
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গোপালগঞ্জে সৃষ্টি হলো ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়

নিউইয়র্কে ‘আরজিবি’ ও ‘সাউদার্ন ব্রিজ’-এর জমজমাট কনসার্ট!

শেখ হাসিনার কারাদন্ডের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে আ.লীগের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন’র আত্মপ্রকাশ

সাউথ এশিয়ান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল-এ মঞ্চস্থ হলো ‘ভুল থেকে ফুল’-টিপু আলম

নিউ ইয়র্কে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলা ও চড়ুইভাতি ২০২৫

নিউইয়র্ক টাইমস স্কয়ারে দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ
নিউইয়র্কে ‘আমরা মুজিব’র পুনর্মিলনী সমাবেশ

বাংলাদেশকে আবারো হায়েনামুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে এগিয়ে চলার লক্ষ্যে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন-লড়াই অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নব্য জঙ্গি ইউনূসের লেলিয়ে দেয়া ঘাতকদের হাতে নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার ইস্পাতদৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা হলো ১৯ জুলাই ‘আমরা মুজিব’র পুনমিলনী সমাবেশে। নিউইয়র্ক স্টেটের ইয়র্কটাউনে ‘এফডিআর স্টেট পার্ক’র মনোরম পরিবেশে একদল তরুণের সমন্বয়ে গঠিত ‘আমরা মুজিব’র এই সমাবেশে সকল বয়েসী বাঙালির অভ’তপূর্ব উপস্থিতি নবউদ্যমে গর্জে উঠেছিল একাত্তরের স্মৃতি রোমন্থনের মধ্যদিয়ে। আর ক্ষণে ক্ষণে ধ্বনিত হওয়া জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে সবুজের শ্যামলিমাটি পরিণত হয় লড়াইয়ের উজ্জীবিত একটি আবহে। সেই আমেজ আরো শানিত করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম
তার জ্বালাময়ী বক্তব্যে। তিনি বললেন, ‘হয়তো এখোন রাত গভীর, গোপালগঞ্জে যে নীপিড়ন হয়েছে, যে ছবিটি আজ প্রতিটি মানুষের মোবাইল মোবাইলে ঘুরে ফিরছে, ভাইরাল হয়েছে, এই ছবির সাথে পাকিস্তানী আর্মি এবং বাংলাদেশ আর্মির কোন ধরনের পার্থক্য নির্নয় করা কঠিন। যেভাবে মুজিব প্রেমীকে বিনা কারণে চ্যাঙদোলা করে লাথি মেরে মেরে হত্যা করা হচ্ছিল, তার কোন পার্থক্য পাওয়া যাচ্ছিল না পাকিস্তানীদের সাথে। কিন্তু আজ ওরা জানে না গোপালগঞ্জের সেই অঙ্গিস্ফুলিঙ্গ পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। গোপালগঞ্জে যখোন তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল ভেঙ্গে ফেলার দম্ভ দেখিয়ে ‘মার্চ ফর গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল, তখোন গোপালগঞ্জের মানুষ জানতো এখানে আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে আমাদের ওপর হামলা হতে পারে, আমাদের
রক্ত ঝরতে পারে, আমাদের গ্রেফতার করা হতে পারে, আমাদের মেরে ফেলা হতে পারে। সব জেনেও যখোন কেউ এগিয়ে যায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে, সব জেনেও যখোন কেউ ক্ষুদিরাম হতে চায়, সব বুঝেও যখোন কেউ তিতুমির হতে চায়, বাশের কেল্লা নির্মাণ করে যুদ্ধ করতে চায়, সেই তিতুমির-ক্ষদিরাম যেমন হারেনি, এই বাঙালি, এই মুজিব প্রেমিরাও হারতে পারে না। আজকের এই পুনর্মিলনী সভা আমাদেরকে নতুন করে সেই শিক্ষাই দেয়’। চলমান এই আন্দোলন-লড়াইয়ে একজন যোদ্ধা হিসেবে নিরন্তরভাবে সাথে থাকতে আমিনুল ইসলামের মত অঙ্গিকার করেছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টে বাংলাদেশে
