
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সকালে সেনাবাহিনীর দরবার: নির্বাচন ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

প্রবাসীদের মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল, সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা

সুরক্ষা চেয়ে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা!

আজও তালাবদ্ধ নগর ভবন, নাগরিক সেবা ব্যাহত

সচিবালয়ে কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি

পিপিপিতে গুরুত্ব দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ ৮ প্রকল্প

গণতন্ত্রের পথে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার ওপর উগ্রবাদী জামায়াত-শিবিরের মব হামলা

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার উপর আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের নেতৃত্বে একদল উগ্রবাদী মব সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তাকে জুতা দিয়ে আঘাত করা এবং জুতার মালা পরানোর মতো ন্যক্কারজনক অপমান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হামলার পর স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলে তিনি বর্তমানে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৯ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর জলীলের অধীনে সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধের মাঠে
নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নামে পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়তো। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন, তার উপর এই নৃশংস হামলাকে অনেকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অপমান এবং রাজাকারদের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার একটি এলাকায় আজ সন্ধ্যায় কে এম নুরুল হুদাকে একদল উগ্রবাদী ঘিরে ধরে এবং তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নুরুল হুদাকে শুধুমাত্র প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নয়, বরং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লক্ষ্য করে অপমান করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরুল হুদার গলায় জুতার মালা ঝুলানো হয়েছে এবং তাকে
ঘিরে হট্টগোল করছে একটি জনতা। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোহিদুল ইসলাম জানান, “উত্তেজিত জনতা প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আটক করে। তার নিরাপত্তার জন্য তাকে দ্রুত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং পরে গোয়েন্দা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।” তিনি আরও জানান, শের-ই-বাংলা নগর থানায় নুরুল হুদার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং তিনি ডিবি হেফাজত থেকে থানায় হস্তান্তরিত হবেন। তবে মামলার বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ শের-ই-বাংলা নগর থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে, যাদের মধ্যে তিনজন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন। এই মামলায় কে এম নুরুল হুদাকে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে
কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, এই হামলার পেছনে নুরুল হুদার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ই মূল লক্ষ্য ছিল। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন নেতা বলেন, “এটি কেবল নুরুল হুদার উপর হামলা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। জামায়াত-শিবিরের এই ঘৃণ্য কার্যকলাপের বিচার হওয়া উচিত।” সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষও এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। কে এম নুরুল হুদা ১৯৪৮ সালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর পড়াশোনা
করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন। প্রশাসনের কাছে এখন দাবি উঠেছে, এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নামে পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়তো। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলেন, তার উপর এই নৃশংস হামলাকে অনেকে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অপমান এবং রাজাকারদের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তরার একটি এলাকায় আজ সন্ধ্যায় কে এম নুরুল হুদাকে একদল উগ্রবাদী ঘিরে ধরে এবং তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মী বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা নুরুল হুদাকে শুধুমাত্র প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নয়, বরং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে লক্ষ্য করে অপমান করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরুল হুদার গলায় জুতার মালা ঝুলানো হয়েছে এবং তাকে
ঘিরে হট্টগোল করছে একটি জনতা। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোহিদুল ইসলাম জানান, “উত্তেজিত জনতা প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আটক করে। তার নিরাপত্তার জন্য তাকে দ্রুত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং পরে গোয়েন্দা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।” তিনি আরও জানান, শের-ই-বাংলা নগর থানায় নুরুল হুদার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং তিনি ডিবি হেফাজত থেকে থানায় হস্তান্তরিত হবেন। তবে মামলার বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ শের-ই-বাংলা নগর থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে, যাদের মধ্যে তিনজন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন। এই মামলায় কে এম নুরুল হুদাকে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে
কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, এই হামলার পেছনে নুরুল হুদার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ই মূল লক্ষ্য ছিল। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন নেতা বলেন, “এটি কেবল নুরুল হুদার উপর হামলা নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। জামায়াত-শিবিরের এই ঘৃণ্য কার্যকলাপের বিচার হওয়া উচিত।” সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষও এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। কে এম নুরুল হুদা ১৯৪৮ সালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচ্চতর পড়াশোনা
করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে এটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন। প্রশাসনের কাছে এখন দাবি উঠেছে, এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।