ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
২৭৫ মেগাওয়াট অন্ধকার : এনজিও অভিজ্ঞতায় দেশ চালানোর ফলাফল
দায়িত্বরত ইনচার্জ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না অন্য পুলিশ সদস্যরা
রাজধানীতে সারাদিনে অন্তত সাত স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিনটি বাসে আগুন
মোহাম্মদপুরে চাপাতিসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদ মামুন গুলিতে নিহত
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপির হামলায় কর্মকর্তাসহ আহত ৪
বাংলাদেশিসহ মালয়েশিয়া-থাই সমুদ্রসীমায় ৯০ অভিবাসীকে নিয়ে নৌকাডুবি
গোপালগঞ্জ কিলিং তদন্ত প্রতিবেদন: জনতা-এনসিপি উভয়পক্ষ দায়ী, মামলা-গ্রেপ্তার শুধু গোপালগঞ্জবাসীর বিরুদ্ধে!
গত ১৬ই জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষে পাঁচজনের মৃত্যু (অফিসিয়াল দাবি) এবং অসংখ্য আহতের ঘটনা ঘটে।
এই সংঘর্ষের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে, এই সংঘাতের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মী এবং এনসিপি—উভয়পক্ষই দায়ী। কিন্তু সংঘর্ষের পর শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—৫ জনের বেশি নেতাকর্মী হতাহত, শত শত গ্রেপ্তার এবং এক মাসেরও বেশি সময় জেলাটিকে অবরুদ্ধ করে ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হয়।
অন্যদিকে, এনসিপির দায়ীদের কেন আইনের আওতায় আনা হলো না? সরকার গঠিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট কেন প্রকাশ করা হলো না? বরং উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর পর উল্টো সেনাবাহিনী তাদেরকে নিরাপদে
আশ্রয় দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় তারপর জনতার ওপর গুলি চালায়। এসব প্রশ্ন এখন জনমনে উথলিত হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের এনসিপি-পন্থী সদস্যদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন। সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জ জেলা পরিণত হয় অশান্তির কেন্দ্রে। স্থানীয় প্রশাসন ১৬৪ ধারা জারি করে এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের পর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলায় অবরোধ চালু থাকে। ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযান চলে, যাতে শতাধিক—প্রায় ৩২২ জন—আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার হয়। এর মধ্যে অনেকেই পরে জামিনে মুক্তি পান, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, এই গ্রেপ্তারগুলো
‘আরেস্ট ট্রেড’ বা ‘লিটিগেশন ট্রেড’-এর অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, এই অভিযানে অনেক নিরীহ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, যার মধ্যে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের দমন অন্তর্ভুক্ত। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন মতামত থাকলেও, আসকের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট অনুসারে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নাগরিক নিহত হন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সমর্থকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা ঘটেছিল সেদিন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার শেখ মোহাম্মদ নাবিল বলেছেন, “সকলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।” এছাড়া, ৫০-এর বেশি আহতের মধ্যে অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, এনসিপির সমাবেশে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের সমাধি ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়, যা সংঘাতকে উস্কে দিয়েছে। তদন্ত কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেছেন, সংঘাতের পেছনে উস্কানি, গুজব, দুই পক্ষের অনড় অবস্থান এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা দায়ী। তিনি আরো বলেন “এনসিপির ‘জুলাই মার্চ’ সারাদেশিক কর্মসূচি গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামে পরিবর্তিত হওয়া থেকেই সংকট বাড়ে। সমাবেশের আগের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িতে হামলা, ওসির গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ—এসব ঘটনা এনসিপির প্রোগ্রাম প্রতিহত করার ইঙ্গিত দেয়।” সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, “এনসিপির ‘করবেই’ মনোভাব এবং গোপালগঞ্জবাসীদের ট্রাইবালিজম—আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ৫ই আগস্টের পরবর্তী ক্ষোভ, সংঘাতকে অলঙ্ঘনীয় করে তুলেছিল। তিনি বলেন, এই তদন্ত রিপোর্ট কোথায়? ২৫শে জুলাই সরকার ৬ সদস্যের কমিশন গঠন করে, যারা ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা
দেওয়ার নির্দেশ পায়। রিপোর্টে ৮-১০টি সুপারিশ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে ৫টি করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। গুলির ঘটনা তদন্তের কার্যপরিধির বাইরে ছিল, কিন্তু দায়ীদের শনাক্তকরণ এবং আইনি ব্যবস্থার সুপারিশ ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে—এনসিপিকে কেন রক্ষা করা হচ্ছে? অন্তর্বর্তী সরকারের মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে এনসিপির প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি এবং অন্যান্য দল। এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন দলটি জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতাদের দ্বারা গঠিত, এবং সরকারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে সাম্প্রতিক পোস্টে বলা হয়েছে, “এনসিপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘উচ্ছেদ’ এবং ‘হত্যা’ করার ডাক দিয়েছে।” এনসিপির যৌথ
সম্পাদক জয়নুল আবেদিন শিশির বলেছেন, “গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাটি থেকে মুছে যাবে।” এমন অভিযোগের মধ্যেও এনসিপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তার হয়নি। সমালোচকরা বলছেন, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রমাণ, যা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। গোপালগঞ্জের স্থানীয়রা এখনো আতঙ্কে বাস করছে। সরকারের প্রতি দাবি করা হয়েছে, রিপোর্ট প্রকাশ করে দায়ী সকল পক্ষকে আইনের আওতায় আনতে। অন্যথায়, এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আশ্রয় দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায় তারপর জনতার ওপর গুলি চালায়। এসব প্রশ্ন এখন জনমনে উথলিত হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের এনসিপি-পন্থী সদস্যদের রাজনৈতিক পক্ষপাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে সমালোচকরা মনে করছেন। সংঘর্ষের পর গোপালগঞ্জ জেলা পরিণত হয় অশান্তির কেন্দ্রে। স্থানীয় প্রশাসন ১৬৪ ধারা জারি করে এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষের পর থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলায় অবরোধ চালু থাকে। ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযান চলে, যাতে শতাধিক—প্রায় ৩২২ জন—আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের সদস্য গ্রেপ্তার হয়। এর মধ্যে অনেকেই পরে জামিনে মুক্তি পান, কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, এই গ্রেপ্তারগুলো
‘আরেস্ট ট্রেড’ বা ‘লিটিগেশন ট্রেড’-এর অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানিয়েছে, এই অভিযানে অনেক নিরীহ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, যার মধ্যে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের দমন অন্তর্ভুক্ত। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন মতামত থাকলেও, আসকের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্ট অনুসারে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নাগরিক নিহত হন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সমর্থকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা ঘটেছিল সেদিন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার শেখ মোহাম্মদ নাবিল বলেছেন, “সকলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।” এছাড়া, ৫০-এর বেশি আহতের মধ্যে অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, এনসিপির সমাবেশে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের সমাধি ভাঙার হুমকি দেওয়া হয়, যা সংঘাতকে উস্কে দিয়েছে। তদন্ত কমিশনের সদস্য সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেছেন, সংঘাতের পেছনে উস্কানি, গুজব, দুই পক্ষের অনড় অবস্থান এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতা দায়ী। তিনি আরো বলেন “এনসিপির ‘জুলাই মার্চ’ সারাদেশিক কর্মসূচি গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামে পরিবর্তিত হওয়া থেকেই সংকট বাড়ে। সমাবেশের আগের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িতে হামলা, ওসির গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ—এসব ঘটনা এনসিপির প্রোগ্রাম প্রতিহত করার ইঙ্গিত দেয়।” সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, “এনসিপির ‘করবেই’ মনোভাব এবং গোপালগঞ্জবাসীদের ট্রাইবালিজম—আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ৫ই আগস্টের পরবর্তী ক্ষোভ, সংঘাতকে অলঙ্ঘনীয় করে তুলেছিল। তিনি বলেন, এই তদন্ত রিপোর্ট কোথায়? ২৫শে জুলাই সরকার ৬ সদস্যের কমিশন গঠন করে, যারা ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা
দেওয়ার নির্দেশ পায়। রিপোর্টে ৮-১০টি সুপারিশ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে ৫টি করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। গুলির ঘটনা তদন্তের কার্যপরিধির বাইরে ছিল, কিন্তু দায়ীদের শনাক্তকরণ এবং আইনি ব্যবস্থার সুপারিশ ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে—এনসিপিকে কেন রক্ষা করা হচ্ছে? অন্তর্বর্তী সরকারের মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে এনসিপির প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি এবং অন্যান্য দল। এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন দলটি জুলাই বিপ্লবের ছাত্র নেতাদের দ্বারা গঠিত, এবং সরকারের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল একাউন্ট থেকে সাম্প্রতিক পোস্টে বলা হয়েছে, “এনসিপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘উচ্ছেদ’ এবং ‘হত্যা’ করার ডাক দিয়েছে।” এনসিপির যৌথ
সম্পাদক জয়নুল আবেদিন শিশির বলেছেন, “গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাটি থেকে মুছে যাবে।” এমন অভিযোগের মধ্যেও এনসিপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তার হয়নি। সমালোচকরা বলছেন, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রমাণ, যা গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। গোপালগঞ্জের স্থানীয়রা এখনো আতঙ্কে বাস করছে। সরকারের প্রতি দাবি করা হয়েছে, রিপোর্ট প্রকাশ করে দায়ী সকল পক্ষকে আইনের আওতায় আনতে। অন্যথায়, এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।



