
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

১৩ মাসেও শেষ হয়নি শেখ হাসিনার চালের মজুদ: বস্তা দেখে বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন ইউএনও

বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চায় স্টারলিংক

সড়কের কাজ কাগজে, বাস্তবে নেই

দুই মার্কিন জাহাজ কেনার চুক্তি আজ

ঋণ দিয়ে ২১৩ কোটি টাকা ঘুষ নেন সাইফুজ্জামান

প্রকল্পে অপচয়ের উৎসব

আজ ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
সময় বদলে দেদার চলছে রাজধানীর সিসা বার

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের আড়ালে গড়ে ওঠা অবৈধ সিসা বারগুলোতে এখন আর রাত গভীর হওয়ার অপেক্ষা করতে হয় না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়াতে অনেকেই নতুন কৌশল নিয়েছে। আগে যেখানে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলত এসব আসর, এখন সেখানে বিকেল থেকেই জমে উঠছে ধোঁয়ার আড্ডা। রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হলেও, ততক্ষণে তরুণ-তরুণীরা নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ছে।
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের আড়ালে অনুমোদনহীন সিসা বার গড়ে উঠেছে। অতীতে রাত গভীর না হলে এসব চালু হতো না; কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডিএনসির অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে
অনেকেই বিকেল ৪টা থেকেই কার্যক্রম শুরু করছে। সময়সীমা বদলালেও, মূলত আগের মতোই চলছে অবাধ সিসা সেবন। ক্যাফেগুলোর ভেতরে রঙিন আলো ও শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা থাকায় বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না। ডিএনসি জানায়, নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে ‘আল গ্রিসিনো’ এবং ‘হাবানা ক্যাফে লাউঞ্জ’-এ সন্ধ্যার পর অভিযান চালায় ডিএনসি। অভিযানে সিসা সেবনের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় সাড়ে চার কেজি সিসা, ১৩টি হুক্কা সেট, ১০ কেজি কয়লা এবং সংশ্লিষ্ট উপকরণ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এসব বার বিকেল থেকেই চালু ছিল এবং কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত
হচ্ছিল। ডিএনসি কর্মকর্তারা জানান, রেস্টুরেন্টের আড়ালে পরিচালিত এসব সিসা বারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। অনেক মালিক ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব নেটওয়ার্ক। দরজায় দেহরক্ষী, আসা অতিথির তালিকা, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আগেভাগে সতর্ক করার জন্য লোকও নিয়োজিত থাকে। একজন নিয়মিত সিসা বার ভিজিটর বলেন, ‘এসব বারে যারা যায়, তাদের বেশিরভাগই ধনী পরিবারের সন্তান। তাদের টাকার অভাব নেই, তাই ঝুঁকি নিয়েও আসে। অনেক মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতেও সক্ষম হয়। তবে সম্প্রতি অভিযান বেড়ে যাওয়ায় যাতায়াত কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’ ডিএনসির এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এসব হুক্কায় শুধু সাধারণ ফ্লেভার নয়, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলের নির্যাস এমনকি
তরল কোকেনও মেশানো হয়। পাশাপাশি অনেক জায়গায় চলে মদের আসর ও অসামাজিক কার্যকলাপ। গভীর রাতে তথাকথিত ‘ভিআইপি’দের আনাগোনাও লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, ‘এসব সিসা বার শুধু ধূমপানের জায়গা নয়—এটি ধীরে ধীরে মাদক, যৌন ব্যবসা এবং অপরাধী চক্রের মেলবন্ধনের স্থানে পরিণত হয়েছে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো সিসা বার অনুমোদিত নয়। ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টের আড়ালে এগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএনসি ১৬টি মামলার মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান চলবে।’ এখন দিনের আলোতেই শুরু হওয়া এই সিসা বারের আড্ডা রাত নামার আগেই গুটিয়ে ফেলা হয়, যাতে হঠাৎ কোনো অভিযানে ধরা পড়লেও বড়
ধরনের ঝুঁকি না থাকে। তবে বাস্তবতা হলো, সময়ের কৌশল পাল্টালেও সিসা বারকেন্দ্রিক অপরাধ এবং নেশার পরিবেশ একইভাবে বহাল রয়েছে।
অনেকেই বিকেল ৪টা থেকেই কার্যক্রম শুরু করছে। সময়সীমা বদলালেও, মূলত আগের মতোই চলছে অবাধ সিসা সেবন। ক্যাফেগুলোর ভেতরে রঙিন আলো ও শব্দ নিরোধক ব্যবস্থা থাকায় বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না। ডিএনসি জানায়, নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে ‘আল গ্রিসিনো’ এবং ‘হাবানা ক্যাফে লাউঞ্জ’-এ সন্ধ্যার পর অভিযান চালায় ডিএনসি। অভিযানে সিসা সেবনের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় সাড়ে চার কেজি সিসা, ১৩টি হুক্কা সেট, ১০ কেজি কয়লা এবং সংশ্লিষ্ট উপকরণ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এসব বার বিকেল থেকেই চালু ছিল এবং কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত
হচ্ছিল। ডিএনসি কর্মকর্তারা জানান, রেস্টুরেন্টের আড়ালে পরিচালিত এসব সিসা বারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। অনেক মালিক ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গড়ে তুলেছেন নিজস্ব নেটওয়ার্ক। দরজায় দেহরক্ষী, আসা অতিথির তালিকা, এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আগেভাগে সতর্ক করার জন্য লোকও নিয়োজিত থাকে। একজন নিয়মিত সিসা বার ভিজিটর বলেন, ‘এসব বারে যারা যায়, তাদের বেশিরভাগই ধনী পরিবারের সন্তান। তাদের টাকার অভাব নেই, তাই ঝুঁকি নিয়েও আসে। অনেক মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করতেও সক্ষম হয়। তবে সম্প্রতি অভিযান বেড়ে যাওয়ায় যাতায়াত কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’ ডিএনসির এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এসব হুক্কায় শুধু সাধারণ ফ্লেভার নয়, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলের নির্যাস এমনকি
তরল কোকেনও মেশানো হয়। পাশাপাশি অনেক জায়গায় চলে মদের আসর ও অসামাজিক কার্যকলাপ। গভীর রাতে তথাকথিত ‘ভিআইপি’দের আনাগোনাও লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, ‘এসব সিসা বার শুধু ধূমপানের জায়গা নয়—এটি ধীরে ধীরে মাদক, যৌন ব্যবসা এবং অপরাধী চক্রের মেলবন্ধনের স্থানে পরিণত হয়েছে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো সিসা বার অনুমোদিত নয়। ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টের আড়ালে এগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিএনসি ১৬টি মামলার মাধ্যমে এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান চলবে।’ এখন দিনের আলোতেই শুরু হওয়া এই সিসা বারের আড্ডা রাত নামার আগেই গুটিয়ে ফেলা হয়, যাতে হঠাৎ কোনো অভিযানে ধরা পড়লেও বড়
ধরনের ঝুঁকি না থাকে। তবে বাস্তবতা হলো, সময়ের কৌশল পাল্টালেও সিসা বারকেন্দ্রিক অপরাধ এবং নেশার পরিবেশ একইভাবে বহাল রয়েছে।