‘টু ডব্লিউ’র বন্ধুত্ব কেন শত্রুতায় পৌঁছেছিল – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘টু ডব্লিউ’র বন্ধুত্ব কেন শত্রুতায় পৌঁছেছিল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৪৩ 101 ভিউ
গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বন্ধু কি?’ উত্তর দিয়েছিলেন নিজেই, ‘এক আত্মার দুইটি শরীর।’ পাকিস্তান ক্রিকেটও এমন বন্ধুত্ব দেখেছিল। ক্রিকেট লেখক যারা আছেন তারা প্রায়ই দুজনকে শিখরে রাখেন। বন্ধুত্বের প্রশ্নে আবার তলানিতেও ঠেলে দেন। বলা হয়, বন্ধু যখন শত্রু হয় তখন তার চেয়ে বেশি খারাপ শত্রু হতে পারে না কেউ! ‘টু ডব্লিউ’ খ্যাত ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের গল্পটাও এমনই। দুজনের দহরম-মহরম সম্পর্ক একসময় রূপ নেয় দা-কুমড়ায়। তিক্ততা এমন হয়ে পড়েছিল যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যেকোনো একজনকে ড্রেসিংরুমের বাইরে রাখতে চাইত। দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জন ক্রেস ২০১৫ সালে শুনিয়েছিলেন তাদের কাহিনী। ব্যক্তিগতভাবে দুজনের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক ছিল ক্রেসের। দুজনের সম্পর্কে ফাটল

দেখে তিনি নিজেও অবাক হয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকে যত পেস জুটি ছিল তাদের মধ্যে সবার আগে থাকত ওয়াকার-ওয়াসিম জুটি। সমর্থক কিংবা প্রতিপক্ষরা তাদের আদর করে ডাকত ‘টু ডব্লিউ’। ওই সময়ে বোলিংয়ে রাজ করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যালান ডোনাল্ড-শন পোলক, অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা-ডেমিয়েন ফ্লেমিং এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি অ্যামব্রোস। কিন্তু তাদের ছাপিয়ে পাকিস্তানকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়েছিলেন টু ডব্লিউ জুটি। দুই প্রান্ত থেকে দুজনের তাণ্ডবে চোখে সরষে ফুল দেখত প্রতিপক্ষ দল। ওয়াকার-ওয়াসিমের সেই গতি আর সুইং এখনও জগদ্বিখ্যাত। একসময় ‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত ওয়াসিমকে দেখতে পারত না ওয়াকার। তবে তারা কেউ কাউকে মাঠের মাঝেই দোষারোপ করত না। জন ক্রেস তার নিবন্ধে লিখেছেন, ‘টু ডব্লিউর

মাঝে বাজে ধরনের শত্রুতা ছিল। কিন্তু শুরুতে তাদের মাঝে দারুণ বন্ধুত্বও ছিল। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসাও দেখেছি। পরে তারা কঠিন বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। ওয়াকার ও ওয়াসিমের সম্পর্ক এক পর্যায়ে এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সালের কিছু সময় আগপর্যন্ত তাদের ঝগড়া পাকিস্তান ক্রিকেটকে বেশ ক্ষতির মুখে ফেলেছিল। আগে থেকেই দুজনকে চিনতাম। যখন আমি ১৯৯২ সালে ওয়াসিম এন্ড ওয়াকার: ইমরানস ইনহেরিটরস বই লিখেছি, তখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম। শুনলে বিশ্বাস করবেন না, তারা দুজন এমন আচরণ করছিলেন যেন তারা রক্তসম্পর্কের ভাই। তবে আমি সত্যিটা জানতাম।’ কয়েক বছর আগে ওয়াসিম আকরাম স্বীকার করেছিলেন সম্পর্ক শীতলতার

