী চান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ১১:৩৩ 18 ভিউ
ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দ্রুত উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে ক্রেমলিন পরীক্ষা করেছে তাদের নতুন পারমাণবিক শক্তি চালিত বুরেভেস্টনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং পোসাইডন আন্ডারওয়াটার ড্রোন। উভয় দেশই বলেছে, তারা পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করতে পারে। উভয় দেশ যে কেবল হুমকি দিচ্ছে এমন না, বরং স্থলভাগেও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। বছরের শুরুতে সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা থাকলেও এখন পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছিলেন ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ ও ‘ভ্লাদিমিরের সঙ্গে শান্তি স্থাপন’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু যুদ্ধ এখনো অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া শান্তি প্রস্তাবের বদলে হুমকি দেওয়া

চালিয়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কূটনীতিতে ট্রাম্পের বাজি এখনো কেন কাজ করেনি? ভালো কথা হয়, কিন্তু এগোয় না ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকে কিছুটা অগ্রগতির আংশিক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর প্রথমবার ওয়াশিংটন ও মস্কো সরাসরি আলোচনা করে। দুই প্রেসিডেন্ট নিয়মিত ফোনে কথা বলেন এবং গত আগস্টে আলাস্কায় বৈঠক করেন। এ মুহূর্তে উভয় পক্ষের একমাত্র সাফল্য হলো যে সংলাপ অন্তত চলছে। গত আগস্টে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে পুতিন ও ট্রাম্প কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হন গত আগস্টে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকে পুতিন ও ট্রাম্প কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের ইউরোপ ও রাশিয়াবিষয়ক সাবেক

সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু পিক বলেন, ‘আমরা অন্তত শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছি—এটাই বড় অগ্রগতি’। তিনি বলেন, ‘অবস্থান তুলে ধরা, মত বিনিময় করা, এটাই কূটনীতির ভিত্তি।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ওভাল অফিসে গণমাধ্যমের সামনে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন' ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ওভাল অফিসে গণমাধ্যমের সামনে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা: 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন' বিশেষ দূত উইটকফ! ট্রাম্প ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপরই বেশি ভরসা করেছেন। তিনি তার পুরোনো নিউইয়র্ক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়িক ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্টিভ উইটকফকে বিশেষ দূত হিসেবে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য বেশ কয়েকবার পাঠিয়েছেন। প্রতিটি সফরের পর দুই পক্ষই জানায়, তারা সমঝোতার কাছাকাছি চলে এসেছেন। কিন্তু পররাষ্ট্র নিয়ে যারা কাজ করেন;

সেসব মহলে উইটকফের কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে সন্দেহ আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউরোপের দুই কূটনীতিক বিবিসিকে জানান, উইটকফ প্রায়ই পুতিন ছাড় দেবেন- এমন ভুল ধারণা ধরে নিয়ে মস্কো যেতেন। কিন্তু পরে হোয়াইট হাউস দেখতো বাস্তবতা তার উল্টো। স্টিভ উইটকফ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, অক্টোবর মাসে তেল আবিবে 'হোস্টেজ স্কয়ার'-এ একটি সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন স্টিভ উইটকফ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত, অক্টোবর মাসে তেল আবিবে 'হোস্টেজ স্কয়ার'-এ একটি সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন রাশিয়ার একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, উইটকফ রাশিয়ার অবস্থানের সূক্ষ্মতা বুঝতে পারতেন না এবং ক্রেমলিনকে মার্কিন নীতি ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রেও অসংগত ছিলেন। ফলে উভয় পক্ষই প্রায়ই বিপরীত উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলছিল। এ বিভ্রাট আলাস্কার পুতিন-ট্রাম্প

বৈঠকে সবার সামনেই প্রকাশ পায়। সম্মেলন হঠাৎ সংক্ষিপ্ত করা হয়, কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই। পরে ট্রাম্প এবং পুতিন যখন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। তখন তারা যুদ্ধ শেষের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের ঘোষণা দেননি। পুতিনের দিক থেকে ন্যূনতম প্রতিশ্রুতিও না পাওয়া ট্রাম্পকে বৈঠকের আয়োজক হিসেবে কঠিন অবস্থায় ফেলে। পর্দার আড়ালে কী হয়েছে- তা দুই পক্ষই স্পষ্ট করেনি; ফলে সাংবাদিকরা গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেন। ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও বাণিজ্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। পুতিন তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন এবং ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ ও পুরো দনবাসের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেন। এবং একটি ‘ঐতিহাসিক বক্তৃতা’ দেন, যা ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ

