ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সরকারকে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান চরমোনাই পীরের
বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার দাবি জামায়াতের
আ.লীগ আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হবে
নিক্সন চৌধুরীর গ্রেফতারের ছবি ভুয়া
নয়ন-চয়ন বন্ডের নেপথ্যে ছাত্রলীগ!
নিক্সন চৌধুরী গ্রেফতারের গুঞ্জন
দাড়ি-গোঁফ জুব্বায় ইন্টারনেটে ভাইরাল শামীম ওসমান
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও নির্বাচন প্রসঙ্গে নেতাদের ক্ষোভ
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে "আমার বাংলাদেশ পার্টি" (এবি পার্টি) তাদের প্রথম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজন করেছে। এই কাউন্সিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ করা, এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে—এমনই মন্তব্য করেছেন তারা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি
এবি পার্টির কাউন্সিলে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এত বড় সংকটের মধ্যেও সরকার ১০০টি পণ্যের ওপর হঠাৎ করেই কর ও ভ্যাট বাড়িয়ে দিতে পারে, এবং টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধ করে দিয়ে নিরন্ন মানুষের খাবার জোগানোর পদ্ধতি বন্ধ করে দিতে পারে। এটি
একটি থিওরিটিক্যাল সিদ্ধান্ত, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।” তিনি আরও বলেন, "সরকার অর্থনীতির ভালো সংজ্ঞা বুঝলেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বাস্তবতা বোঝে না।" রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “তারা অর্থনীতি বুঝে, কিন্তু জনজীবনের হিসাব বুঝে না। আমরা সংস্কার চাই, একই সঙ্গে নির্বাচন চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ও যোগ্যতার সঙ্গে নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন।” এছাড়া খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এই সরকার দ্রব্যমূল্য এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে পারেনি। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।” ফ্যাসিবাদ ও নির্বাচনের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “ভ্যাট, ট্যাক্স, দ্রব্যমূল্য ও
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম যেভাবে বাড়ানো হচ্ছে, তাতে পুরোনো ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। ফ্যাসিস্টরা যেভাবে দেশ চালিয়েছে, সেই কায়দায় দেশ চালাবেন না।” বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সরকারের উদ্দেশে বলেন, "বাজার নিয়ন্ত্রণ ও জনমালের হেফাজত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।" সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের অধীনে আর যেতে চাই না। নতুন সংবিধান চাই, গণপরিষদ নির্বাচন চাই।" তিনি সতর্ক করেন, "গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান না হলে দেশ সংকটে পড়বে।" কাউন্সিলে উপস্থিত অতিথি ও বক্তব্য এবি পার্টির কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত
চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবং এবি পার্টির নেতা আবদুল ওহাব মিনার প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য যে, এবি পার্টির কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা। কাউন্সিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হয়। এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, এবং সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়া ও সরকারের প্রতি কঠোর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতারা একযোগে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন, এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি থিওরিটিক্যাল সিদ্ধান্ত, বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।” তিনি আরও বলেন, "সরকার অর্থনীতির ভালো সংজ্ঞা বুঝলেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বাস্তবতা বোঝে না।" রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচন মাহমুদুর রহমান মান্না অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “তারা অর্থনীতি বুঝে, কিন্তু জনজীবনের হিসাব বুঝে না। আমরা সংস্কার চাই, একই সঙ্গে নির্বাচন চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ও যোগ্যতার সঙ্গে নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন।” এছাড়া খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “এই সরকার দ্রব্যমূল্য এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে পারেনি। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এই বছরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।” ফ্যাসিবাদ ও নির্বাচনের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “ভ্যাট, ট্যাক্স, দ্রব্যমূল্য ও
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম যেভাবে বাড়ানো হচ্ছে, তাতে পুরোনো ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে। ফ্যাসিস্টরা যেভাবে দেশ চালিয়েছে, সেই কায়দায় দেশ চালাবেন না।” বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সরকারের উদ্দেশে বলেন, "বাজার নিয়ন্ত্রণ ও জনমালের হেফাজত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।" সংবিধান ও গণপরিষদ নির্বাচন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের অধীনে আর যেতে চাই না। নতুন সংবিধান চাই, গণপরিষদ নির্বাচন চাই।" তিনি সতর্ক করেন, "গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান না হলে দেশ সংকটে পড়বে।" কাউন্সিলে উপস্থিত অতিথি ও বক্তব্য এবি পার্টির কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত
চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবং এবি পার্টির নেতা আবদুল ওহাব মিনার প্রমুখ। উল্লেখযোগ্য যে, এবি পার্টির কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা। কাউন্সিলের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হয়। এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিলটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, এবং সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়া ও সরকারের প্রতি কঠোর সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের নেতারা একযোগে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন, এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।