সন্ত্রাসবাদ আর লুটেরাদের তান্ডলিলার পরিপ্রেক্ষিতে ভীত-সন্ত্রস্ত্র অনেকে ভেবেছিলেন যে তারা আর আওয়ামী লীগ করবেন না। ঠিক তেমনি সময়ে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের ১৭ জন উদ্দমী তরুণ একত্রিত হয়েছেন ‘আমরা মুজিব’র ব্যানারে। সময়ের ঐতিহাসিক তাগিদে জন্ম নেয়া ‘আমরা মুজিব’র কার্যক্রমকে একইধারায় এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে গতানুগতিকভাবে পদ-পদবির ধার ধারেননি। সকলেই এর সদস্য হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ‘আমরা মুজিব’র একটি স্থায়ী অফিস করেছেন। যে কারণে আমার মতো অসংখ্য মুজিবপ্রেমি আপনাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মাঠে থাকার সুযোগ পাচ্ছি। ‘আমরা মুজিব’র সকলকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। কাদের মিয়া বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, নানাবিধ কারণ আর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমার মত অনেকের মনেই দু:খ-কষ্ট, মান-অভিমান তৈরী হতে পারে। সে
সবকে দূরে সরিয়ে রাখতে সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ রাখবো আওয়ামী লীগের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে যেখানেই আমরা একত্রিত হই না কেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উজ্জীবিত রাখতে। এমন সৌহার্দ আর ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখেই যেন চলমান আন্দোলনের সফল পরিণতি ঘটাতে পারি। কাদের মিয়া উল্লেখ করেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক হায়েনা এবং তার দোসর আলবদর-রাজাকারের নৃশংসতা দেখতে পারিনি শুধু ইতিহাসে পড়েছি। গোপালগঞ্জে যা হয়েছে এবং হচ্ছে তা স্বাধীনতা যুদ্ধের জঘন্য বর্বরতাকেও হার মানিয়ে ফেলছে। সমাবেশে বক্তব্যকালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখক-কলামিস্ট শামসুদ্দিন আজাদ ক্ষোভের সাথে বলেন, ৫ আগস্টের কয়েক বছর আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে সাংগঠনিক প্রতিযোগিতা থাকায় আমরা এই
যুক্তরাষ্ট্রের নানাভাবে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করেছি। ইউনূসের সুদূরপ্রসারি নীল নক্সার মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান ঘটার পরও আমরা একই আদর্শের মানুষ হয়েও ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। তেমনি একটি অবস্থায় সন্দ্বীপের কিছু তরুণ আমাদের দেখিয়েছে সময়ের প্রয়োজনে ঐক্যের ব্যাপারটি। একই আদর্শে বিশ্বাসী সকলকে একটি প্ল্যাটফর্মে জড়ো করার মত চমৎকার একটি পরিবেশ তৈরীতেও তারা সক্ষম হয়েছেন। আমি অভিভূত সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মুজিব প্রেমিরা আজকে উপস্থিত হওয়ায়। ঐক্যের সুবাতাস সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে প্রিয় মাতৃভ’মিকে নব্য হায়েনার কবল থেকে মুক্ত করার জন্যে। লায়ন ফজলুল কাদের কাদের, শিতাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকের ভ’ইয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফ,
সন্দ্বীপ পৌরসভা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাফরউল্লাহ সহ অন্য অতিথিরাও একই সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ‘আমরা মুজিব’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আবু তাহের তার স্বাগত বক্তব্যে চার শতাধিক প্রবাসীর এই সমাবেশে উল্লেখ করেন, ঐক্য, ঐক্য আর ঐক্য-এটাই সময়ের দাবি। সে কারণে গতানুগতিক সবকিছু আমরা পরিহার করেছি। কর্মসূচিতে কখনো মঞ্চ থাকে না। সভাপতি, সেক্রেটারির বালাই যেমন নেই, তেমনিভাবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথির রেওয়াজও নেই। অর্থাৎ আমরা সকলেই একই কাতারের কর্মী এবং একইভাবে কাজ চাালিয়ে যেতে চাই। এ সময় ‘আমরা মুজিব’র আরেক সদস্য আবুল হাসান মহিউদ্দিন সংগঠনের সকল সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সেখানে ছিলেন মনিরুল কাওসার, হুমায়ূন কবীর, ফজলে এলাহি মার্শাল, মো, কবীর, মোশারফ হোসেন, মনিরুল কাওসার, মোহাম্মদ তোহা, মেসবাহউদ্দিন তুহিন, মাকসুদুল আলম, শাহাদৎ হোসেন, মো. শাহাদৎ হোসেন, শফিকুল আলম, মোসাদ্দেকুর রহমান পেয়ারো, শামসুল আলম, আলাউদ্দিন প্রমুখ। মাওলানা আবুল কাশেম কর্তৃক পবিত্র কোরআন থেকে এবং মাখন লাল বিশ্বাস কর্তৃক পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মধ্যদিয়ে শুরু পুুনর্মিলনী সমাবেশে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন আবুল হাসেম, নজরুল ইসলাম বাবুল, মোবাশ্বির হোসেন, সিরাজুল মাওলা, আব্দুল জলিল, ইদ্রিস আহমেদ, চন্দন দত্ত, ইমদাদ চৌধুরী, রাফায়েত চৌধুরী, আব্দুল হামিদ, জহিরুল ইসলাম ইরান, এটিএম রহমান, মাস্টার ইলিয়াস খান, সুলতান আহমেদ, এন আমিন, ইসমত হক খোকন প্রমুখ। ছোট্টমনি এবং নারীদের জন্যেও ছিল বিনোদনমূলক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তবে পুরো আয়োজন ঘিরেই বিরাজিত ছিল বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সকলেই সংকল্পবদ্ধ হয়ে ঘরে ফিরেছেন জঙ্গিদের কবল থেকে প্রিয় মাতৃভ’মিকে মুক্ত করার আন্দোলনের সফল সমাপ্তি পর্যন্ত সরব থাকার।
তার জ্বালাময়ী বক্তব্যে। তিনি বললেন, ‘হয়তো এখোন রাত গভীর, গোপালগঞ্জে যে নীপিড়ন হয়েছে, যে ছবিটি আজ প্রতিটি মানুষের মোবাইল মোবাইলে ঘুরে ফিরছে, ভাইরাল হয়েছে, এই ছবির সাথে পাকিস্তানী আর্মি এবং বাংলাদেশ আর্মির কোন ধরনের পার্থক্য নির্নয় করা কঠিন। যেভাবে মুজিব প্রেমীকে বিনা কারণে চ্যাঙদোলা করে লাথি মেরে মেরে হত্যা করা হচ্ছিল, তার কোন পার্থক্য পাওয়া যাচ্ছিল না পাকিস্তানীদের সাথে। কিন্তু আজ ওরা জানে না গোপালগঞ্জের সেই অঙ্গিস্ফুলিঙ্গ পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। গোপালগঞ্জে যখোন তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল ভেঙ্গে ফেলার দম্ভ দেখিয়ে ‘মার্চ ফর গোপালগঞ্জ’ ঘোষণা করেছিল, তখোন গোপালগঞ্জের মানুষ জানতো এখানে আমরা যদি প্রতিবাদ করি তাহলে আমাদের ওপর হামলা হতে পারে, আমাদের
রক্ত ঝরতে পারে, আমাদের গ্রেফতার করা হতে পারে, আমাদের মেরে ফেলা হতে পারে। সব জেনেও যখোন কেউ এগিয়ে যায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে, সব জেনেও যখোন কেউ ক্ষুদিরাম হতে চায়, সব বুঝেও যখোন কেউ তিতুমির হতে চায়, বাশের কেল্লা নির্মাণ করে যুদ্ধ করতে চায়, সেই তিতুমির-ক্ষদিরাম যেমন হারেনি, এই বাঙালি, এই মুজিব প্রেমিরাও হারতে পারে না। আজকের এই পুনর্মিলনী সভা আমাদেরকে নতুন করে সেই শিক্ষাই দেয়’। চলমান এই আন্দোলন-লড়াইয়ে একজন যোদ্ধা হিসেবে নিরন্তরভাবে সাথে থাকতে আমিনুল ইসলামের মত অঙ্গিকার করেছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল কাদের মিয়া। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টে বাংলাদেশে
সন্ত্রাসবাদ আর লুটেরাদের তান্ডলিলার পরিপ্রেক্ষিতে ভীত-সন্ত্রস্ত্র অনেকে ভেবেছিলেন যে তারা আর আওয়ামী লীগ করবেন না। ঠিক তেমনি সময়ে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনের ১৭ জন উদ্দমী তরুণ একত্রিত হয়েছেন ‘আমরা মুজিব’র ব্যানারে। সময়ের ঐতিহাসিক তাগিদে জন্ম নেয়া ‘আমরা মুজিব’র কার্যক্রমকে একইধারায় এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে গতানুগতিকভাবে পদ-পদবির ধার ধারেননি। সকলেই এর সদস্য হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। তারা চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ‘আমরা মুজিব’র একটি স্থায়ী অফিস করেছেন। যে কারণে আমার মতো অসংখ্য মুজিবপ্রেমি আপনাদের সহযোদ্ধা হিসেবে মাঠে থাকার সুযোগ পাচ্ছি। ‘আমরা মুজিব’র সকলকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। কাদের মিয়া বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, নানাবিধ কারণ আর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমার মত অনেকের মনেই দু:খ-কষ্ট, মান-অভিমান তৈরী হতে পারে। সে
