
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

দাম বাড়ল ভোজ্যতেলের

বিশ্ববাজারে আবারও স্বর্ণ ও রুপার দামে রেকর্ড, দেশে ভরি কত?

বিশ্ববাজারে আবারও স্বর্ণ ও রুপার দামে রেকর্ড, দেশে ভরি কত?

যাচ্ছে না থামানো অর্থনীতির ধস: রপ্তানি আয়ে টানা পতন, দিশেহারা খাত সংশ্লিষ্টরা

ভারতীয় ট্রাক ঢোকার পরে একশো’র নিচে নামলো ৫০০ টাকার কাঁচামরিচ
করমুক্ত আয়সীমা ও করহার বাড়ছে

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালেও করের ন্যূনতম স্ল্যাবের করহার ৫ শতাংশ তুলে দিয়ে ১০ শতাংশ থেকে নতুন স্তর নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে আগে যারা ৫ শতাংশ হারে কর দিতেন, তাদের আগামী অর্থবছর থেকে ১০ শতাংশ দিতে হবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের করের বোঝা বাড়বে। একই সঙ্গে অনেক মধ্যবিত্ত বিনিয়োগের জন্য সরকারি ট্রেজারি বিল কেনেন, সেখানেও উৎসে কর দ্বিগুণ করা হচ্ছে। তবে প্রথমবার রিটার্ন জমা দেওয়া করদাতার জন্য বাজেটে সুখবর থাকছে। এ ছাড়া কমানো হচ্ছে ধান, গম, আলু, ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের স্থানীয় ঋণপত্রের উৎসে
কর। এর বাইরে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে আগামী বাজেটে। তবে কালো টাকা বিনিয়োগে আগের তুলনায় বেশি কর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিদ্যমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নারী করদাতাদের এই সীমা ৪ লাখ, প্রতিবন্ধীদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার এবং গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ লাখ টাকা। আয়করের বর্তমান স্ল্যাব অনুযায়ী, কারও বার্ষিক আয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে থাকলে করদাতাদের ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। পরবর্তী ৪ লাখ টাকার (মোট আয় সাড়ে ৮ লাখ টাকা) ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখের (মোট আয়
সাড়ে ১৩ লাখ টাকা) ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখের (মোট আয় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা) ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখের (সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা) ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের (করযোগ্য আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা পার হলে) ওপর ৩০ শতাংশ হারে আয়কর ধার্য আছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। পরবর্তী স্ল্যাব এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ পরবর্তী স্ল্যাব হবে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কর হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামাজিক
প্রেক্ষাপটে সাধারণত মধ্যবিত্ত শ্রেণির আয় এটি। আসছে বাজেটে স্ল্যাব পরিবর্তন ও করহার বাড়ানোর মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একজন ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ আয়ের এক-তৃতীয়াংশ কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত। অর্থাৎ তাকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ওপর আয়কর দিতে হয়। বিদ্যমান কাঠামো অনুযায়ী বার্ষিক মোট আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা হলে ৫ শতাংশ এবং পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য। সে হিসাবে করদাতার আয়করের পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার জন্য ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী ৩০ হাজার টাকার জন্য ১০ শতাংশ হারে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ করদাতার প্রদেয় করের পরিমাণ
দাঁড়াচ্ছে ৮ হাজার টাকা। আসছে বাজেটে করহার সংক্রান্ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই করদাতাকে বাড়তি আরও আড়াই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। কারণ করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার পাশাপাশি কর হার ৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। অর্থাৎ করদাতার করযোগ্য আয় থাকছে এক লাখ ৫ হাজার টাকা (৪.৮০ লাখ টাকা-৩.৭৫ লাখ টাকা)। করহার ১০ শতাংশ করায় এই করদাতাকে তখন ১০ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। অবশ্য প্রথম রিটার্ন জমা দেওয়া করদাতাদের জন্য সুখবর থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। নতুন করদাতাদের আয় সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা আয়কর দেওয়ার বিধান যুক্ত হচ্ছে আয়কর আইনে। মূলত নতুন করদাতাদের
করভার লাঘব এবং করভীতি দূর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেসব করদাতা প্রথমবার রিটার্ন জমা দেবে, শুধু তারা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে যে কোনো অঙ্কের আয়কর দিতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উৎসে কর কমানো হতে পারে। এ ছাড়া নতুন করদাতাদের ভীতি দূর করতে আগামী বাজেটে সুখবর আসছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। সূত্র জানায়, বাজেটে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলু,
শুকনামরিচ, ডাল, ভুট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, কালো গোলমরিচ, দারুচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফল ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের ওপর উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। তবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। সেক্ষেত্রে আগের তুলনায় বাড়তি কর দিতে হবে।
কর। এর বাইরে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে আগামী বাজেটে। তবে কালো টাকা বিনিয়োগে আগের তুলনায় বেশি কর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিদ্যমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ করদাতার করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নারী করদাতাদের এই সীমা ৪ লাখ, প্রতিবন্ধীদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার এবং গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ লাখ টাকা। আয়করের বর্তমান স্ল্যাব অনুযায়ী, কারও বার্ষিক আয় সাড়ে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার মধ্যে থাকলে করদাতাদের ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। পরবর্তী ৪ লাখ টাকার (মোট আয় সাড়ে ৮ লাখ টাকা) ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখের (মোট আয়
সাড়ে ১৩ লাখ টাকা) ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখের (মোট আয় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা) ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ২০ লাখের (সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা) ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের (করযোগ্য আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকা পার হলে) ওপর ৩০ শতাংশ হারে আয়কর ধার্য আছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। পরবর্তী স্ল্যাব এক লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ পরবর্তী স্ল্যাব হবে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কর হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামাজিক
প্রেক্ষাপটে সাধারণত মধ্যবিত্ত শ্রেণির আয় এটি। আসছে বাজেটে স্ল্যাব পরিবর্তন ও করহার বাড়ানোর মধ্যবিত্তের ওপর করের বোঝা বাড়বে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একজন ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ আয়ের এক-তৃতীয়াংশ কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত। অর্থাৎ তাকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার ওপর আয়কর দিতে হয়। বিদ্যমান কাঠামো অনুযায়ী বার্ষিক মোট আয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা হলে ৫ শতাংশ এবং পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য। সে হিসাবে করদাতার আয়করের পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার জন্য ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী ৩০ হাজার টাকার জন্য ১০ শতাংশ হারে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ করদাতার প্রদেয় করের পরিমাণ
দাঁড়াচ্ছে ৮ হাজার টাকা। আসছে বাজেটে করহার সংক্রান্ত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই করদাতাকে বাড়তি আরও আড়াই হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। কারণ করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার পাশাপাশি কর হার ৫ শতাংশের স্থলে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। অর্থাৎ করদাতার করযোগ্য আয় থাকছে এক লাখ ৫ হাজার টাকা (৪.৮০ লাখ টাকা-৩.৭৫ লাখ টাকা)। করহার ১০ শতাংশ করায় এই করদাতাকে তখন ১০ হাজার ৫০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। অবশ্য প্রথম রিটার্ন জমা দেওয়া করদাতাদের জন্য সুখবর থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। নতুন করদাতাদের আয় সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা আয়কর দেওয়ার বিধান যুক্ত হচ্ছে আয়কর আইনে। মূলত নতুন করদাতাদের
করভার লাঘব এবং করভীতি দূর করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেসব করদাতা প্রথমবার রিটার্ন জমা দেবে, শুধু তারা এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে যে কোনো অঙ্কের আয়কর দিতে পারবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে উৎসে কর কমানো হতে পারে। এ ছাড়া নতুন করদাতাদের ভীতি দূর করতে আগামী বাজেটে সুখবর আসছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। সূত্র জানায়, বাজেটে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলু,
শুকনামরিচ, ডাল, ভুট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, কালো গোলমরিচ, দারুচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফল ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের ওপর উৎসে কর এক শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করা হচ্ছে। তবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। সেক্ষেত্রে আগের তুলনায় বাড়তি কর দিতে হবে।