
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মার্কিনী শুল্কনীতিতে এ বছর কমবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি

‘ব্যাংক খাত পুনর্গঠনে ৩৫ বিলিয়ন ডলার লাগবে’

রেমিট্যান্স আসা শীর্ষ ১০ দেশ

ভারতের কাছে যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানির একচেটিয়া সুযোগ হারালো বাংলাদেশ

নারী কর্মীদের ছোট হাতা-স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক ও লেগিংস পরা যাবে না, বাংলাদেশ ব্যাংকে আদেশ জারি

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

দুয়ার কেলেঙ্কারিতে বড় লোকসানে অগ্রণী ব্যাংক
মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে কমতে পারে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির প্রভাবে এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ (এডিও) প্রতিবেদনের জুলাই ২০২৫ সংস্করণে এ কথা বলা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, সদ্য শুরু হওয়া অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ধরা হয়েছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে রপ্তানি ও শিল্প খাতের ধীরগতির কথা বলা হয়েছে।
এর আগে এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি। তবে সর্বশেষ সংস্করণে তা আরো কম হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়া হলেও এর সুনির্দিষ্ট হার বা তা কত শতাংশ পয়েন্ট কমতে পারে, সে বিষয়ে সরাসরি কোনো তথ্য উল্লেখ
করা হয়নি। বাংলাদেশী পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ নীতি কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট। এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে সঙ্গে দর-কষাকষি করছে বাংলাদেশ সরকার। এ নীতি কার্যকর হলে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্যগুলোর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, এতে পণ্যের রফতানি ব্যাপকভাবে কমতে পারে। আর এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে এডিবির জুলাই সংস্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এর পেছনে বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা, কড়াকড়ি আর্থিক ও রাজস্বনীতি ভূমিকা রেখেছে। একই কারণে ২০২৬ অর্থবছরের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এডিবি মনে করে, বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির অবনতি ও অনিশ্চয়তার কারণে চলতি বছর
এশিয়া-প্যাসিফিকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতিগুলো। সংস্থাটির নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। ২০২৬ সালে এ হার হতে পারে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দুই বছরের জন্যই এ অঞ্চলের প্রক্ষেপিত প্রবৃদ্ধির হার কমানো হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাংশীয় পয়েন্ট। সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৫ পঞ্জিকাবর্ষে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে গত এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে তা ৪ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২৬ সালের জন্যও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ করেছে এডিবি। এপ্রিলের প্রতিবেদনে ২০২৬ পঞ্জিকাবর্ষে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ
করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতিবেদন এডিবি সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র শুল্কহার আরও বাড়ালে ও বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্রতর হলে শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়; সার্বিকভাবে গোটা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলেরই অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে তুলছে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। একই সঙ্গে চীনের রিয়েল এস্টেট খাতের দুরবস্থাও এ অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
করা হয়নি। বাংলাদেশী পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের এ নীতি কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট। এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে সঙ্গে দর-কষাকষি করছে বাংলাদেশ সরকার। এ নীতি কার্যকর হলে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের পণ্যগুলোর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করতে বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, এতে পণ্যের রফতানি ব্যাপকভাবে কমতে পারে। আর এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে এডিবির জুলাই সংস্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এর পেছনে বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা, কড়াকড়ি আর্থিক ও রাজস্বনীতি ভূমিকা রেখেছে। একই কারণে ২০২৬ অর্থবছরের পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এডিবি মনে করে, বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির অবনতি ও অনিশ্চয়তার কারণে চলতি বছর
এশিয়া-প্যাসিফিকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতিগুলো। সংস্থাটির নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। ২০২৬ সালে এ হার হতে পারে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দুই বছরের জন্যই এ অঞ্চলের প্রক্ষেপিত প্রবৃদ্ধির হার কমানো হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাংশীয় পয়েন্ট। সংস্থাটির হিসাবে, ২০২৫ পঞ্জিকাবর্ষে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে গত এপ্রিলে দেয়া পূর্বাভাসে তা ৪ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল। এছাড়া ২০২৬ সালের জন্যও প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ করেছে এডিবি। এপ্রিলের প্রতিবেদনে ২০২৬ পঞ্জিকাবর্ষে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ
করা হয়েছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রতিবেদন এডিবি সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্র শুল্কহার আরও বাড়ালে ও বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্রতর হলে শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নয়; সার্বিকভাবে গোটা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলেরই অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে তুলছে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। একই সঙ্গে চীনের রিয়েল এস্টেট খাতের দুরবস্থাও এ অঞ্চলের গড় প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।