ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনে কানাডার সহযোগিতা চায় জামায়াত – ইউ এস বাংলা নিউজ




ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনে কানাডার সহযোগিতা চায় জামায়াত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ জুন, ২০২৫ | ৫:০৯ 74 ভিউ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য কানাডার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার দুপুরে মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্ব বৈঠকে অংশ নেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা.

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বৈঠকে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুরোধ করেছি। তারা সেটিতে সম্মত হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন ও যে রিফর্ম (সংস্কার) হচ্ছে সে বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে যে সংস্কার

প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় পথ ও মতের ভিত্তিতে কাজ করছি। কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অগ্রগতিও হয়েছে। আর্টিকেল ৭০, স্ট্যান্ডিং কমিটির কথা বলেছি। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি। নারী আসনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছি। জামায়াতে ইসলামী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চায়, সেটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি। আপার ও লোয়ার হাউজ সংক্রান্ত যে কনডিশনাল অগ্রগতি হয়েছে সেটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেসিক একটা চেঞ্জ দরকার। পাওয়ারকে ব্যালেন্স করবে, কোনো একজন ব্যক্তিকে একনায়ক বা স্বৈরশাসক বা ডিক্টেটর হওয়ার মতো অবস্থায় যেতে না পারে সেজন্য ১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

একটি দলের পক্ষ থেকে আপত্তি আসছে। তারা দলীয়ভাবে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন। ‘বাংলাদেশে আজকের পরিস্থিতির জন্য যে প্রধান কারণ সেটা হচ্ছে ভোটারবিহীন জবরদখলের নির্বাচন। পরপর তিনটি নির্বাচনই ছিল এমন। যার কারণে সংকট এমনভাবে ঘনীভূত হয়েছে যে, একটি সরকারের শুধু পরিবর্তনই হয়নি, বিদায় হয়নি, দেশত্যাগ করার মতো একটি পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা আর দেশে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চাই না, সেটা স্পষ্ট করে বলেছি।’ জামায়াতের এ শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, আমরা বলেছি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি ফ্রি ফেয়ার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। যার মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা ও সুস্থ রাজনীতি ফিরে আসবে। যদি এটা এবার না-হয় তাহলে আগের চেয়েও বড় ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হতে

পারি, সেই আশঙ্কার কথা আমরা তুলে ধরেছি। ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেছেন, তারা এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ক্লোজলি অবজার্ভ করবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সামনে আলাপ করবে। নির্বাচনের আগেই যাতে লেবেল ফিল্ড থাকে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এ ব্যাপারে তারা তাদের অবজারভেশন ও মতামত দেবেন।’ মো. তাহের বলেন, আমরা আরেকটা কথা বলেছি, যেখানে সিল মারা হবে সেটা বাদে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য। এজন্য অনেক টাকাও লাগবে এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অজুহাত- এতো টাকা ও বাজেট পাবো কোথায়! আমরা কানাডাকে অনুরোধ করেছি সেই বাজেট দেওয়ার জন্য। একটি দল বা দেশ যদি বাজেট দিতে না

পারে তাহলে আপনারা কয়েকটি দেশ কনসোর্টিয়াম করে ইউএনডিপির মাধ্যমে এই বাজেট দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। কানাডার হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জুলাই সনদ ও সংস্কার মানে সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের রাম রাজত্ব। রাতের আঁধারে চুপিচুপি প্রেমিকার ঘরে ঢুকে ঘুমিয়েই পড়লেন প্রেমিক! ঘুম ভাঙতেই যা ঘটল সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধসহ ৭ নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্ট-প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রামগতিতে ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনায় নিহত বেড়ে ২ নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুতিন, দাবি জেলেনস্কির রিয়া মনির তালাক-নোটিশ পেয়ে জানাজার দিনক্ষণ জানালেন হিরো আলম ‘আপনাকে কে বসিয়েছে তার কলিজা খুলে ফেলব’— শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে বিএনপি নেতার হুমকি ‘চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পরলে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার’ এইবার আর চুপ নয় সমস্ত শক্তি দিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব: কৃষ্ণা বালা রানী ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ঢাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ আজ সপ্তাহখানেকের মধ্যে একীভূত হচ্ছে ৫ ইসলামী ব্যাংক: গভর্নর সহস্র বছরের জ্ঞানের বাতিঘর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৩.৫০ বিলিয়ন ডলার ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প সাবেক স্ত্রীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার কুষ্টিয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার গাজায় আশা জাগাতে ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ কাজে লাগাচ্ছে তুরস্ক: এরদোগান ইমরানের জামিন আবেদন নিয়ে পাঞ্জাব সরকারকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট