ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
হাসিনার বলিষ্ঠ বার্তা: দায় স্বীকারের সৎ সাহস ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা
হেনস্তা ও আইফোন চুরির অভিযোগ, কিশোরগঞ্জ ছাড়ার ঘোষণা আইনজীবীর
ভারতের একটি ফোনেই রক্ষা পেয়েছিল শেখ হাসিনার প্রাণ! চাঞ্চল্যকর দাবি নতুন বইতে
ভারতের একটি ফোনেই রক্ষা পেয়েছিল শেখ হাসিনার প্রাণ! চাঞ্চল্যকর দাবি নতুন বইতে
চট্টগ্রাম ৮ আসনে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ছায়া: নিহত সরোয়ার বাবলার রেখে যাওয়া অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন উত্তেজনা
শেখ হাসিনার গড়া উন্নয়নের অর্থনীতি আজ সংকটে, ইউনূসের দুর্বল ব্যবস্থাপনায় দিশেহারা ব্যাংকিং খাত
দ্য উইক-এ শেখ হাসিনার বিস্ফোরক নিবন্ধ: ‘অনির্বাচিত শাসকদের আগেও মোকাবেলা করেছি, দেশ এখন বারুদের স্তূপে’
আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন 'দ্য উইক'-এ প্রকাশিত এক বিশেষ নিবন্ধে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। "আমি আগেও অনির্বাচিত রাজনীতিবিদদের মোকাবেলা করেছি" তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটবিহীন’ আখ্যা দিয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিস্ফোরণের অপেক্ষায় থাকা বারুদের স্তূপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তার এই লেখাটি একাধারে নিজের শাসনামলের সাফাই, বর্তমান সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
শেখ হাসিনা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি বা শাসন পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। তার মতে, ড. ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন হলেও তিনি
"একজন চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ নন এবং নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্রনায়কও নন।" হাসিনা অভিযোগ করেন, ইউনূস মূলত একজন নামমাত্র প্রধান, এবং তার আড়ালে হিজবুত-তাহরিরের মতো জঙ্গি সংযোগ থাকা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্ত ঘাঁটি গাড়ছে। তিনি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির চিত্র তুলে ধরেন। তার দাবি, আওয়ামী লীগ সমর্থক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র'-এর তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি দেখান যে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা পুরো ২০২৪ সালের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। নিজের শাসনামলের অর্জন ও তুলনা: বর্তমান নৈরাজ্যের বিপরীতে শেখ হাসিকনা তার সরকারের "সোনালী অধ্যায়ের" কথা তুলে
ধরেন। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছিল, জিডিপি ৪৭ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তার দাবি, এই অগ্রগতি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং এটি ছিল "সুচিন্তিত নীতি, স্থানীয় বোঝাপড়া এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল।" বিচারব্যবস্থাকে ‘প্রহসন’ আখ্যা: নিজের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগকে শেখ হাসিনা একটি ‘সাজানো ও অবৈধ লোক দেখানো বিচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (আইসিটি) রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার মতে, বিচারব্যবস্থা এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট যে, তার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত প্রথম আইনজীবীই
কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলেন। ২০২৪ সালের সহিংসতা ও তার অবস্থান: ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের সহিংসতা প্রসঙ্গে হাসিনা তার সরকারের দায় অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও তার সরকার নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেয়নি। বরং, তিনি নিজে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ঘটনার তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছিলেন, যা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দেয়। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও আহ্বান: নিবন্ধের শেষে শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানান, যেখানে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা
হলে তা গণতন্ত্রকে আরও বিপন্ন করবে। ভারতসহ পশ্চিমা মিত্রদের সাথে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের চলমান সংকট অনুধাবনের অনুরোধ জানান। বিশ্লেষণ, শেখ হাসিনার এই নিবন্ধটি শুধু একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত কৌশলগত পদক্ষেপ। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো: ১. আন্তর্জাতিক জনমত গঠন: 'দ্য উইক'-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি পশ্চিমা বিশ্ব এবং মিত্র দেশগুলোর কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। এর মাধ্যমে তিনি বর্তমান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন। ২. দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা: দেশের অভ্যন্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে এই নিবন্ধটি
