
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভারতীয় ট্রাক ঢোকার পরে একশো’র নিচে নামলো ৫০০ টাকার কাঁচামরিচ

স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজকের বাজারদর

স্বর্ণ ও রুপা আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে, জেনে নিন

বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর

রেমিট্যান্স আয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

সব রেকর্ড তছনছ, স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর আজ

স্বর্ণের পর রুপার দামেও ফের রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল যত
যাচ্ছে না থামানো অর্থনীতির ধস: রপ্তানি আয়ে টানা পতন, দিশেহারা খাত সংশ্লিষ্টরা

অর্থনীতির ধস থামছেই না। বিশ্বব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা। জিডিপি, বিদেশি বিনিয়োগ, ব্যাংকিং খাতসহ সকল খাতের করুণ চেহারা দৃশ্যমান। এক সময়ের স্থিতিশীল রপ্তানি খাতেও এখন ধস নেমেছে। চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর টানা দুই মাস দেশের পণ্য রপ্তানি আয় কমেছে, যা নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
একইসঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও ঋণের সীমাবদ্ধতার কারণে অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র আরও জটিল হয়ে উঠেছে। চোখে অন্ধকার দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ৩ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ৪.৬১ শতাংশ কমে যায়। সাম্প্রতিক পতন বিশেষজ্ঞদের মতে গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্লেকদের মতে,
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি, ইউরোপে চাহিদা হ্রাস এবং কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি রপ্তানি হ্রাসের প্রধান কারণ। তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, পাট ও প্লাস্টিক পণ্য—সবগুলোতেই রপ্তানি কমেছে। উচ্চ সুদ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্টে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬.৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন। উদ্যোক্তারা বলছেন, উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে নতুন প্রকল্পে ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ঋণের উচ্চ সুদের কারণে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষমাণ। নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ফিরলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬
শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৭.৬৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৮.৯৮ শতাংশ। সবজি ও কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকাল, সরবরাহ সংকট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের আধিপত্য এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বর্তমানে ১৪ শতাংশের ওপরে সুদের হার দেশের ব্যবসার জন্য বড় প্রতিবন্ধক। এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব বলেন, ‘সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না, মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’ ব্যবসায়ীরা করোনা, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠন কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধও জানান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, জ্বালানির ঘাটতি, মূল্যস্ফীতির চাপ, ঋণের সীমাবদ্ধতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি একধরনের ‘ভজঘট’ বা জটিল
সংকটের মুখোমুখি। বিশ্লেকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে অর্থনীতির ধারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে তা নির্ভর করবে কার্যকর নীতিগত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কনীতি, ইউরোপে চাহিদা হ্রাস এবং কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি রপ্তানি হ্রাসের প্রধান কারণ। তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য, পাট ও প্লাস্টিক পণ্য—সবগুলোতেই রপ্তানি কমেছে। উচ্চ সুদ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্টে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৬.৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০০৩ সালের পর সর্বনিম্ন। উদ্যোক্তারা বলছেন, উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে নতুন প্রকল্পে ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ঋণের উচ্চ সুদের কারণে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষমাণ। নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতা ফিরলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬
শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৭.৬৪ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৮.৯৮ শতাংশ। সবজি ও কাঁচামরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকাল, সরবরাহ সংকট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের আধিপত্য এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, বর্তমানে ১৪ শতাংশের ওপরে সুদের হার দেশের ব্যবসার জন্য বড় প্রতিবন্ধক। এফবিসিসিআই-এর মহাসচিব বলেন, ‘সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা না হলে বিনিয়োগ বাড়বে না, মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে না।’ ব্যবসায়ীরা করোনা, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠন কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধও জানান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, জ্বালানির ঘাটতি, মূল্যস্ফীতির চাপ, ঋণের সীমাবদ্ধতা এবং বিনিয়োগ স্থবিরতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি একধরনের ‘ভজঘট’ বা জটিল
সংকটের মুখোমুখি। বিশ্লেকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে অর্থনীতির ধারা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তবে তা নির্ভর করবে কার্যকর নীতিগত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের ওপর।