
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রত্যাশা পূজা পরিষদের

সৌরবিদ্যুতে ভর্তুকি কমলেও লাভ হবে গ্রাহকের

ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: আটক নেতা-কর্মীদের পাশে কেন্দ্রীয় যুবলীগ

১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী?

প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ক ও উপদেষ্টাদের এলাকাপ্রীতিতে বঞ্চিত সমস্যাগ্রস্ত জেলার মানুষ

ইউনূস আমলে ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা, বিদেশি ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে অনেককে

১০৪ সদস্যের লটবহর নিয়ে ড. ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর: জনগণের অর্থের শ্রাদ্ধ করে প্রাপ্তিযোগ কী?
অক্সিজেন ছাড়াই শীর্ষ পর্বত মানাসলুর চূড়ায় দুই বাংলাদেশি

অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর অষ্টম শীর্ষ পর্বত মানাসলু জয় করলেন দুই বাংলাদেশি বাবর আলী ও তানভীর আহমেদ। আট হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার মানাসলুতে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী আরোহণ করেছেন। এটি বাবরের চতুর্থ ৮ হাজারি শৃঙ্গে সফলতা। অপরদিকে নিজের প্রথম কোনো ৮ হাজারি পর্বতে অভিযানে সফল হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি তানভীর আহমেদ।
‘মানাসলু অ্যাসেন্ট : ভার্টিক্যাল ডুয়ো’ শীর্ষক এই অভিযানের আয়োজক পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স। অভিযানের আউটফিটার ‘স্নোয়ি হরাইজন ট্রেক্স অ্যান্ড এক্সপিডিশন’র স্বত্বাধিকারী বোধা রাজ ভাণ্ডারির বরাতে দুজনের চূড়ায় আরোহণের তথ্য দিয়েছেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ফরহান জামান।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারা মানাসলু পর্বত শীর্ষে পৌঁছান। এই দুজনের সঙ্গে গাইড হিসেবে আছেন বীরে তামাং এবং
ফুর্বা অংডি শেরপা। ‘মাউন্টেন অব দ্য স্পিরিট’ খ্যাত এই চূড়ার অবস্থান নেপালের মানসিরি হিমাল রেঞ্জে। বাবর আলী পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স এর সাধারণ সম্পাদক এবং তানভীর আহমেদ এই ক্লাবের মাউন্টেনিয়ারিং বিষয়ক সম্পাদক। প্রথম বাঙালি হিসেবে বাবর আলী ২০২২ সালে আমা দাবালাম শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জনকারী বাবর আলী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাটের লেয়াকত আলী ও লুৎফুন্নাহার বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। বাবর ইতোমধ্যে এভারেস্ট, লোৎসে, অন্নপূর্ণাসহ বেশ কিছু সফল অভিযান করেছেন। তানভীর গত বছর আমা দাবলাম সামিট করেন। ভিএফ এশিয়া বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। কিশোরগঞ্জ সদরের খরমপট্টি এলাকার আইনজীবী তারেক উদ্দিন আহমদ ও শিরীন আহমেদের প্রথম
সন্তান। তানভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ২০০৬ ব্যাচের ছাত্র। অক্সিজেন ছাড়াই শীর্ষ পর্বত মানাসলুর চূড়ায় দুই বাংলাদেশি জানা গেছে, তানভীর ও বাবর বাংলাদেশ থেকে নেপালে পৌঁছান গত ৫ সেপ্টেম্বর। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ৭ সেপ্টেম্বর তারা কাঠমান্ডু থেকে গাড়িতে যান তিলচে গ্রামে। এরপর পাঁচ দিন হেঁটে তারা পৌঁছে যান বেসক্যাম্পে। সেখানে দুই দিন বিশ্রামের পর তারা শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রথম দফা ক্যাম্প-১ (৫৭০০ মিটার) এ এক রাত কাটিয়ে তারা নেমে আসেন। একদিন বিশ্রামের পর দ্বিতীয় দফা আরোহণে তানভীর ক্যাম্প-২ (৬৩০০ মিটার) এবং বাবর ক্যাম্প-৩ (৬৭০০ মিটার)-এ রাত কাটিয়ে শেষ করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার
পর্ব। এরপর একদিন বেসক্যাম্পে বিশ্রামের পর আসে চূড়ান্ত চেষ্টার ক্ষণ। তানভীর গত ২২ সেপ্টেম্বর বেসক্যাম্প থেকে যাত্রারম্ভ করে উঠে আসেন ক্যাম্প-১ এবং পরদিন উঠে আসেন ক্যাম্প-২। এদিকে বাবর একদিন পর রওনা দিয়ে সরাসরি উঠে আসেন ক্যাম্প-২ এ। ২৪ সেপ্টেম্বর দুজনই ক্যাম্প-৩ এ রাত কাটিয়ে পরদিন দুপুর নাগাদ পৌঁছে যান ক্যাম্প-৪ এ (৭৪০০ মিটার)। বাকি সময় বিশ্রাম নিয়ে রাত নামতেই শুরু হয় তাদের পরম আরাধ্য চূড়ার দিকে যাত্রা। আর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরেই তারা পৌঁছে যান পর্বত শীর্ষে। ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ফরহান জামান বলেন, বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ পর্বত মানাসলুতে একই দিনে দুবার উড়ল আমাদের লাল-সবুজের পতাকা। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত বাবরের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল
অতিরিক্ত অক্সিজেন ছাড়া আটহাজারী শিখর আরোহণের। উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর আমরা চূড়ান্তভাবে ঠিক করি যে, এই মানাসলুই হবে কাঙ্ক্ষিত সেই চেষ্টার পর্বত। আজ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বাবর আলী কৃত্রিম অক্সিজেন সহায়তা ছাড়াই আরোহণ করেছেন এই আটহাজারী শৃঙ্গ। পর্বতারোহী তানভীরের এটি প্রথম ৮ হাজারি অভিযান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আটহাজারী শিখরে সফল সব বাংলাদেশি পর্বতারোহীই পর্বতারোহণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রাপ্ত। এ থেকে অনেকের ধারণা ছিল, অতি-উচ্চ পর্বতে সফলতা পেতে বিদেশে গিয়ে মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের বিকল্প নেই। এই ধরনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তানভীরের নেই। ওর সম্বল দেশে সীমিত সুবিধার মধ্যে অনুশীলন আর ইচ্ছাশক্তি। তাই মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স সংক্রান্ত ওই ট্যাবু আমরা ওকে দিয়ে ভাঙতে চেয়েছি। দুজনের
কঠোর পরিশ্রমের উপর আমরা আস্থা রেখেছি এবং দুজনেই আজ সফল হয়েছে। একজন করেছে অতিরিক্ত অক্সিজেন ছাড়া সামিট এবং অপরজন দেশে শিখেই সফল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তানভীর আরও অনেক পর্বতে যেতে চায়। আর বাবরও চায় ১৪টি আটহাজারী শৃঙ্গের সবকটিতেই চড়তে। সবেমাত্র ৪টি হলো, বাকি আছে আরও ১০টি। আশা করি পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চলতে থাকবে পর্বত থেকে পর্বতে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডয়ন উৎসব। তারা এখন চেষ্টা করবেন যত দ্রুত যতটা সম্ভব নিচে নেমে আসতে। উল্লেখ্য, মানাসলু অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সামুদা, ভিজুয়াল নিটওয়ারস, গিগাবাইট বাংলাদেশ, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন, সিনোভেস্ট, সিয়েরা-রোমিও, আদিবা ফুটওয়্যার, ফোরএস অ্যাডভান্স টেকনোলজিস, জেনোভার্স, সোর্স অ্যাসোসিয়েটস, আইলেট ব্যাংকার্স, কাজী অ্যাগ্রো ও ফ্রিয়েসভা।
ফুর্বা অংডি শেরপা। ‘মাউন্টেন অব দ্য স্পিরিট’ খ্যাত এই চূড়ার অবস্থান নেপালের মানসিরি হিমাল রেঞ্জে। বাবর আলী পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স এর সাধারণ সম্পাদক এবং তানভীর আহমেদ এই ক্লাবের মাউন্টেনিয়ারিং বিষয়ক সম্পাদক। প্রথম বাঙালি হিসেবে বাবর আলী ২০২২ সালে আমা দাবালাম শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জনকারী বাবর আলী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাটের লেয়াকত আলী ও লুৎফুন্নাহার বেগমের দ্বিতীয় সন্তান। বাবর ইতোমধ্যে এভারেস্ট, লোৎসে, অন্নপূর্ণাসহ বেশ কিছু সফল অভিযান করেছেন। তানভীর গত বছর আমা দাবলাম সামিট করেন। ভিএফ এশিয়া বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। কিশোরগঞ্জ সদরের খরমপট্টি এলাকার আইনজীবী তারেক উদ্দিন আহমদ ও শিরীন আহমেদের প্রথম