একটি শক্তিশালী বার্তা। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি এখনও সক্রিয় এবং দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা তাদের মনোবল বাড়াতে সহায়ক হবে। ৩. নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার: তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করে এবং নিজের শাসনামলের সাফল্য তুলে ধরে তিনি নিজের ভাবমূর্তিকে একজন সফল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। ৪. ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথনির্দেশ: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি তোলার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য তার ও তার দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এটি একইসাথে বর্তমান সরকারকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলার একটি প্রয়াস। সামগ্রিকভাবে, এই নিবন্ধটি নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফিরে আসার একটি জোরালো প্রচেষ্টা, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম
দিয়েছে।
"একজন চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ নন এবং নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্রনায়কও নন।" হাসিনা অভিযোগ করেন, ইউনূস মূলত একজন নামমাত্র প্রধান, এবং তার আড়ালে হিজবুত-তাহরিরের মতো জঙ্গি সংযোগ থাকা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্ত ঘাঁটি গাড়ছে। তিনি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির চিত্র তুলে ধরেন। তার দাবি, আওয়ামী লীগ সমর্থক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং নারীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র'-এর তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি দেখান যে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ধর্ষণের ঘটনা পুরো ২০২৪ সালের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে, যা দেশের অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। নিজের শাসনামলের অর্জন ও তুলনা: বর্তমান নৈরাজ্যের বিপরীতে শেখ হাসিকনা তার সরকারের "সোনালী অধ্যায়ের" কথা তুলে
ধরেন। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছিল, জিডিপি ৪৭ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তার দাবি, এই অগ্রগতি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং এটি ছিল "সুচিন্তিত নীতি, স্থানীয় বোঝাপড়া এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফসল।" বিচারব্যবস্থাকে ‘প্রহসন’ আখ্যা: নিজের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগকে শেখ হাসিনা একটি ‘সাজানো ও অবৈধ লোক দেখানো বিচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে (আইসিটি) রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার মতে, বিচারব্যবস্থা এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট যে, তার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত প্রথম আইনজীবীই
কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলেন। ২০২৪ সালের সহিংসতা ও তার অবস্থান: ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের সহিংসতা প্রসঙ্গে হাসিনা তার সরকারের দায় অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু ভুলত্রুটি থাকলেও তার সরকার নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেয়নি। বরং, তিনি নিজে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং ঘটনার তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছিলেন, যা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বাতিল করে দেয়। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও আহ্বান: নিবন্ধের শেষে শেখ হাসিনা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানান, যেখানে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা
হলে তা গণতন্ত্রকে আরও বিপন্ন করবে। ভারতসহ পশ্চিমা মিত্রদের সাথে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের চলমান সংকট অনুধাবনের অনুরোধ জানান। বিশ্লেষণ, শেখ হাসিনার এই নিবন্ধটি শুধু একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়, বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত কৌশলগত পদক্ষেপ। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো: ১. আন্তর্জাতিক জনমত গঠন: 'দ্য উইক'-এর মতো একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি পশ্চিমা বিশ্ব এবং মিত্র দেশগুলোর কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অগণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। এর মাধ্যমে তিনি বর্তমান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন। ২. দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা: দেশের অভ্যন্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে এই নিবন্ধটি
একটি শক্তিশালী বার্তা। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি এখনও সক্রিয় এবং দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা তাদের মনোবল বাড়াতে সহায়ক হবে। ৩. নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার: তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করে এবং নিজের শাসনামলের সাফল্য তুলে ধরে তিনি নিজের ভাবমূর্তিকে একজন সফল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। ৪. ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথনির্দেশ: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি তোলার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য তার ও তার দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। এটি একইসাথে বর্তমান সরকারকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলার একটি প্রয়াস। সামগ্রিকভাবে, এই নিবন্ধটি নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফিরে আসার একটি জোরালো প্রচেষ্টা, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম
দিয়েছে।