করে। আলাস্কায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন পুতিন ও ট্রাম্প। কিন্তু কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হন উভয় নেতা আলাস্কায় বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন পুতিন ও ট্রাম্প। কিন্তু কোনো কূটনৈতিক অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হন উভয় নেতা ইউরোপের এক কূটনীতিক বিবিসিকে বলেন, আমেরিকানরা আলাস্কায় অগ্রগতির ঘাটতি দেখে সত্যিই হতাশ হয়েছিল। আরেকজন বলেন, তারা ভুল বুঝেছিল রাশিয়ার জন্য যুদ্ধ আসলে কী অর্থ বহন করে। বাইডেন প্রশাসনের সময়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক রাশিয়া উপদেষ্টা এরিক গ্রিন বলেন, সম্ভাব্য ছাড় ও বিনিময় নিয়ে অনেক ভুল বোঝাবুঝি ছিল। অঞ্চল ছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয় ছিল। আর ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু মানুষ বুঝতে পারেনি পুতিন ‘যুদ্ধের মূল

কারণ’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন। ট্রাম্প নিজেও হতাশ হয়েছিলেন। প্রতিবার ভ্লাদিমিরের সঙ্গে আলোচনা করি, ভালো কথা হয়। কিন্তু কিছুই এগোয় না’—অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় তিনি বলেন। পুতিন আসলে কী চান? মস্কোতে রাশিয়ার সরকারি অবস্থান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে খুব একটা বদলায়নি। যুদ্ধ শেষের পুতিনের শর্তগুলো হলো- পাঁচটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতি; ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান; ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী কমানো; রুশ ভাষার সাংবিধানিক সুরক্ষা ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। রাশিয়া বলছে, একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক চুক্তির পরই যুদ্ধ থামবে। ওয়াশিংটন ও কিয়েভের কাছে এটি অগ্রহণযোগ্য। তাদের মতে, আগে যুদ্ধবিরতি হতে হবে। অ্যান্ড্রু পিক বলেন, অগ্রগতি করতে হলে তিন বিষয়ে সমঝোতা জরুরি— ভূখণ্ড, ইউক্রেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মতে, এসব বিষয়গুলোর কোনোটিতেই প্রায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্প শুরুতে ভূখণ্ডের বিষয়ে আপোষের ক্ষেত্রে নমনীয় ছিলেন। এপ্রিলেই তিনি বলেন, ক্রিমিয়া রাশিয়ার মতোই থাকবে। এবং তার দল ২০১৪ সালে এ অঞ্চলের অধিগ্রহণের স্বীকৃতির সম্ভাবনাও পরখ করেছিল বলে মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ আছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ করা রুশ সৈন্যরা মস্কোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির ওপর বিজয়ের বার্ষিকী উপলক্ষে সামরিক প্যারেডের প্রস্তুতিতে অংশ নিচ্ছেন ইউক্রেনে যুদ্ধ করা রুশ সৈন্যরা মস্কোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির ওপর বিজয়ের বার্ষিকী উপলক্ষে সামরিক প্যারেডের প্রস্তুতিতে অংশ নিচ্ছেন অক্টোবরে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকেও ট্রাম্প ‘অঞ্চল বিনিময়’ প্রস্তাব তোলেন বলে রয়টার্স জানায়। ওই সময় রাশিয়াও কিছুটা নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছিল। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের বর্তমান ফ্রন্টলাইন ধরে মস্কো হয়তো সমঝোতা করতে পারে। তবে তিনি এটাও বলেন, রাশিয়া এখনো খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়। যেখানে তারা আংশিক হামলা করেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, চলমান আলোচনার মধ্যে ভূখণ্ড সংক্রান্ত বিষয়সহ কোনো বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করবে না। কিন্তু কূটনীতিকরা জোর দিয়ে বলেন যে, ইউক্রেনের ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জটিল বিষয় নয়। ইউরোপের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক মানসিকতায় ‘রিয়েল এস্টেট ডিল’ চেয়েছিলেন। কিন্তু পুতিনের কাছে বিষয়টি শুধু ভূখণ্ডের বিষয় নয়—এটা ইউক্রেনের ওপর সার্বভৌমত্বের বিষয়। দনবাসে দখল করা রুশ ট্যাংক ব্যবহার করে মর্টার ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা দনবাসে দখল করা রুশ ট্যাংক ব্যবহার করে মর্টার ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা অর্থাৎ, কিয়েভের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও সামরিক সক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ। মস্কো যথাযথ ‘নিরপেক্ষতা’ এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপক হ্রাস চায়। অন্যদিকে কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছ থেকে পোক্ত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দাবি করে। পিক বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় রাশিয়া একেবারেই নমনীয় না, ২০২২ সালেও, এখনো। এখানে ব্যবধান ভূখণ্ডের প্রশ্নের চেয়ে অনেক বড়। সমঝোতার ব্যর্থ চেষ্টা এই শরতে বুদাপেস্টে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা অচলাবস্থাকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফোনালাপের পর ট্রাম্প ও পুতিন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে প্রস্তুতির দায়িত্ব দেন। তারা একবার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কোনো বৈঠক হয়নি। ব্লুমবার্গ জানায়, রুবিও বুঝতে পারছেন, মস্কোর অবস্থান বদলায়নি। ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, রাশিয়া আবারও তাদের বিশাল দাবিগুলো পুনরাবৃত্তি করে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছে- যা মার্কিন কর্মকর্তাদের আরও হতাশ করেছে। গত ১২ নভেম্বর রুবিও বলেন, ‘আমরা কেবল বৈঠকের জন্য বৈঠক চালিয়ে যেতে পারি না।’ পরদিন ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া আলোচনায় অনিচ্ছুক—এই অভিযোগ ‘স্পষ্ট মিথ্যা’। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আরেকটি মুখোমুখি বৈঠকের বিষয়ে দুই দেশ এখনো একমত হয়নি (ছবি- ১৫ই অগাস্ট ২০২৫) রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আরেকটি মুখোমুখি বৈঠকের বিষয়ে দুই দেশ এখনো একমত হয়নি (ছবি- ১৫ই অগাস্ট ২০২৫) ল্যাভরভ বলেন, মস্কো দ্বিতীয় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের জন্য প্রস্তুত, যদি তা ‘আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনের সুপরিকল্পিত ফলাফলের’ উপর ভিত্তি করে হয়। এদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা ট্রাম্পের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে বেশ জোরেশোরেই চেষ্টা চালিয়েছে। শুরুতে ট্রাম্প সরাসরি পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছিলেন কিয়েভকে পাশ কাটিয়ে, যা ইউক্রেন ও ইউরোপকে উদ্বিগ্ন করে। এরপর ট্রাম্প ইউক্রেন বিষয়ে স্বর নরম করেন। রাশিয়ার বিপরীতে, ইউক্রেন ওয়াশিংটনের সঙ্গে নমনীয় থেকেছে। যুদ্ধবিরতি ও মস্কোর সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার মার্কিন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। কিয়েভ এবং তার মিত্রদের জন্য লক্ষ্য ছিল সহজ- ট্রাম্পকে বোঝানো যে, পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ ইউরোপীয় এবং মার্কিন নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক বিবিসিকে বলেছেন, আমরা জানতাম যে, তিনি অবশেষে বুঝতে পারবেন রাশিয়া সৎ বিশ্বাসে আলোচনা করছে না। আমাদের কাজ ছিল সময় কেনা- এবং এটি কাজ করেছে।’ রুবিও সাংবাদিকদের বলেন যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় জুলাইয়ের বৈঠকে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির অভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা তুলে ধরেছেন। রুবিও সাংবাদিকদের বলেন যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় জুলাইয়ের বৈঠকে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতির অভাবে যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা তুলে ধরেছেন। মস্কো অবশ্য ইউরোপকে দোষারোপ করছে। ল্যাভরভ বলেন, ইউরোপীয়রা ঘুমোচ্ছে না, তারা এই প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছে। আলাস্কা সামিটের তিন মাস পরও ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউস কোনো সমঝোতার কাছাকাছি নেই। অক্টোবরে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে প্রথম বড় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়, রাশিয়ার বৃহৎ তেল কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করে। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বিবিসি পার্টনার সিবিএসকে বলেন, আমরা যা করছি, সবই পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনবে। পুতিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর’ বলে মন্তব্য করেন। তবে তিনি বলেন, রাশিয়া ‘চাপের মুখে নীতি বদলাবে না।’ কিছুদিন পরই মস্কো একটি পারমাণবিক সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, যা ইঙ্গিত দেয় আলোচনা নয়, বরং নতুন করে শক্তির প্রদর্শন চলছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নতুন চুল গজাতে যেভাবে আলুর রস ব্যবহার করবেন ছাত্রের ‘যৌন নিপীড়নের’ মামলায় ঢাবি শিক্ষক কারাগারে বাল্যবন্ধুকে ঘিরেই সন্দেহ, গ্রেপ্তার জরেজ ও এক নারী ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক বাবা ট্রাম্পের চেষ্টায়ও থামছে না ইউক্রেন যুদ্ধ, পুতিন আসলে কী চান যুক্তরাষ্ট্রের ‘গাজা পরিকল্পনা’র মধ্যেই জাতিসংঘে রাশিয়ার পাল্টা প্রস্তাব খাসজমির দ্বন্দ্ব গড়াল সংঘর্ষে, আহত ৩৫ দুই যুগে ডায়াবেটিক রোগী ৮ গুণ পদক জিতে ১০ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন হিমু-বন্যা-কুলসুম নগদে প্লে প্রোটেক্টের সতর্কবার্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই ছাত্রলীগের ডাক: অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত, লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা রাজপথে নেই আওয়ামী লীগ, তবুও ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সমর্থন আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে মেট্রো রেলে সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি এবার হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে সাক্ষাৎকার দিলেন শেখ হাসিনা তুর্কি লবি–জামায়াতের ভরসায় লীগ থেকে ভোল পাল্টে জামায়াতে, তবুও শেষ রক্ষা হয়নি জাহেদীর পুঁজিবাজারে ফের বড় দরপতন, লেনদেন নেমেছে ৩০০ কোটির নিচে মায়ের রক্ত ঝরিয়ে ছেলেকে গ্রেফতার, নাটোরে প্রতিবাদের ঝড় দিল্লীতে বিস্ফোরণ: তদন্তে বাংলাদেশি সংযোগের ইঙ্গিত ভারতের রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে