
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

প্রবাসীদের জন্য সুখবর: স্বল্প খরচে দুবাইয়ে ১ বছরের রেসিডেন্সি ভিসা, জানুন শর্ত

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৫ বিদেশি কর্মী আটক

মালয়েশিয়ায় হালাল শোতে বাংলাদেশ, আসিয়ান বাজারে রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা

সরকারঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে জিম্মি শ্রমিকরা, মালয়েশিয়া যাওয়ার খরচ বেড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা

মুসলমানদের নবীর আদর্শ চরিত্র অনুসরণ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার

মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৪ বাংলাদেশিসহ আটক ৯৪

মাত্র ২ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় ৩৯৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ফেরত পাঠানো হবে শীঘ্রই
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ প্রবাসীর বাড়িই সন্দ্বীপে

ওমানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সাতজনসহ মোট আটজন প্রবাসী বাংলাদেশির অকালমৃত্যুতে সন্দ্বীপজুড়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়িই সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নে। বাকি দুজন সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ও সন্দ্বীপ পৌরসভার রহমতপুরের বাসিন্দা। নিহত অন্যজন হলেন রাউজান উপজেলার চিকদার ইউনিয়নের আলাউদ্দিন।
ওমান দুখুম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাড়িচালক ছগির ভিডিওকলের মাধ্যমে আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিদরা থেকে সাগরমুখী একটি মাছ পরিবহনের বড় গাড়ির বেপরোয়া গতির ধাক্কায় তাদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জানা যায়, সারিকাইত ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী শাহাবুদ্দীন, বাবলু ও রকি। তিনজনের বাড়ি পাশাপাশি। একই সমাজে বসবাস ছিল তাদের। তাদের হারানোর বেদনায় স্বজনদের কান্নার রোল
এলাকার আকাশ ভারী করে তুলেছে। শাহাবুদ্দীন মাত্র ২১ দিন আগে ছুটি কাটিয়ে ওমানে ফিরেছিলেন। দেড় বছর আগে বিয়ে করা তার ৪ মাসের শিশুকন্যা আছিয়া বাবাকে ডাকার আগেই এতিম হয়ে গেল। শাহাবুদ্দীনের পাশেই বাবলুর ঘর। তার দুই সন্তানের বয়স চার বছরের নিচে। বুঝজ্ঞান হওয়ার আগেই বাবাকে হারিয়ে ফেলল তারা। রকির একমাত্র ছেলের বয়স ৫ মাস। প্রতিদিন ভিডিওকল করে ছেলেকে দেখে পিতৃত্বের স্বাদ মেটানোর চেষ্টা করতেন তিনি। মারা যাওয়ার আগের দিনও কল করেছিলেন। অবুঝ সন্তানটি মোবাইল দেখলে সব সময় বাবার ছবি খোঁজার চেষ্টা করে— এ কথা বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রকির স্ত্রী। সন্দ্বীপ পৌরসভার রহমতপুর এলাকার নিহত রনি দেড় বছরের একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে
রেখে চলে গেলেন। তার পরিবার গত কয়েক বছরে একাধিক স্বজনকে হারিয়েছে। এছাড়া মাইটভাঙ্গা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিহত জুয়েল ছয় বছর ধরে ওমানে ছিলেন। ৬-৭ মাস আগে ছুটিতে বাড়ি এসে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন, যা তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। তার বাবা জামাল দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত মরদেহ দেশে পাঠানোর জোর দাবি জানিয়েছেন। সারিকাইত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম জানান, প্রবাসে একসঙ্গে এতজনের অকালমৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওমানে কর্মরত স্থানীয় প্রবাসী মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং দূতাবাস এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মংচিংনু মারমা জানিয়েছেন, নিহতদের দাফন-কাফনের
বিষয়ে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এলাকার আকাশ ভারী করে তুলেছে। শাহাবুদ্দীন মাত্র ২১ দিন আগে ছুটি কাটিয়ে ওমানে ফিরেছিলেন। দেড় বছর আগে বিয়ে করা তার ৪ মাসের শিশুকন্যা আছিয়া বাবাকে ডাকার আগেই এতিম হয়ে গেল। শাহাবুদ্দীনের পাশেই বাবলুর ঘর। তার দুই সন্তানের বয়স চার বছরের নিচে। বুঝজ্ঞান হওয়ার আগেই বাবাকে হারিয়ে ফেলল তারা। রকির একমাত্র ছেলের বয়স ৫ মাস। প্রতিদিন ভিডিওকল করে ছেলেকে দেখে পিতৃত্বের স্বাদ মেটানোর চেষ্টা করতেন তিনি। মারা যাওয়ার আগের দিনও কল করেছিলেন। অবুঝ সন্তানটি মোবাইল দেখলে সব সময় বাবার ছবি খোঁজার চেষ্টা করে— এ কথা বলে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রকির স্ত্রী। সন্দ্বীপ পৌরসভার রহমতপুর এলাকার নিহত রনি দেড় বছরের একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে
রেখে চলে গেলেন। তার পরিবার গত কয়েক বছরে একাধিক স্বজনকে হারিয়েছে। এছাড়া মাইটভাঙ্গা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিহত জুয়েল ছয় বছর ধরে ওমানে ছিলেন। ৬-৭ মাস আগে ছুটিতে বাড়ি এসে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন, যা তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। তার বাবা জামাল দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে দ্রুত মরদেহ দেশে পাঠানোর জোর দাবি জানিয়েছেন। সারিকাইত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম জানান, প্রবাসে একসঙ্গে এতজনের অকালমৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওমানে কর্মরত স্থানীয় প্রবাসী মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং দূতাবাস এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মংচিংনু মারমা জানিয়েছেন, নিহতদের দাফন-কাফনের
বিষয়ে সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।