
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের তিলে তিলে গড়ে উঠা শেয়ার বাজারের ২৫% এক বছরে ধ্বংস করেছে ইউনূস

মন্ত্রীদের জন্য ৬০ পাজেরো কিনছে সরকার: বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের চোখে ‘লুটপাটের উৎসব’

“একদল ভিলেন” এর শাসনের চেয়ে একজন “এক নায়ক” এর শাসনই শ্রেয়

অবরুদ্ধ বাংলাদেশ

বিএসসি বনাম ডিপ্লোমা তর্ক

আওয়ামী লীগ কি খেলায় ফেরার মত যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে?

রাজনীতিবিদশূন্য রাজনীতি এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ – পর্ব ১
যে কালসাপ লালন-পালন করেছেন এতকাল এখন কেন তার ভয়ে ভীত ডা. জাহেদ?

ডা. জাহেদুর রহমান নিজের প্রাণ নিয়ে শঙ্কিত। এমন অবস্থায় একজন সুবিবেচক মানুষ মাত্রই তার প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। এখানে একটি কিন্তু আছে। আজ তিনি যেমন বলছেন, জামায়াতের রাজনীতিই হলো অন্যকে “ইসলামবিরোধী” কিংবা “নাস্তিক” ট্যাগ দিয়ে হত্যাযোগ্য করে তোলা। এই কথাটা তিনি বলছেন, আবার একইভাবে বলছেন জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন, আছেন, থাকবেন।
ডা. জাহেদ যে প্রশ্নটি নিজেকে করছেন না তা হলো, যে দল কাউকে ধর্মীয় ট্যাগ দিয়ে হত্যাযোগ্য করে তোলার রাজনীতি করে সভ্য যুগে এসে তাদের রাজনৈতিক অধিকার থাকে কি না? আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কারো রাজনৈতিক অধিকার হরণের বিপক্ষে। তবে, সেই রাজনীতি হতে হবে সভ্য, আদর্শিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন।
ডা. জাহেদুর
রহমানরা যাদেরকে ক্ষমতায়ন করেছেন সরাসরি নানা রকম বয়ান তৈরি ও প্রচার করে, তারা যে ছোবল মারার সময় তার অধিকার নিয়ে ভাববে না, এই সত্যটি বুঝার মতো জ্ঞান কি ডা. জাহিদের নেই? তিনি এতো জ্ঞানী, এতোটাই রাজনৈতিক সচেতন- অথচ এটাই জানেন না দেশের ও জনগণের জন্য কাদের স্পেস দিতে হয়, কাদেরকে স্পেস দিতে হয় না? বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণকারী ও আদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগের মূলনীতিতে বিশ্বাসী হয়েও আওয়ামী লীগের যাবতীয় ভুলের সমালোচনা করেছি। এবং তা করতে আমি কখনোই ভয় পাইনি। কিন্তু, বর্তমানে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইউনূস সরকারের সমালোচনা কি করা সম্ভব দেশে বসে? কেন সম্ভব নয়, করলে
কী হচ্ছে – তার জ্বলন্ত উদাহরণ সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভূঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন সাবেক সচিবকে – যে খবরটি খুব একটা প্রচারণা পায়নি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলম পান্নার কথা না হয় বাদই দিলাম। আজ শুধুমাত্র জামায়াতের মূলনীতি ও দলের নামের ব্যাপারে কথা তুলতেই ডা. জাহিদুর রহমান “নাস্তিক” ট্যাগ খেয়ে নিজের প্রাণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, জামায়াতের রাজনীতির অধিকার নিয়ে সোচ্চার অথচ একই মানুষ যখন আওয়ামী লীগ নাকি ট্যাগের রাজনীতি করে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকার হরণের পক্ষে কথা বলেন
তখন ডা. জাহিদুর রহমানের নিজেরই সততা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে দেখলাম, তিনি নিজ মুখে বলেছেন বর্তমানে বিসিএস-এর ভাইবা বোর্ডের সদস্য তিনি। আমি কি প্রশ্ন তুলতে পারি না, কোন যোগ্যতা বলে উক্ত বোর্ডের সদস্য হয়েছেন তিনি? কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে? আওয়ামীবিরোধী ব্যক্তি হিসেবে ইউনূস সরকারের অনৈতিক সুবিধা যিনি নিজেই ভোগ করছেন তিনি কী করে অন্য কারো সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন! ডা. জাহেদুর রহমানের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ এই নয়, আমি জামায়াতকে সমর্থন করছি। জামায়াত সম্পর্কে আমার অবস্থান নতুন করে ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই। চেনা বামুনের পৈতা লাগে না। লেখক পরিচিতি: ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ
রহমানরা যাদেরকে ক্ষমতায়ন করেছেন সরাসরি নানা রকম বয়ান তৈরি ও প্রচার করে, তারা যে ছোবল মারার সময় তার অধিকার নিয়ে ভাববে না, এই সত্যটি বুঝার মতো জ্ঞান কি ডা. জাহিদের নেই? তিনি এতো জ্ঞানী, এতোটাই রাজনৈতিক সচেতন- অথচ এটাই জানেন না দেশের ও জনগণের জন্য কাদের স্পেস দিতে হয়, কাদেরকে স্পেস দিতে হয় না? বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণকারী ও আদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগের মূলনীতিতে বিশ্বাসী হয়েও আওয়ামী লীগের যাবতীয় ভুলের সমালোচনা করেছি। এবং তা করতে আমি কখনোই ভয় পাইনি। কিন্তু, বর্তমানে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইউনূস সরকারের সমালোচনা কি করা সম্ভব দেশে বসে? কেন সম্ভব নয়, করলে
কী হচ্ছে – তার জ্বলন্ত উদাহরণ সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান। একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভূঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নামের আরেকজন সাবেক সচিবকে – যে খবরটি খুব একটা প্রচারণা পায়নি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুগ আগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলম পান্নার কথা না হয় বাদই দিলাম। আজ শুধুমাত্র জামায়াতের মূলনীতি ও দলের নামের ব্যাপারে কথা তুলতেই ডা. জাহিদুর রহমান “নাস্তিক” ট্যাগ খেয়ে নিজের প্রাণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন, জামায়াতের রাজনীতির অধিকার নিয়ে সোচ্চার অথচ একই মানুষ যখন আওয়ামী লীগ নাকি ট্যাগের রাজনীতি করে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকার হরণের পক্ষে কথা বলেন
তখন ডা. জাহিদুর রহমানের নিজেরই সততা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে দেখলাম, তিনি নিজ মুখে বলেছেন বর্তমানে বিসিএস-এর ভাইবা বোর্ডের সদস্য তিনি। আমি কি প্রশ্ন তুলতে পারি না, কোন যোগ্যতা বলে উক্ত বোর্ডের সদস্য হয়েছেন তিনি? কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে? আওয়ামীবিরোধী ব্যক্তি হিসেবে ইউনূস সরকারের অনৈতিক সুবিধা যিনি নিজেই ভোগ করছেন তিনি কী করে অন্য কারো সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন! ডা. জাহেদুর রহমানের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ এই নয়, আমি জামায়াতকে সমর্থন করছি। জামায়াত সম্পর্কে আমার অবস্থান নতুন করে ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন নেই। চেনা বামুনের পৈতা লাগে না। লেখক পরিচিতি: ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