ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দুই যুগে ডায়াবেটিক রোগী ৮ গুণ
দেশে কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত দুই যুগে ডায়াবেটিক রোগী হয়েছে প্রায় আট গুণ। ২০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনই কোনো না কোনোভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, অর্থাৎ কর্মক্ষম ৭০ শতাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইইএফ) চলতি বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও মানসিক চাপ ডায়াবেটিক রোগী বাড়ার মূল কারণ। ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের একাডেমিক পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ডায়াবেটিস আগে শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন গ্রামাঞ্চলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সচেতনতা না বাড়ালে ভবিষ্যতে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের
বাইরে চলে যেতে পারে। ডা. ফারুক পাঠান আরও বলেন, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও হৃদরোগও বাড়ছে; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এসব প্রতিরোধে কর্মস্থলে শরীর চর্চার ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে কর্মস্থলে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি এখন সময়ের দাবি। এমন পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ।
২০১১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ লাখে। ২০২৪ সালে এই রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি ৩৯ লাখ। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়াচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শহুরে কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, কর্মস্থলে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটা বা ব্যায়ামের সুযোগ রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিনা হোসেন
বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন কলকারখানা ও অফিসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করেন; যেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা ব্যায়ামের সুযোগ নেই। এসব সুবিধা চালু করা গেলে কর্মক্ষেত্র অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান ও সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ বলেন, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কর্মস্থলে নিয়মিত হাঁটা ও শরীর চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। আমাদের দেশে কর্মস্থলে শরীর চর্চার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রায় ৬৫ শতাংশ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বাইরে চলে যেতে পারে। ডা. ফারুক পাঠান আরও বলেন, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও হৃদরোগও বাড়ছে; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এসব প্রতিরোধে কর্মস্থলে শরীর চর্চার ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে কর্মস্থলে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি এখন সময়ের দাবি। এমন পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের তথ্য বলছে, ২০০০ সালে দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ।
২০১১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ লাখে। ২০২৪ সালে এই রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি ৩৯ লাখ। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, কর্মস্থলে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহু গুণ বাড়াচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শহুরে কর্মজীবী জনগোষ্ঠীর প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে ডায়াবেটিস বা প্রি-ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, কর্মস্থলে অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটা বা ব্যায়ামের সুযোগ রাখা, স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং মানসিক চাপ কমানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানজিনা হোসেন
বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন কলকারখানা ও অফিসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করেন; যেখানে স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা ব্যায়ামের সুযোগ নেই। এসব সুবিধা চালু করা গেলে কর্মক্ষেত্র অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান ও সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ বলেন, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কর্মস্থলে নিয়মিত হাঁটা ও শরীর চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। আমাদের দেশে কর্মস্থলে শরীর চর্চার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে প্রায় ৬৫ শতাংশ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।



