
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে ধস, গড় লেনদেন কমেছে ৩৯%

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেনে বড় ধস দেখা দিয়েছে। ১৪ থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বরের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনেই বাজার ছিল নিম্নমুখী। সপ্তাহজুড়ে এক্সচেঞ্জটির সব সূচক ১ শতাংশের বেশি কমেছে। পাশাপাশি লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের দরপতন ঘটেছে। সার্বিকভাবে সাপ্তাহিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে ৭৫ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। আগের সপ্তাহে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৫২৪ পয়েন্টে। বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএস৩০ কমেছে ৪৪ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ নেমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৭ পয়েন্টে। শরীয়াহ
সূচক ডিএসইএসও কমেছে ১৮ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। তালিকাভুক্ত ১৬টি সিকিউরিটিজে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৬৮টির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। লেনদেনের পরিমাণে বড় পতন লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭০১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৪৮ কোটি টাকা বা ৩৯.০২ শতাংশ। পুরো সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই অঙ্ক ছিল ৫ হাজার ৭৪৮
কোটি ৩১ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক অবদান লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতে। প্রতিদিন গড়ে এই খাত থেকে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে ব্যাংক খাত, প্রতিদিন গড়ে ৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত, প্রতিদিন গড়ে ৭৯ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন। এছাড়া বস্ত্র খাত ও খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত যথাক্রমে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন করেছে। বাজার মূলধন লেনদেন ও সূচকে মন্দাভাবের প্রভাবে গত সপ্তাহে বাজার মূলধনও কমেছে। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মূলধন কমেছে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার সপ্তাহ শেষে
এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক রিটার্ন খাতভিত্তিক মুনাফা বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহজুড়ে মাত্র পাঁচটি খাত ইতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। এর মধ্যে করপোরেট বন্ড খাতে সর্বোচ্চ ২.৮৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। সেবা ও আবাসন খাতে রিটার্ন ছিল ২.৬২ শতাংশ। বস্ত্র খাতে রিটার্ন এসেছে.৭০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে.৬১ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাতে.৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে—৬.৫০ শতাংশ। এরপর ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৫.২৫ শতাংশ এবং জীবন বীমা খাতে ৪.৫৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ একই সময়ে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১.১৭ শতাংশ নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১.১৪ শতাংশ নেমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১.৬৬ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ কমেছে ১.২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা কম। লেনদেন হওয়া ৩১২টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির।
সূচক ডিএসইএসও কমেছে ১৮ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। তালিকাভুক্ত ১৬টি সিকিউরিটিজে কোনো লেনদেন হয়নি। লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৬৮টির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। লেনদেনের পরিমাণে বড় পতন লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭০১ কোটি ৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৪৮ কোটি টাকা বা ৩৯.০২ শতাংশ। পুরো সপ্তাহে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এই অঙ্ক ছিল ৫ হাজার ৭৪৮
কোটি ৩১ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক অবদান লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতে। প্রতিদিন গড়ে এই খাত থেকে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে ব্যাংক খাত, প্রতিদিন গড়ে ৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। তৃতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত, প্রতিদিন গড়ে ৭৯ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন। এছাড়া বস্ত্র খাত ও খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত যথাক্রমে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন করেছে। বাজার মূলধন লেনদেন ও সূচকে মন্দাভাবের প্রভাবে গত সপ্তাহে বাজার মূলধনও কমেছে। পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মূলধন কমেছে ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার সপ্তাহ শেষে
এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। খাতভিত্তিক রিটার্ন খাতভিত্তিক মুনাফা বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহজুড়ে মাত্র পাঁচটি খাত ইতিবাচক রিটার্ন দিয়েছে। এর মধ্যে করপোরেট বন্ড খাতে সর্বোচ্চ ২.৮৭ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। সেবা ও আবাসন খাতে রিটার্ন ছিল ২.৬২ শতাংশ। বস্ত্র খাতে রিটার্ন এসেছে.৭০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে.৬১ শতাংশ এবং সিমেন্ট খাতে.৪৭ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে—৬.৫০ শতাংশ। এরপর ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৫.২৫ শতাংশ এবং জীবন বীমা খাতে ৪.৫৪ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ একই সময়ে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম
স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১.১৭ শতাংশ নেমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩৮ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ১.১৪ শতাংশ নেমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১.৬৬ শতাংশ এবং সিএসই-৫০ কমেছে ১.২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫ কোটি ২১ লাখ টাকা কম। লেনদেন হওয়া ৩১২টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির।