ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিএনপি দমনে আসছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট–টু’ ধাঁচের যৌথ অভিযান; যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে আইএসআই-লিঙ্কড বিতর্কিত কর্মকর্তা
ঢাকায় মার্কিন কমান্ডো খুন: মোদি ও পুতিনকে হত্যার ভয়াবহ চক্রান্ত ফাঁস!
পিবিডিএফ-এ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সিন্ডিকেটের রমরমা নিয়োগ বাণিজ্য: শিবির-এনসিপির ২৩৮৮ জনের পদায়ন
জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ প্রতিবেদন: দায়বদ্ধতার প্রয়াস, নাকি রাজনৈতিক হাতিয়ার?
উত্তরায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে ভয়ঙ্কর হুমকি: ‘৫ আগস্টে পুলিশ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছি, আপনাদেরও রাখব’
জরিপে চমক: ৬৯.৪৩% মানুষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চায়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ৯৮% মানুষের অনাস্থা
পশ্চিমা মিডিয়ার পাল্টি: ভয় নাকি রণনীতি? শুরু হল কি ‘অপারেশন র্যেথ অফ বেঙ্গল’? আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক এবিএম সিরাজুল হোসেনের বিস্ফোরক দাবি
মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আহত সাবেক কাউন্সিলরকে হাতকড়া
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আটককৃতদের প্রতি রাষ্ট্রীয় আচরণের এক ভয়াবহ চিত্র উন্মোচিত হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সারোয়ার হোসেন আলো’কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে শুইয়ে, হাতে হাতকড়া পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দৃশ্যটি আটকাবস্থায় মানবিক আচরণ এবং মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দৃশ্য শুধু অস্বাস্থ্যকর চিকিৎসা পরিবেশের ইঙ্গিত দেয় না, বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিশোধমূলক (Retributive) মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
দৃশ্যে যা দেখা যাচ্ছে: মানবিকতার চরম অবমাননা
ছবিতে দেখা যায়, সাবেক কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো একটি সাধারণ তোশক
বিছিয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আছেন। তাঁর পায়ে গুরুতর প্লাস্টার বা ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা তাঁর মারাত্মক আঘাতের ইঙ্গিত দেয়। এই গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা এবং জন্মগত দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা সত্ত্বেও তাঁর দু’হাতে হাতকড়া পরানো রয়েছে। একই ছবিতে, পাশে ৪০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু’কেও একই অবস্থায় ফ্লোরে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তিকে এভাবে শিকলবন্দী করে মেঝের উপর ফেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নীতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে। আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতভাবে বলছেন, চিকিৎসার সময় হাতকড়া বা অন্য কোনো শারীরিক সংযম ব্যবহার তখনই যৌক্তিক হয় যখন আটক ব্যক্তি পলায়ন বা আত্মঘাতী হওয়ার
মতো তাৎক্ষণিক ও বাস্তব ঝুঁকি তৈরি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন অধ্যাপক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, "একজন গুরুতর আহত এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যিনি ফ্লোরের উপর শুয়ে আছেন, তার জন্য হাতকড়া পরিয়ে রাখা শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্পষ্টত হয়রানির শামিল এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর শাস্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।" জাতিসংঘের ম্যান্ডেলা রুলস উপেক্ষা: জাতিসংঘের বন্দিদের প্রতি আচরণের নূন্যতম মানদণ্ড, যা ‘ম্যান্ডেলা রুলস’ নামে পরিচিত, অনুযায়ী, বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না এবং তাদের মর্যাদা ও মানবাধিকার সর্বাবস্থায় রক্ষা করতে হবে। রুলস স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, কোনো অসুস্থ বা আহত বন্দিকে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া গুরুতর মানবিক
অবমাননা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক সরকারের নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক হারে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আটককৃতদের মধ্যে অসুস্থ বা বয়স্কদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এই ছবিটি সেই বৃহত্তর প্রবণতারই একটি দৃশ্যমান প্রমাণ। নিরাপত্তা বনাম প্রতিহিংসা: রাজনৈতিক বিচার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে মূল প্রশ্নটি হলো—কর্তৃপক্ষ কি সারোয়ার হোসেন আলোর মতো একজন অক্ষম ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, নাকি এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার একটি দৃশ্যমান কৌশল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আহত সাবেক জনপ্রতিনিধিকে ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া এবং হাতকড়া পরিয়ে রাখার মাধ্যমে এটি পরিষ্কার যে, এই আটক ব্যক্তিরা কেবল আইনি প্রক্রিয়ার সম্মুখীন নন; তারা
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেও কঠোর ও দৃশ্যমান শাস্তির শিকার হচ্ছেন। মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, এই ধরনের দৃশ্য জনমনে ভীতি সঞ্চার করতে পারে এবং এই বার্তা দিতে পারে যে, রাজনৈতিকভাবে আটককৃতদের প্রতি ন্যূনতম মানবিকতাও দেখানো হবে না। ছবিটির সাথে জুড়ে দেওয়া ক্যাপশনে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা দেশের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ও অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান মানবাধিকার কর্মীরা দাবি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অবিলম্বে আটককৃতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মানবিক মানদণ্ড অনুসরণ করা। চিকিৎসার প্রয়োজনে যেন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে হাতকড়া পরানো না হয়, সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করা
প্রয়োজন। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এই ঘটনায় স্বচ্ছতা এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না হলে, এটি নতুন প্রশাসনের মানবিক ও ন্যায্য ভাবমূর্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। দায়িত্বশীল মহলকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেকোনো আটক ব্যক্তির মর্যাদা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, যা কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে না।
বিছিয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আছেন। তাঁর পায়ে গুরুতর প্লাস্টার বা ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা তাঁর মারাত্মক আঘাতের ইঙ্গিত দেয়। এই গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা এবং জন্মগত দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা সত্ত্বেও তাঁর দু’হাতে হাতকড়া পরানো রয়েছে। একই ছবিতে, পাশে ৪০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মিন্টু’কেও একই অবস্থায় ফ্লোরে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন অসুস্থ ও অক্ষম ব্যক্তিকে এভাবে শিকলবন্দী করে মেঝের উপর ফেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নীতি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে। আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতভাবে বলছেন, চিকিৎসার সময় হাতকড়া বা অন্য কোনো শারীরিক সংযম ব্যবহার তখনই যৌক্তিক হয় যখন আটক ব্যক্তি পলায়ন বা আত্মঘাতী হওয়ার
মতো তাৎক্ষণিক ও বাস্তব ঝুঁকি তৈরি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন অধ্যাপক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, "একজন গুরুতর আহত এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, যিনি ফ্লোরের উপর শুয়ে আছেন, তার জন্য হাতকড়া পরিয়ে রাখা শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্পষ্টত হয়রানির শামিল এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর শাস্তি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।" জাতিসংঘের ম্যান্ডেলা রুলস উপেক্ষা: জাতিসংঘের বন্দিদের প্রতি আচরণের নূন্যতম মানদণ্ড, যা ‘ম্যান্ডেলা রুলস’ নামে পরিচিত, অনুযায়ী, বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না এবং তাদের মর্যাদা ও মানবাধিকার সর্বাবস্থায় রক্ষা করতে হবে। রুলস স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, কোনো অসুস্থ বা আহত বন্দিকে মেঝেতে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া গুরুতর মানবিক
অবমাননা। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক সরকারের নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক হারে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আটককৃতদের মধ্যে অসুস্থ বা বয়স্কদের প্রতি অমানবিক আচরণের অভিযোগ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। এই ছবিটি সেই বৃহত্তর প্রবণতারই একটি দৃশ্যমান প্রমাণ। নিরাপত্তা বনাম প্রতিহিংসা: রাজনৈতিক বিচার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে মূল প্রশ্নটি হলো—কর্তৃপক্ষ কি সারোয়ার হোসেন আলোর মতো একজন অক্ষম ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, নাকি এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার একটি দৃশ্যমান কৌশল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আহত সাবেক জনপ্রতিনিধিকে ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া এবং হাতকড়া পরিয়ে রাখার মাধ্যমে এটি পরিষ্কার যে, এই আটক ব্যক্তিরা কেবল আইনি প্রক্রিয়ার সম্মুখীন নন; তারা
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবেও কঠোর ও দৃশ্যমান শাস্তির শিকার হচ্ছেন। মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, এই ধরনের দৃশ্য জনমনে ভীতি সঞ্চার করতে পারে এবং এই বার্তা দিতে পারে যে, রাজনৈতিকভাবে আটককৃতদের প্রতি ন্যূনতম মানবিকতাও দেখানো হবে না। ছবিটির সাথে জুড়ে দেওয়া ক্যাপশনে বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা দেশের উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ও অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান মানবাধিকার কর্মীরা দাবি জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অবিলম্বে আটককৃতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মানবিক মানদণ্ড অনুসরণ করা। চিকিৎসার প্রয়োজনে যেন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে হাতকড়া পরানো না হয়, সে বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করা
প্রয়োজন। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এই ঘটনায় স্বচ্ছতা এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না হলে, এটি নতুন প্রশাসনের মানবিক ও ন্যায্য ভাবমূর্তির ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। দায়িত্বশীল মহলকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেকোনো আটক ব্যক্তির মর্যাদা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, যা কোনো অবস্থাতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে না।



