ভারতে মুসলিম নামযুক্ত ৫৪ গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোলপাড় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ১১:১০ অপরাহ্ণ

ভারতে মুসলিম নামযুক্ত ৫৪ গ্রামের নাম পরিবর্তন নিয়ে তোলপাড়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১০ 77 ভিউ
সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যটির দেওয়াস জেলার ৫৪টি গ্রামের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। মুসলিম ঐতিহ্যবাহী ব্যক্তিদের নামে থাকা গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের অনুভূতিকে সম্মান জানানো হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ কেবল সাম্প্রদায়িক বিভেদই বাড়াবে এবং অঞ্চলটির বহুত্ববাদী ঐতিহাসিক পরিচয়কে চিরতরে মুছে ফেলতে সাহায্য করবে। কেন হচ্ছে এই নাম পরিবর্তন? সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের পিপলরাওয়ান গ্রামের এক অনুষ্ঠানে বিজেপির দেওয়াস জেলা সভাপতি রাই সিং সেন্ধুর এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী যাদব। সেন্ধু দাবি করে বলেন, নাম পরিবর্তন স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাওয়া

ছিল এবং এটি তাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন। নাম পরিবর্তনের আওতাভুক্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: মুরাদপুর → মুরলিপুর হায়দারপুর → হিরাপুর শামসাবাদ → শ্যামপুর ইসলামনগর → ঈশ্বরপুর সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া বিজেপির নেতারা একে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ইতিহাসবিদরা বলছেন, এটি মূলত ঐতিহাসিক সত্যকে মুছে ফেলার প্রয়াস। ভোপালের ইতিহাসবিদ ড. মীরা শাহ বলেন, ‘এই অঞ্চলটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলোর নাম পরিবর্তন করে ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে’। সরভেশ নামের শামসাবাদের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের গ্রামের নাম আমাদের পরিচয়ের অংশ। এটি পরিবর্তন করা আমাদের শেকড় ছিন্ন করার মতো’। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সরকারের

এই পদক্ষেপ ভারতে ধর্মীয় বিভেদ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ নিয়ে আয়েশা মালিক নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, ‘ভারত বহুত্ববাদী দেশ। এদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বিভাজন ও দূরত্বই বাড়াবে’। এটাই প্রথম ঘটনা নয় মধ্যপ্রদেশে এবারই প্রথম নয়, আগেও হয়েছে নাম পরিবর্তন। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই মধ্যপ্রদেশ সরকার শাজাপুর জেলায় ১১টি এবং উজ্জাইন জেলার ৩টি গ্রামের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ‘মৌলানা’ গ্রামের নাম পরিবর্তন করে ‘বিক্রম নগর’ রাখা হয়। যা নিয়ে ওই সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ভারতীয় সমাজে ঐক্য আনবে নাকি আরও বিভক্তি সৃষ্টি করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটা স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রদেশে ঐতিহাসিক পরিচয় ও

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক এখনই শেষ হচ্ছে না। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি ও ইন্ডিয়া ক্লারিওন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের জাতীয় কবির সমাধির পাশে সমাহিত হাদি অবৈধ দখলদার সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, গুম-খুন ও মবসন্ত্রাসের মাধ্যমে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িঘরে হামলা নিন্দা ও প্রতিবাদ এ. কে. খন্দকারের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শোক অবৈধ তফসিল মানি না, মানবো না। চরম অরাজকতায় ধুঁকছে বাংলাদেশ: ইউনুস-সেনাপ্রধান দ্বন্দ্বে শাসনব্যবস্থা অচল, কৌশলগত অবস্থানে ভারত রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে মবসন্ত্রাসের নগ্ন নৃত্য চলছে: আ.লীগ জানাজার ভিড় কি জান্নাতের মানদণ্ড? ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ভ্রান্ত ধারণার অপনোদন প্রেস সচিবের উস্কানি ও সরকারের চরম ব্যর্থতা: ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দেশের গণমাধ্যম সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ দেশের তীব্র নিন্দা অবৈধ ইউনুস সরকারের ব্যর্থতায় গণমাধ্যম ধ্বংস প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে “আমি বিএনপি চাই না জামায়াতও চাই না, আওয়ামী লীগ না থাকলে আমি ভোট দিবো না” – জনতার কথা ‘দায়মুক্তি’ শীর্ষক লাইভ প্রোগ্রামের বিশেষ পর্ব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মত কেউ বাংলাদেশে পয়দা হয়নাই, আওয়ামী লীগ বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে” –জনতার কন্ঠ অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের কফিনে বাংলাদেশের পতাকা নেই না ফেরার দেশে বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম সাক্ষী ও বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এ কে খন্দকার, বীর উত্তম কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন, পুড়ল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র