সবকে দূরে সরিয়ে রাখতে সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ রাখবো আওয়ামী লীগের ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে যেখানেই আমরা একত্রিত হই না কেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ উজ্জীবিত রাখতে। এমন সৌহার্দ আর ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখেই যেন চলমান আন্দোলনের সফল পরিণতি ঘটাতে পারি। কাদের মিয়া উল্লেখ করেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাক হায়েনা এবং তার দোসর আলবদর-রাজাকারের নৃশংসতা দেখতে পারিনি শুধু ইতিহাসে পড়েছি। গোপালগঞ্জে যা হয়েছে এবং হচ্ছে তা স্বাধীনতা যুদ্ধের জঘন্য বর্বরতাকেও হার মানিয়ে ফেলছে। সমাবেশে বক্তব্যকালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখক-কলামিস্ট শামসুদ্দিন আজাদ ক্ষোভের সাথে বলেন, ৫ আগস্টের কয়েক বছর আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে সাংগঠনিক প্রতিযোগিতা থাকায় আমরা এই
যুক্তরাষ্ট্রের নানাভাবে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করেছি। ইউনূসের সুদূরপ্রসারি নীল নক্সার মধ্যদিয়ে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান ঘটার পরও আমরা একই আদর্শের মানুষ হয়েও ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। তেমনি একটি অবস্থায় সন্দ্বীপের কিছু তরুণ আমাদের দেখিয়েছে সময়ের প্রয়োজনে ঐক্যের ব্যাপারটি। একই আদর্শে বিশ্বাসী সকলকে একটি প্ল্যাটফর্মে জড়ো করার মত চমৎকার একটি পরিবেশ তৈরীতেও তারা সক্ষম হয়েছেন। আমি অভিভূত সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের মুজিব প্রেমিরা আজকে উপস্থিত হওয়ায়। ঐক্যের সুবাতাস সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে প্রিয় মাতৃভ’মিকে নব্য হায়েনার কবল থেকে মুক্ত করার জন্যে। লায়ন ফজলুল কাদের কাদের, শিতাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকের ভ’ইয়া, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ হানিফ,
সন্দ্বীপ পৌরসভা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাফরউল্লাহ সহ অন্য অতিথিরাও একই সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ‘আমরা মুজিব’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আবু তাহের তার স্বাগত বক্তব্যে চার শতাধিক প্রবাসীর এই সমাবেশে উল্লেখ করেন, ঐক্য, ঐক্য আর ঐক্য-এটাই সময়ের দাবি। সে কারণে গতানুগতিক সবকিছু আমরা পরিহার করেছি। কর্মসূচিতে কখনো মঞ্চ থাকে না। সভাপতি, সেক্রেটারির বালাই যেমন নেই, তেমনিভাবে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথির রেওয়াজও নেই। অর্থাৎ আমরা সকলেই একই কাতারের কর্মী এবং একইভাবে কাজ চাালিয়ে যেতে চাই। এ সময় ‘আমরা মুজিব’র আরেক সদস্য আবুল হাসান মহিউদ্দিন সংগঠনের সকল সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় সেখানে ছিলেন মনিরুল কাওসার, হুমায়ূন কবীর, ফজলে এলাহি মার্শাল, মো, কবীর, মোশারফ হোসেন, মনিরুল কাওসার, মোহাম্মদ তোহা, মেসবাহউদ্দিন তুহিন, মাকসুদুল আলম, শাহাদৎ হোসেন, মো. শাহাদৎ হোসেন, শফিকুল আলম, মোসাদ্দেকুর রহমান পেয়ারো, শামসুল আলম, আলাউদ্দিন প্রমুখ। মাওলানা আবুল কাশেম কর্তৃক পবিত্র কোরআন থেকে এবং মাখন লাল বিশ্বাস কর্তৃক পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মধ্যদিয়ে শুরু পুুনর্মিলনী সমাবেশে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন আবুল হাসেম, নজরুল ইসলাম বাবুল, মোবাশ্বির হোসেন, সিরাজুল মাওলা, আব্দুল জলিল, ইদ্রিস আহমেদ, চন্দন দত্ত, ইমদাদ চৌধুরী, রাফায়েত চৌধুরী, আব্দুল হামিদ, জহিরুল ইসলাম ইরান, এটিএম রহমান, মাস্টার ইলিয়াস খান, সুলতান আহমেদ, এন আমিন, ইসমত হক খোকন প্রমুখ। ছোট্টমনি এবং নারীদের জন্যেও ছিল বিনোদনমূলক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তবে পুরো আয়োজন ঘিরেই বিরাজিত ছিল বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সকলেই সংকল্পবদ্ধ হয়ে ঘরে ফিরেছেন জঙ্গিদের কবল থেকে প্রিয় মাতৃভ’মিকে মুক্ত করার আন্দোলনের সফল সমাপ্তি পর্যন্ত সরব থাকার।