বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৯ 77 ভিউ
ভাই নেই, তাই মেয়ে হয়েই বাবার সঙ্গে করতেন কৃষিকাজ। সাতসকালে কাঁচি হাতে বেরিয়ে পড়তেন ক্ষেতের উদ্দেশে। কাজ শেষ করেই আবার যেতে হতো কলেজে। কখনও একবেলা খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন আশা আক্তার। এত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ মেডিকেলে। কিন্তু চরম দারিদ্রতায় মাঝে মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কীভাবে এখন পড়বেন মেডিকেলে, কীভাবে মেটাবেন হোস্টেল ও পড়াশোনার খরচ। এসব দুশ্চিন্তায় আধাঁর যেন কাটছেই না আশার। আশা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর বিশ্বাস (৪৮) ও সোনিয়া বেগম (৩৮) দম্পত্তির ছোট মেয়ে। আশার বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই

মেয়েকে পড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করি। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়েই মেয়ে দুইজনকে পড়ালেখা করিয়েছি। তারা খুব কষ্ট করে। এখনও আমার সঙ্গে ক্ষেতে কৃষিকাজ করে। কাজ শেষ করে আবার পড়তে বসতো তারা। এভাবেই এতে পরিশ্রম করে মেয়ে আমার চান্স পেয়েছে মেডিকেলে। তারপরও দুশ্চিন্তায় থাকি পড়াশোনার খরচ মেটাবো কীভাবে। আশার মা সোনিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার প্রাইমারি থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং পর্যন্ত অনেকগুলো বৃত্তি পেয়েছে। কোচিংয়ে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ায় তার ফি কম নিয়েছে। স্যারেরা তার সৌজন্য বইয়ের ব্যবস্থা করেছে। মানুষের এতো সহযোগিতা না পেলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হতো না। আমাদের এমন অবস্থা নেই যে, আশার আগামী চার বছরের পড়াশোনার খরচ

চালাবো। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতো, তাহলে আমাদের এই যাত্রা সহজ হতো। আশা বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু হোস্টেলের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। ক্যান্টিন থেকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিন তার জন্য ৮০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে আশা বলেন, একাডেমিকের ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ইন্টার্ন করার সময় ডাক্তারির সাবজেক্ট চুজ করতে হয়। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সার্জারি করার খুব ইচ্ছা। বিশেষ করে কার্ডিওলজি সার্জন। তা না হলে নিউরোলজি সার্জন হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমার। সংসারে সংগ্রামের বিষয়ে আশা বলেন, আমি পরিশ্রম করতে শিখেছি

আমার মায়ের কাছ থেকে। বাবার আয় কম দেখে মা সংসারে বাড়তি আয় করতে হাস মুরগি ছাগল লালন পালন করতো। সাথে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা। তাছাড়া আমার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আমাদের যুদ্ধ বন্ধ করা প্রয়োজন: জেলেনস্কি জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক যুদ্ধ বন্ধে অস্ত্রবিরতি নয়, প্রয়োজন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক: ট্রাম্প ‘মব’ সৃষ্টি করে ফজিলাতুন্নেছা হলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধার অভিযোগ বন্ধুর হাতেই খুন হয় রেদোয়ান: র‌্যাব অঙ্কুশ নয়, বিক্রমের সঙ্গেই ঐন্দ্রিলাকে দেখতে চান সবাই লন্ডনের রাস্তায় পথচারীর সঙ্গে গল্প করলেন বিরাট-আনুশকা মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির ৫ দিনের রিমান্ডে জেলেনস্কিকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা ছাড়তে হবে: ট্রাম্প এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ ট্রাম্পের নির্বাচনের তারিখ জানাল মিয়ানমারের সামরিক সরকার মোদির তিন মন্ত্র কি ট্রাম্পের শুল্কঝড় সামলাতে পারবে? ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার পুরুষেরা শিকারি, ওরা নারীকে অন্তঃসত্ত্বা করে পালিয়ে যেতে পারে: কঙ্গনা হৃতিক বনাম রজনীকান্ত—কে কাকে টেক্কা দিচ্ছেন? স্বর্ণের অভিশাপে মৃত্যুপুরী তানজানিয়ার গ্রাম ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা সৌদি যাবেন, তাদের জন্য সুখবর ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন জার্মানি ও ইইউ নেতারাও ফিটনেসবিহীন গাড়ি-অসুস্থ চালকে বাড়ছে দুর্ঘটনা