কথা, ‘তখন বয়স অল্প ছিল। ২৪-২৫ বছর বয়স আমাদের। ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ শীতল ছিল, এটা অস্বীকার করব না। কিন্তু তারপরও আমরা কিন্তু কেউই একে অন্যের মন্দ কামনা করতাম না। চাইতাম দুজনই যেন ভালো করি। একজন ৫ উইকেট পেলে অন্যজনও ৫ উইকেট পেতে চাইতাম। একে অন্যকে পারফরম্যান্স দিয়ে ছাড়িয়ে যেতে চাইতাম। প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা সব সময়ই স্বাস্থ্যকর ছিল। কিন্তু মুড এদিক-ওদিক হতো।’ সেই মুড নিয়ে অনেক হ্যাপা পোহাতে হয় পাকিস্তানকে। ১৯৯৯ সালে দিল্লিতে একবার ড্রেসিংরুমে দুজনের প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। ঝামেলা এতদূর গড়িয়েছিল যে পাকিস্তানের বোর্ডকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কথা উঠেছিল, সিরিজের মাঝপথেই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওয়াকারকে। ওয়াসিম ও ওয়াকার পরে স্বীকার করেছিলেন দুজনের

বৈরি সম্পর্কের কারণে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। বহু ম্যাচ তারা দুজনে একসঙ্গে মিলে জিতিয়েছেন, তবে খেলা চলাকালে একটিবারের জন্যও কথা বলেননি। দুজনে হাত পর্যন্ত মেলাননি। এমনকি ওয়াসিম যখন নেতৃত্বে আসেন তখন ওয়াকারকে একাদশেই রাখতে চাইতেন না। ততদিনে উত্থান হয়ে গেছে শোয়েব আখতারের। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদ, অধিনায়ক ওয়াসিম আর শোয়েব—তিন বোলার নিয়ে সাজানো একাদশে ওয়াকার থাকতেন কালেভদ্রে। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলেও ওয়াসিম ততদিনে নিজের রাগ মেটানোর বড় সুযোগ পেয়ে বসেছিলেন। পাকিস্তানের বোর্ড হস্তক্ষেপ করেও তাদের বন্ধুত্ব করাতে পারেনি। তবে তাদের তিক্ততার শুরু কবে থেকে এবং ঠিক কি কারণে টু ডব্লিউর সম্পর্কে অবনতি, তা এখনও অজানা। যদিও দুজনের এখনকার সম্পর্ক বেশ দারুণ। সেই

সময়ে গতি আর সুইংয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দেওয়া জুটি একসঙ্গে পাকিস্তানকে জিতিয়েছে বহু ম্যাচ। একসঙ্গে তারা যে ৫৬ টেস্ট খেলেছেন, তাতে ২২.৩৯ গড়ে নিয়েছেন ৪৭৬ উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটেও আছে বহু স্মৃতি। তিক্ত অধ্যায় পেছনে ঠেলে এখন একই সঙ্গে অনুষ্ঠান করছেন, কখনও কোনো পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে কখনো সে সময়ের রাইভালরি নিয়ে কেউ কিছু বলেননি। পাকিস্তান ক্রিকেটে তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন, এমন যে কারোরই মনে বড়সড় একটা জায়গা দখলে করে থাকবেন এই টু ডব্লিউ জুটি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। ‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’ চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে কণ্ঠশিল্পী রাতুল আর নেই সারাদেশে ইসির ৭১ কর্মকর্তা বদলি ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যা বললেন আসামিরা গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানল ভারতীয় প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চায় জাগপা ফের অস্থির হয়ে উঠছে ভোজ্যতেলের বাজার তাইওয়ানে চীনপন্থী রাজনীতিবিদদের সরানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ, সবাই আসনে বহাল আবারও কারা হেফাজতে মৃত্যু: মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুর মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের টেলিগ্রাম লীগ: আশীর্বাদ নাকি সর্ববৃহৎ দায়ভার? সেনা সদস্য পরিচয়ে ৩৭তম বিয়ের চেষ্টা, দুই প্রতারক জেলহাজতে যৌথবাহিনীর অভিযানে এনসিপি নেতা তুষারের বাবাসহ আটক ৬, বিপুল দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার মাস্ক-হেলমেটে মুখ ঢেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে কী করছিলেন জামায়াতকর্মী ও বৈছা নেতা? বৈছা নেতা রিয়াদের আঙুল ফুলে বটগাছ: বাবা-দাদা রিকশাচালক, উঠছে আলিশান বাড়ি এমপির বাড়িতে কোটি টাকা চাঁদাবাজিতে গিয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য