আগে সংস্কার, পরে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্রনেতাদের – ইউ এস বাংলা নিউজ




আগে সংস্কার, পরে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্রনেতাদের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:১৫ 5 ভিউ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আগে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা। তাদের মতে, আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন দিতে হবে। তারা ডাকসুর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীবান্ধব করার দাবি জানিয়েছেন। আর এ পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাবি শাখা গঠনতন্ত্র সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আজ সংবাদ সম্মেলনে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এসব প্রস্তাবে ডাকসুর সভপতি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ক্ষমতা কমানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও নতুন কয়েকটি পদ বাড়ানোরও প্রস্তাব এসেছে। ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সংসদের সাধারণ সভায় ঢাকসুর খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। এতে ছাত্র প্রতিনিধি ও মনোনীত শিক্ষক প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ কর্তৃক কর্মকর্তা নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখা

হয়। তবে সেসময় সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্র প্রতিনিধির মধ্য থেকেই নির্বাচন করা হতো। ১৯৩৯ সালে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়। ১৯৪৪-৪৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাহী পরিষদ আরেকটি সংশোধন অনুমোদন করে। ১৯৫৩ সালে ফের এর গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জুন সিন্ডিকেট সভায় একটি সংশোধনী আনা হয়। ১৯৯৮ ও ২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু গঠনতন্ত্রের সংশোধন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ডিসেম্বরে ফের ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এ ঘোষণার পরপরই গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলো। ছাত্রদলের সংস্কার প্রস্তাবনা সম্পর্কে নাম প্রকাশে এক নেতা বলেন, ডাকসুতে উপাচার্য সরাসরি নির্বাচিত

না হয়েও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। আমরা তার ক্ষমতা হ্রাসের পক্ষে প্রস্তাব দেব। আমরা ডাকসুর সভাপতির পদ সরাসরি শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেব। সহসভাপতি (ভিপি) পদে একটি ছেলে, আরেকটি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ হতে পারে। ভোটার হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তারা আবাসিক হলে ভোট দেবেন। আর অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ভোটকেন্দ্র করতে হবে। মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি সংস্কার প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটার সম্পর্কে বলা হয়, ভর্তির সময় থেকে অনূর্ধ্ব/সর্বোচ্চ ৭ বছর শিক্ষার্থী ভোটার এবং প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবে। সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন সম্পর্কে বলা হয়, বিদ্যমান ডাকসু

গঠনতন্ত্রে সভাপতিকে চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং তিনি জবাবদিহির ঊর্ধ্বে এবং তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত, যার ফলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার মাধ্যমে সভাপতি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরাসরি সভাপতি হতে পারবে না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটা উপদেষ্টা পরিষদ থাকতে পারে, যারা ডাকসুর অভিভাবক ও নীতিনির্ধারণী অংশীজন হিসাবে কাজ করবে। পদাধিকারবলে উপাচার্য প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে থাকবেন। সহসভাপতির পদ বাতিল প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবনায় বলা হয়, সহসভাপতি পদ বাতিল করে সভাপতি পদে উন্নীত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। তিনি সংসদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং প্রধান উপদেষ্টার অনুপস্থিতিতে সভার সভাপতিত্ব করবেন। প্রতিটি আবাসিক

হলের পাশাপাশি একাডেমিক এরিয়ায়ও ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এছাড়া জোনভিত্তিক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। সে হিসাবে পাশাপাশি কয়েকটা হল নিয়ে খেলার মাঠগুলোয় জোন আকারে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। এদিকে সোমবার ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরে ইসলামী ছাত্রশিবির বলেছে, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপাচার্য পদাধিকারবলে ডাকসুর সভাপতি মনোনীত হন। তিনি সব সভা, নির্বাহী কমিটি, অন্যান্য কমিটি ও উপকমিটির সভা নিশ্চিত করেন। সংসদ পরিচালনা, জরুরি অবস্থা, অচলাবস্থা বা নিয়মভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, কমিটির সদস্যকে বহিষ্কার, সম্পূর্ণ কমিটি বাতিল বা নতুন নির্বাচন আহ্বানসহ একাধিক ক্ষমতা তাকে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রশিবির বলছে, অনির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও সভাপতিকে যে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে

সাংঘর্ষিক। প্রস্তাবে তারা (শিবির) সভাপতি পদকে আলংকারিক করার প্রস্তাব করেছে, যেখানে সভাপতির কোনো ধরনের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না। ডাকসুতে বর্তমানে ১৪টি সম্পাদক পদ রয়েছে। এর মধ্যে কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদকে আলাদা করে ‘পাঠাগার, পাঠকক্ষ ও কমনরুমবিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিনবিষয়ক সম্পাদক’, ‘সাহিত্য সম্পাদক’ ও ‘সংস্কৃতি সম্পাদক’ পদকে একীভূত করে ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া ‘নারী ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক’, ‘ধর্ম ও সম্প্রীতিবিষয়ক সম্পাদক’ নামে নতুন পদ তৈরির প্রস্তাব করেছে ছাত্রশিবির। নতুন দুই পদ প্রস্তাবের বিষয়ে ঢাবি সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, ‘সবকটি হলের মধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরা আছেন, তাদের মধ্যকার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি

এবং ধর্মের সত্যিকারের অধিকার সংরক্ষণ হয়েছে কি না, তা দেখতে এ পদ তৈরির আহ্বান করেছি।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ট্রুকলারে স্প্যাম কল ব্লক করবেন যেভাবে চট্টগ্রামে বিপিএল জমবে কবে-কখন? হামজার অভিষেক হতে পারে ভারতের বিপক্ষে প্রবাসীরা নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন রজব থেকেই শুরু হোক রমজানের প্রস্তুতি ছাগলকাণ্ডের সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার আগে সংস্কার, পরে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ছাত্রনেতাদের যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: নেপথ্যে আছেন যারা ইস্তাম্বুলে বিষাক্ত মদপানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত অবশেষে দ. কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক মতিউরকন্যা ইপ্সিতা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে কেরানীগঞ্জ ও টঙ্গীতে অভিযান প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ভাগবাঁটোয়ারা দুয়ার সার্ভিসেসের আইপিও স্থগিত আজ ৪ সংস্কার কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে সচিবালয়ের সামনে থেকে শিক্ষানবিশ এসআইদের সরিয়ে দিল পুলিশ প্রবাসীরা নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন ডাকসুর সভাপতি ভিসির ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী-বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