
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৭২ এর সংবিধান বাঙালির মুক্তিসনদ

গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর বর্বরতা – ৭১ সালের পাকিস্তানি সেনা বর্বরতাকে হার মানায়।

মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব?

টেলিগ্রাম লীগ: আশীর্বাদ নাকি সর্ববৃহৎ দায়ভার?

জাগো বাহে, কুণ্ঠে সবায়?

যে শুদ্ধ রাজনীতির বয়ান দেয় জামায়াত-শিবির, তারা কি তা আদৌ ধারণ করে?

কয়লার রঙ কমলা, খুনির নাম ইউনূস
জুলাই সনদ ও সংস্কার মানে সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের রাম রাজত্ব।
সামছুদ্দীন আজাদ, সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ।

জুলাই বিপ্লবের নামে চলছে উন্মাদনা আর আস্ফালন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার জন্য মাঠে নামে স্বাধীনতা বিরোধী আল বদর, রাজাকার, জঙ্গি - মৌলবাদী, বিএনপি সহ অসংখ্য সংগঠন। মূলত এরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে এক ধরনের আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী হয়ে উঠেছে - এখানে উল্লেখ্য যে বিএনপি ছাড়া ওই সব সংগঠনগুলোর অস্তিত্ব শুধু কাগজে-কলমে, বাস্তবে এসব সংগঠনের কোনো অস্তিত্বই নাই, আগামী একশত বছরেও সংসদের একটি আসনে ও তারা জিততে পারবে না। এমনকি জামাত সর্বশেষ নির্বাচন করে সংসদে মাত্র দুটি আসন পেয়েছিলেন। এই জামাতের অস্তিত্ব অনেকটা বিলীন হওয়ার পথে ছিল। আর বিএনপি পুরোপুরি একটি সন্ত্রাসী
সংগঠন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এই দলের জন্ম দেয়া হয়েছে। এই দলে ভর করেছে দেশবিরোধী কুখ্যাত রাজাকার খুনি বেইমান দেশে নাশকতা সৃষ্টিকারী - সব সন্ত্রাসরা। এরা বিগত ৫৫ বছরে যত অঘটন ঘটিয়েছে এই বাংলাদেশে - সব বিএনপি'র আশ্রয় প্রশ্রয়ে। বিএনপি'র জন্ম দিয়ে গেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব বিখ্যাত ক্রিমিনাল হেনরি কিসিঞ্জার। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবাই জিয়ার আশ্রয় প্রশ্রয়ে - পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে, আবার এই খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এই জিয়া। আবার খুনিদের বিচারের পথ ও রুদ্ধ করেছে এই জিয়া - ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে সই করে। পরবর্তীতে জিয়ার স্ত্রী
ও এই খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় - পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করে, আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তে ভুয়া ভোট করে এক খুনিকে তার সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বানায়। এই বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচন করে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে - সে সময়ও ভোট ডাকাতি করে জয় লাভ করে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী পরিষদের স্থান দেয়। এই থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বিএনপি, হারকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহেরি, জামাত সহ সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে নাশকতা চালায় - আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসায় সবাই মিলে - আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য, কারণ আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে তারা
কোনদিন অন্তত ভোটে জিতবে না - আর ড. ইউনূস সেই কাজটি সফলভাবে করে যাচ্ছেন, তার এই ফ্যাসিবাদী অগণতান্ত্রিক চরিত্র বিশ্বের ইতিহাসে একটি নির্লজ্জ বর্বরতার ঘৃণ্যতম নজির হয়ে থাকবে। আর এই জঙ্গি সন্ত্রাসীরা এবার মাঠে নেমেছে জুলাই সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায় করার জন্য আর সংস্কারের নামে - মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী তালেবান রাষ্ট্র বানানোর জন্য। তারা বলতে চায় বাংলাদেশে নাকি তারা সৎ লোকের শাসন কায়েম করবে আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, দেশে শান্তি - শৃঙ্খলা আর সুখ ফিরিয়ে আনবে। বিগত এক বছরে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি মগের মুলুক, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, আওয়ামী লীগ নিধন, কোটকাচারি, আদালত সর্বত্র জঙ্গিদের পুনর্বাসন
- সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি সন্ত্রাসী জঙ্গি মৌলবাদের আস্তানা। এখানে অপরাধ আর অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নাই। বিগত এক বছরে যে হত্যা ধর্ষণ লুটপাট চুরি ডাকাতি হয়েছে - আমি চেষ্টা করেছি সাধ্যমত তুলে ধরার জন্য। আর গত এক মাসে দেশে যা ঘটেছে - সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতটুকু পেয়েছি আমি লিপিবদ্ধ করে রেখেছি - শুধুমাত্র এক মাসের চিত্রই এখানে তুলে ধরছি - আর এসব থেকে প্রমাণিত হবে জুলাই বিপ্লব ছিলনা - ছিল জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলা আর সংস্কার মানে বাংলাকে পুরোপুরি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলা। নিম্নে ড. ইউনূস - এনসিপি, জামাত, বিএনপির সন্ত্রাসের নমুনা তুলে ধরা হলো। সাদেক হোসেন খোকার
ছেলে ইশরাকের নগর ভবন দখল, ৪০ দিন পর পিছু হটলো। ফরিদপুরে জামাত নেতার বাসা থেকে মাদক, ইয়াবা, আপত্তিকর ভিডিও, পর্নোগ্রাফি সামগ্রী সহ অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার। ফেনীতে জামাত নেতার আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ। দিনে বিএনপি নেতা, রাতে ডাকাত সর্দার সেজে ডাকাতি - সেনাবাহিনীর হাতে আটক। প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সারাদেশে একসাথে। বিমানবন্দরের লাগেজ না কেটে সরাসরি লাগেজ চুরি। নারী এনজিও কর্মী ফারজানা কে দুইদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে পল্লবী বিএনপি নেতা - আসলাম গাজী, পরে হত্যা করে তাকে। ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি বিএনপি নেতার। ঢাকার নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের বিলপল্লী গ্রামের বিএনপির
সন্ত্রাসী ফেরদৌস ফকির বাংলাবাজারের ঝাড়ুদারের ছেলে মিরাজ কে টাকার জন্য হাত-পা বেঁধে পিটাতে থাকে - একপর্যায়ে সে মারা যায়। রাজধানীর একটি হোটেলে মা, বাবা, ছেলেকে জবাই করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি সন্ত্রাসীরা। আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি বিএনপি করেন - তাকে দিগম্বর করে পেটানো হয়। আতাউর রহমান মুকুল নামে আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মীকে হাত পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বিএনপি'র সন্ত্রাসীরা। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জঙ্গিকে আটক করা হয় প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করার কারণে। কক্সবাজারের রাশুতে জামাত ক্যাডারকে চাঁদা না দেয়ায় ভ্যান চালককে পিটিয়ে হত্যা। একজন বাচ্চা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের লাগেজে এ কে ৪৭ রাইফেলের ম্যাগাজিন সহ বিমানবন্দরে ধরা পড়লে কোন বিচার হয়নি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়। সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মহিলা দলের নেত্রীর মাদক বিক্রি। কুমিল্লায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ৪ জন বিএনপি'র গুন্ডা দলের ক্যাডার মিলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুখে টেপ লাগিয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করে হত্যা করে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে। যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে জ্যান্ত কবর দেয় জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা। বাপ্পি নামে এক বিএনপির সন্ত্রাসী ডিবি পুলিশ কে গুলি করে আশুলিয়ায় জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য। খুলনায় হিন্দু নাপিতের উপর হামলা চালিয়ে তার সর্বস্ব লুটপাট করে নিয়ে যায় বিএনপি'র নিকৃষ্ট মনের সন্ত্রাসীরা। পুরান ঢাকায় জুট ব্যবসা নিয়ে মারামারি বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসীদের মধ্যে। শিবির কর্মীরা একাই ট্রেনের বগি দখল - সাথে কয়েকজন মহিলা শিবিরের কর্মী নিয়ে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনেই পেট্রোল বোমা তৈরি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এনসিপি নেতা। সাতক্ষীরা ও ফরিদপুরে জামাত নেতার বাড়ি থেকে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার - কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্কুল শিক্ষককে মারধর - জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করে শিবির ক্যাডাররা। প্রধান শিক্ষককে গাছের সাথে বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করে এনসিপির জঙ্গি সন্ত্রাসীরা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা যুবলীগ কর্মী কামাল গাজীর স্ত্রী কে হাত-পা বেঁধে প্রথমে ধর্ষণ করে পরে মারধর করে বিএনপি'র গুন্ডারা। কুমিল্লার মুরাদ নগরে ঘর ভেঙে হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করে বিএনপি'র ধর্ষক দল। ভোলার এক গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ফরিদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা, ধর্ষিতা নারীর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল - তবুও ধর্ষকদের ধর্ষণ পিপাসা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি এই অসহায় নারী। তিনি বলেছেন বাবা ডেকেছি, ভাই ডেকেছি, কেঁদে কেঁদে আত্মরক্ষা করতে চেয়েছি - থামেনি ধর্ষক দল, পায়ে ধরেছি, কান্নাকাটি করেছি আত্মরক্ষার জন্য, এরপর বাড়িতে এসে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি - পরিবারের দিকে তাকিয়ে করতে পারিনি। এরপরও চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফরিদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এরপরও ধর্ষিতা তার আটক স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আরেক জায়গায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বিএনপির গুন্ডা দলের সদস্য - ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন। এরপরও ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে স্বামী স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই হল আমাদের বাংলাদেশের নিত্য দিনের চিত্র। ড. ইউনূস জঙ্গি সন্ত্রাসীদের প্রতিনিধি হয়ে আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে - বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর পথে হাঁটছেন, জিয়া এবং খালেদা জিয়া এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলুপ্ত করার জন্য যে কাজগুলো করেছেন - ড. ইউনূস হুবহু একই কাজগুলো করছেন। জিয়া পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আজমকে বাংলাদেশের ফিরিয়ে এনে তাকে পাসপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে, জিয়া যুদ্ধাপরাধী - রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছে, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার শাহ আজিজ কে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে, আর খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছে এবং কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী - নিজামি, মুজাহেদী, কাদের মোল্লা, সাকা চৌধুরীর মত ডাকাতদের মন্ত্রী বানিয়ে পাকিস্তান নামক পরাজিত শক্তিকে খুশি করেছে। আজ ড. ইউনূস ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে, একইভাবে সন্ত্রাসী বিএনপি'র সব অপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে খুশি করেছে - যাতে তারা আন্দোলন না করে এবং ড. ইউনূস দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
সংগঠন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এই দলের জন্ম দেয়া হয়েছে। এই দলে ভর করেছে দেশবিরোধী কুখ্যাত রাজাকার খুনি বেইমান দেশে নাশকতা সৃষ্টিকারী - সব সন্ত্রাসরা। এরা বিগত ৫৫ বছরে যত অঘটন ঘটিয়েছে এই বাংলাদেশে - সব বিএনপি'র আশ্রয় প্রশ্রয়ে। বিএনপি'র জন্ম দিয়ে গেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্ব বিখ্যাত ক্রিমিনাল হেনরি কিসিঞ্জার। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবাই জিয়ার আশ্রয় প্রশ্রয়ে - পৃষ্ঠপোষকতায় থেকে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে, আবার এই খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এই জিয়া। আবার খুনিদের বিচারের পথ ও রুদ্ধ করেছে এই জিয়া - ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে সই করে। পরবর্তীতে জিয়ার স্ত্রী
ও এই খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় - পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করে, আবার ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ তে ভুয়া ভোট করে এক খুনিকে তার সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বানায়। এই বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচন করে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে - সে সময়ও ভোট ডাকাতি করে জয় লাভ করে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী পরিষদের স্থান দেয়। এই থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বিএনপি, হারকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহেরি, জামাত সহ সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে নাশকতা চালায় - আওয়ামীলীগ সরকারের পতন ঘটে। ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসায় সবাই মিলে - আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য, কারণ আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে তারা
কোনদিন অন্তত ভোটে জিতবে না - আর ড. ইউনূস সেই কাজটি সফলভাবে করে যাচ্ছেন, তার এই ফ্যাসিবাদী অগণতান্ত্রিক চরিত্র বিশ্বের ইতিহাসে একটি নির্লজ্জ বর্বরতার ঘৃণ্যতম নজির হয়ে থাকবে। আর এই জঙ্গি সন্ত্রাসীরা এবার মাঠে নেমেছে জুলাই সন্ত্রাসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আদায় করার জন্য আর সংস্কারের নামে - মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী তালেবান রাষ্ট্র বানানোর জন্য। তারা বলতে চায় বাংলাদেশে নাকি তারা সৎ লোকের শাসন কায়েম করবে আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, দেশে শান্তি - শৃঙ্খলা আর সুখ ফিরিয়ে আনবে। বিগত এক বছরে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি মগের মুলুক, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, আওয়ামী লীগ নিধন, কোটকাচারি, আদালত সর্বত্র জঙ্গিদের পুনর্বাসন
- সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে একটি সন্ত্রাসী জঙ্গি মৌলবাদের আস্তানা। এখানে অপরাধ আর অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নাই। বিগত এক বছরে যে হত্যা ধর্ষণ লুটপাট চুরি ডাকাতি হয়েছে - আমি চেষ্টা করেছি সাধ্যমত তুলে ধরার জন্য। আর গত এক মাসে দেশে যা ঘটেছে - সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতটুকু পেয়েছি আমি লিপিবদ্ধ করে রেখেছি - শুধুমাত্র এক মাসের চিত্রই এখানে তুলে ধরছি - আর এসব থেকে প্রমাণিত হবে জুলাই বিপ্লব ছিলনা - ছিল জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলা আর সংস্কার মানে বাংলাকে পুরোপুরি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলা। নিম্নে ড. ইউনূস - এনসিপি, জামাত, বিএনপির সন্ত্রাসের নমুনা তুলে ধরা হলো। সাদেক হোসেন খোকার
ছেলে ইশরাকের নগর ভবন দখল, ৪০ দিন পর পিছু হটলো। ফরিদপুরে জামাত নেতার বাসা থেকে মাদক, ইয়াবা, আপত্তিকর ভিডিও, পর্নোগ্রাফি সামগ্রী সহ অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধার। ফেনীতে জামাত নেতার আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ। দিনে বিএনপি নেতা, রাতে ডাকাত সর্দার সেজে ডাকাতি - সেনাবাহিনীর হাতে আটক। প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সারাদেশে একসাথে। বিমানবন্দরের লাগেজ না কেটে সরাসরি লাগেজ চুরি। নারী এনজিও কর্মী ফারজানা কে দুইদিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে পল্লবী বিএনপি নেতা - আসলাম গাজী, পরে হত্যা করে তাকে। ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি বিএনপি নেতার। ঢাকার নবাবগঞ্জের নয়নশ্রী ইউনিয়নের বিলপল্লী গ্রামের বিএনপির
সন্ত্রাসী ফেরদৌস ফকির বাংলাবাজারের ঝাড়ুদারের ছেলে মিরাজ কে টাকার জন্য হাত-পা বেঁধে পিটাতে থাকে - একপর্যায়ে সে মারা যায়। রাজধানীর একটি হোটেলে মা, বাবা, ছেলেকে জবাই করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় বিএনপি সন্ত্রাসীরা। আওয়ামীলীগের দোসর আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি বিএনপি করেন - তাকে দিগম্বর করে পেটানো হয়। আতাউর রহমান মুকুল নামে আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মীকে হাত পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বিএনপি'র সন্ত্রাসীরা। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জঙ্গিকে আটক করা হয় প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করার কারণে। কক্সবাজারের রাশুতে জামাত ক্যাডারকে চাঁদা না দেয়ায় ভ্যান চালককে পিটিয়ে হত্যা। একজন বাচ্চা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের লাগেজে এ কে ৪৭ রাইফেলের ম্যাগাজিন সহ বিমানবন্দরে ধরা পড়লে কোন বিচার হয়নি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়। সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মহিলা দলের নেত্রীর মাদক বিক্রি। কুমিল্লায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ৪ জন বিএনপি'র গুন্ডা দলের ক্যাডার মিলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুখে টেপ লাগিয়ে ইলেকট্রিক শক দিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করে হত্যা করে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে। যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগ কর্মীকে জ্যান্ত কবর দেয় জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা। বাপ্পি নামে এক বিএনপির সন্ত্রাসী ডিবি পুলিশ কে গুলি করে আশুলিয়ায় জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য। খুলনায় হিন্দু নাপিতের উপর হামলা চালিয়ে তার সর্বস্ব লুটপাট করে নিয়ে যায় বিএনপি'র নিকৃষ্ট মনের সন্ত্রাসীরা। পুরান ঢাকায় জুট ব্যবসা নিয়ে মারামারি বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসীদের মধ্যে। শিবির কর্মীরা একাই ট্রেনের বগি দখল - সাথে কয়েকজন মহিলা শিবিরের কর্মী নিয়ে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনেই পেট্রোল বোমা তৈরি করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এনসিপি নেতা। সাতক্ষীরা ও ফরিদপুরে জামাত নেতার বাড়ি থেকে স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার - কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্কুল শিক্ষককে মারধর - জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করে শিবির ক্যাডাররা। প্রধান শিক্ষককে গাছের সাথে বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করে এনসিপির জঙ্গি সন্ত্রাসীরা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে উপজেলা যুবলীগ কর্মী কামাল গাজীর স্ত্রী কে হাত-পা বেঁধে প্রথমে ধর্ষণ করে পরে মারধর করে বিএনপি'র গুন্ডারা। কুমিল্লার মুরাদ নগরে ঘর ভেঙে হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করে বিএনপি'র ধর্ষক দল। ভোলার এক গৃহবধূকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক ফরিদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা, ধর্ষিতা নারীর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল - তবুও ধর্ষকদের ধর্ষণ পিপাসা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি এই অসহায় নারী। তিনি বলেছেন বাবা ডেকেছি, ভাই ডেকেছি, কেঁদে কেঁদে আত্মরক্ষা করতে চেয়েছি - থামেনি ধর্ষক দল, পায়ে ধরেছি, কান্নাকাটি করেছি আত্মরক্ষার জন্য, এরপর বাড়িতে এসে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি - পরিবারের দিকে তাকিয়ে করতে পারিনি। এরপরও চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফরিদ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এরপরও ধর্ষিতা তার আটক স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আরেক জায়গায় আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বিএনপির গুন্ডা দলের সদস্য - ফরিদ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন। এরপরও ঘটনা কাউকে না বলার শর্তে স্বামী স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই হল আমাদের বাংলাদেশের নিত্য দিনের চিত্র। ড. ইউনূস জঙ্গি সন্ত্রাসীদের প্রতিনিধি হয়ে আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে - বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর পথে হাঁটছেন, জিয়া এবং খালেদা জিয়া এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলুপ্ত করার জন্য যে কাজগুলো করেছেন - ড. ইউনূস হুবহু একই কাজগুলো করছেন। জিয়া পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আজমকে বাংলাদেশের ফিরিয়ে এনে তাকে পাসপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে, জিয়া যুদ্ধাপরাধী - রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছে, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার শাহ আজিজ কে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে, আর খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছে এবং কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী - নিজামি, মুজাহেদী, কাদের মোল্লা, সাকা চৌধুরীর মত ডাকাতদের মন্ত্রী বানিয়ে পাকিস্তান নামক পরাজিত শক্তিকে খুশি করেছে। আজ ড. ইউনূস ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে দিয়েছে, একইভাবে সন্ত্রাসী বিএনপি'র সব অপরাধীদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে খুশি করেছে - যাতে তারা আন্দোলন না করে এবং ড. ইউনূস দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন।