
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির প্রথম পর্যায়ের বৈঠক শেষ

বিএনপির হাফ ডজন প্রত্যাশী একক প্রার্থী জামায়াতের

পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা

কতগুলো আসনে নারী প্রার্থী দেবে এনসিপি, জানালেন নেতারা

প্রধান বিচারপতির নিয়োগ কীভাবে, নিজেদের মতামত তুলে ধরল বিএনপি

বাসায় তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী গ্রেফতারের নির্দেশ

টিপু মুনশির ১২ ব্যাংক হিসাব ও ১৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অবরুদ্ধ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে যা বলল এনসিপি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংহতি জানায় দলটি।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এনসিপি বলেছে, ‘গতকাল সোমবার থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপি। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বহিরাগতরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায়। হামলায় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়নি। অথচ আমরা দেখেছি গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’ সিফাত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ না করলেও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭ জন নিজ দলের কর্মী থাকার কথা বলেছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে এই ধরনের আচরণ আমরা বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে লক্ষ্য করেছি। এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা এবং ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল (সোমবার) থেকে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে অনশনরত
৩ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনরত অবস্থায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে হামলার সময় উপাচার্যকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তারও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদে অধিকার সবার রয়েছে, তবে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা চরম দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ। আগামীকাল (বুধবার) ইউজিসির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে
পরিদর্শনে কুয়েটে যাবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দৃঢ় পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার বহিঃপ্রকাশ, যা হতাশাজনক বলে আমরা মনে করি।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত জুলাই অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করাকে দায়িত্ব মনে করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানায়, অনতিবিলম্বে কুয়েটে চলমান অচলাবস্থা নিরসন করে হল খুলে দেওয়া হোক।’ লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে আমরা কুয়েটের ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের
পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। সার্বিক বিষয়ে ইউজিসির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
হয়নি। অথচ আমরা দেখেছি গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’ সিফাত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ না করলেও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭ জন নিজ দলের কর্মী থাকার কথা বলেছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে এই ধরনের আচরণ আমরা বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে লক্ষ্য করেছি। এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা এবং ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল (সোমবার) থেকে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে অনশনরত
৩ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনরত অবস্থায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে হামলার সময় উপাচার্যকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তারও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদে অধিকার সবার রয়েছে, তবে শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি প্রদান করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা চরম দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ। আগামীকাল (বুধবার) ইউজিসির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে
পরিদর্শনে কুয়েটে যাবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দৃঢ় পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার বহিঃপ্রকাশ, যা হতাশাজনক বলে আমরা মনে করি।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত জুলাই অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করাকে দায়িত্ব মনে করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানায়, অনতিবিলম্বে কুয়েটে চলমান অচলাবস্থা নিরসন করে হল খুলে দেওয়া হোক।’ লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেখেছি, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে আমরা কুয়েটের ভিসি মুহাম্মদ মাছুদের
পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। সার্বিক বিষয়ে ইউজিসির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’