ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আগামী তিনমাসের মধ্যে খাদ্যসংকটে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ
বিএনপিকেই বেছে নিতে হবে পথ: গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা, নাকি দলের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলা
পপি সিড খাবার নাকি মাদক?
এবার শীত নামবে কবে?
পাকিস্তান থেকে এলো ২৫ হাজার কেজি মাদক
বাজারের ৬০ শতাংশ ফোন অবৈধ, জানুন আপনার ফোনের অবস্থা
শীত কবে আসছে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শান্তিপূর্ণভাবে, গৌরবে, অবিচল থেকে দেশকে রক্ষা করি
একটি জাতির জীবনে কিছু সময় আসে, যখন ইতিহাস, সংস্কৃতি, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র—এসব কেবল শব্দ নয়, রক্ষা করার বিষয় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ আজ এমন এক মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান সময়ের যে পরিস্থিতি আমরা দেখছি—বিরোধী মত দমন, সাংবাদিক, শিক্ষক ও আইনজীবীদের গ্রেপ্তার, আদালত ও জরুরি আইন ব্যবহারে উদ্বেগজনক প্রবণতা—তা একটি মুক্ত সমাজের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে তুলছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা সম্প্রতি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক ও নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের ওপর দমনপীড়নের এক ধারাবাহিকতা নথিভুক্ত করেছে।
অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকেও সতর্ক সংকেত জ্বলছে। স্বাধীন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় দেড় কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে—যা লাখো পরিবারের
টিকে থাকার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এদিকে গুজব ও সত্য একসঙ্গে মিশে গেছে রাস্তায়। রাজধানীর নানা স্থানে অপরাধ, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলছে। একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। সাম্প্রতিক কিছু রায় ও বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়িয়েছে এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অস্থির বাস্তবতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছেন কর্মীরা, নারীরা ও শিশুরা রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে, এবং মতপ্রকাশের স্বাধীন পরিসর সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এসব সত্য গোপন করে রাখা সম্ভব
নয়। এই কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ ১৩ই নভেম্বর ঢাকায় “লকডাউন” কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা, আশঙ্কা ও বিতর্ক ঘুরছে জনমনে। কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কতা দিয়েছে, অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন—এটি নাগরিক প্রতিবাদের ন্যায্য ও শেষ উপায়। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—নাগরিকদের দাবি ও ক্ষোভ অবশ্যই শোনা ও সমাধান করা উচিত; তবে তা অবশ্যই আইন, শৃঙ্খলা ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করে হতে হবে। তাই ১৩ই নভেম্বরের যেকোনো প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও নীতিনিষ্ঠ। গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো যখন চাপে পড়ে, তখন অহিংস নাগরিক আন্দোলনই শাসকদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পথ। যারা রাজপথে নামবেন, তাদের প্রতি আহ্বান—শৃঙ্খলিত থাকুন। আপনার
আওয়াজ হোক স্পষ্ট ও দৃঢ়, কিন্তু আইনসম্মত ও অহিংস। নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কাউকে সুযোগ দেবেন না যাতে আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত করা যায়। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ—অধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক সংকটের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করুন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিকার দিন। আর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান—নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা করে; অপরাধীদের বিচার করুন, কিন্তু প্রতিশোধের মনোভাব নয়, ন্যায়ের মানদণ্ডে। আমরা আহ্বান জানাই—যে মূল্যবোধগুলো বাংলাদেশকে গর্বিত করে, সেই ইতিহাস, সংস্কৃতি, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক আদর্শ রক্ষায় সবাই শান্তিপূর্ণভাবে, প্রয়োজন হলে ত্যাগ স্বীকার করে এগিয়ে আসুন। ঢাকার লকডাউন কর্মসূচি হোক দৃঢ়তার প্রতীক—যেখানে অহিংসা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও
নৈতিক স্পষ্টতা থাকবে অটুট। যারা অন্যায়, দমন ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করতে চায়—তাদের উদ্দেশে আমাদের বার্তা হোক স্পষ্ট: এটি বাংলাদেশ—আমরা অন্যায়ের সামনে নত হব না; আমরা ন্যায্যতা, মর্যাদা ও আইনের শাসনের পক্ষে দৃঢ় থাকব। ইতিহাস আমাদের বিচার করবে এই সময়ের আচরণে। যদি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, তবে এই সঙ্কটই হতে পারে নতুন সূচনার মোড়। সেটিই হোক আমাদের সিদ্ধান্ত।
টিকে থাকার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এদিকে গুজব ও সত্য একসঙ্গে মিশে গেছে রাস্তায়। রাজধানীর নানা স্থানে অপরাধ, সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ তুলছে। একই সময়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। সাম্প্রতিক কিছু রায় ও বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়িয়েছে এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই অস্থির বাস্তবতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছেন কর্মীরা, নারীরা ও শিশুরা রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে, এবং মতপ্রকাশের স্বাধীন পরিসর সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এসব সত্য গোপন করে রাখা সম্ভব
নয়। এই কঠিন সময়ে আওয়ামী লীগ ১৩ই নভেম্বর ঢাকায় “লকডাউন” কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা, আশঙ্কা ও বিতর্ক ঘুরছে জনমনে। কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছে, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কতা দিয়েছে, অন্যদিকে কেউ কেউ বলছেন—এটি নাগরিক প্রতিবাদের ন্যায্য ও শেষ উপায়। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—নাগরিকদের দাবি ও ক্ষোভ অবশ্যই শোনা ও সমাধান করা উচিত; তবে তা অবশ্যই আইন, শৃঙ্খলা ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করে হতে হবে। তাই ১৩ই নভেম্বরের যেকোনো প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও নীতিনিষ্ঠ। গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো যখন চাপে পড়ে, তখন অহিংস নাগরিক আন্দোলনই শাসকদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পথ। যারা রাজপথে নামবেন, তাদের প্রতি আহ্বান—শৃঙ্খলিত থাকুন। আপনার
আওয়াজ হোক স্পষ্ট ও দৃঢ়, কিন্তু আইনসম্মত ও অহিংস। নারী, বৃদ্ধ ও দুর্বলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কাউকে সুযোগ দেবেন না যাতে আন্দোলনকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত করা যায়। আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ—অধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক সংকটের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করুন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রতিকার দিন। আর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান—নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, কিন্তু নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা করে; অপরাধীদের বিচার করুন, কিন্তু প্রতিশোধের মনোভাব নয়, ন্যায়ের মানদণ্ডে। আমরা আহ্বান জানাই—যে মূল্যবোধগুলো বাংলাদেশকে গর্বিত করে, সেই ইতিহাস, সংস্কৃতি, আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক আদর্শ রক্ষায় সবাই শান্তিপূর্ণভাবে, প্রয়োজন হলে ত্যাগ স্বীকার করে এগিয়ে আসুন। ঢাকার লকডাউন কর্মসূচি হোক দৃঢ়তার প্রতীক—যেখানে অহিংসা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও
নৈতিক স্পষ্টতা থাকবে অটুট। যারা অন্যায়, দমন ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশকে দুর্বল করতে চায়—তাদের উদ্দেশে আমাদের বার্তা হোক স্পষ্ট: এটি বাংলাদেশ—আমরা অন্যায়ের সামনে নত হব না; আমরা ন্যায্যতা, মর্যাদা ও আইনের শাসনের পক্ষে দৃঢ় থাকব। ইতিহাস আমাদের বিচার করবে এই সময়ের আচরণে। যদি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, তবে এই সঙ্কটই হতে পারে নতুন সূচনার মোড়। সেটিই হোক আমাদের সিদ্ধান্ত।