সন্তান। তানভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ২০০৬ ব্যাচের ছাত্র। অক্সিজেন ছাড়াই শীর্ষ পর্বত মানাসলুর চূড়ায় দুই বাংলাদেশি জানা গেছে, তানভীর ও বাবর বাংলাদেশ থেকে নেপালে পৌঁছান গত ৫ সেপ্টেম্বর। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ৭ সেপ্টেম্বর তারা কাঠমান্ডু থেকে গাড়িতে যান তিলচে গ্রামে। এরপর পাঁচ দিন হেঁটে তারা পৌঁছে যান বেসক্যাম্পে। সেখানে দুই দিন বিশ্রামের পর তারা শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রথম দফা ক্যাম্প-১ (৫৭০০ মিটার) এ এক রাত কাটিয়ে তারা নেমে আসেন। একদিন বিশ্রামের পর দ্বিতীয় দফা আরোহণে তানভীর ক্যাম্প-২ (৬৩০০ মিটার) এবং বাবর ক্যাম্প-৩ (৬৭০০ মিটার)-এ রাত কাটিয়ে শেষ করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার
পর্ব। এরপর একদিন বেসক্যাম্পে বিশ্রামের পর আসে চূড়ান্ত চেষ্টার ক্ষণ। তানভীর গত ২২ সেপ্টেম্বর বেসক্যাম্প থেকে যাত্রারম্ভ করে উঠে আসেন ক্যাম্প-১ এবং পরদিন উঠে আসেন ক্যাম্প-২। এদিকে বাবর একদিন পর রওনা দিয়ে সরাসরি উঠে আসেন ক্যাম্প-২ এ। ২৪ সেপ্টেম্বর দুজনই ক্যাম্প-৩ এ রাত কাটিয়ে পরদিন দুপুর নাগাদ পৌঁছে যান ক্যাম্প-৪ এ (৭৪০০ মিটার)। বাকি সময় বিশ্রাম নিয়ে রাত নামতেই শুরু হয় তাদের পরম আরাধ্য চূড়ার দিকে যাত্রা। আর শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরেই তারা পৌঁছে যান পর্বত শীর্ষে। ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ফরহান জামান বলেন, বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ পর্বত মানাসলুতে একই দিনে দুবার উড়ল আমাদের লাল-সবুজের পতাকা। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত বাবরের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল
অতিরিক্ত অক্সিজেন ছাড়া আটহাজারী শিখর আরোহণের। উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর আমরা চূড়ান্তভাবে ঠিক করি যে, এই মানাসলুই হবে কাঙ্ক্ষিত সেই চেষ্টার পর্বত। আজ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বাবর আলী কৃত্রিম অক্সিজেন সহায়তা ছাড়াই আরোহণ করেছেন এই আটহাজারী শৃঙ্গ। পর্বতারোহী তানভীরের এটি প্রথম ৮ হাজারি অভিযান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আটহাজারী শিখরে সফল সব বাংলাদেশি পর্বতারোহীই পর্বতারোহণের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপ্রাপ্ত। এ থেকে অনেকের ধারণা ছিল, অতি-উচ্চ পর্বতে সফলতা পেতে বিদেশে গিয়ে মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের বিকল্প নেই। এই ধরনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তানভীরের নেই। ওর সম্বল দেশে সীমিত সুবিধার মধ্যে অনুশীলন আর ইচ্ছাশক্তি। তাই মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স সংক্রান্ত ওই ট্যাবু আমরা ওকে দিয়ে ভাঙতে চেয়েছি। দুজনের
কঠোর পরিশ্রমের উপর আমরা আস্থা রেখেছি এবং দুজনেই আজ সফল হয়েছে। একজন করেছে অতিরিক্ত অক্সিজেন ছাড়া সামিট এবং অপরজন দেশে শিখেই সফল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তানভীর আরও অনেক পর্বতে যেতে চায়। আর বাবরও চায় ১৪টি আটহাজারী শৃঙ্গের সবকটিতেই চড়তে। সবেমাত্র ৪টি হলো, বাকি আছে আরও ১০টি। আশা করি পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে চলতে থাকবে পর্বত থেকে পর্বতে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডয়ন উৎসব। তারা এখন চেষ্টা করবেন যত দ্রুত যতটা সম্ভব নিচে নেমে আসতে। উল্লেখ্য, মানাসলু অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সামুদা, ভিজুয়াল নিটওয়ারস, গিগাবাইট বাংলাদেশ, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন, সিনোভেস্ট, সিয়েরা-রোমিও, আদিবা ফুটওয়্যার, ফোরএস অ্যাডভান্স টেকনোলজিস, জেনোভার্স, সোর্স অ্যাসোসিয়েটস, আইলেট ব্যাংকার্স, কাজী অ্যাগ্রো ও ফ্রিয়েসভা।