ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে পুলিশের চেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেন আরচার দিয়া-রোমানও!
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল
লাস ভেগাসে ট্রাম্পের হোটেলের সামনে টেসলার সাইবার ট্রাক বিস্ফোরণ: চালক নিহত, ৭ জন আহত
ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ : ইউক্রেন ও ইউরোপের নতুন বাস্তবতা
‘স্কুইড গেম ২’খ্যাত অভিনেতার আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস
‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক, তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল্লির
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক অস্থিরতা। ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাব রেখে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দখলের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে নয়াদিল্লি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, “এ ধরনের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। ভাষা ব্যবহারে আরও সংযত হতে হবে।”
ড. মুহাম্মদ ইউনুসের ঘনিষ্ঠ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক দেন। তাঁর পোস্টে ভারতের একাধিক রাজ্য, যেমন বাংলা, বিহার, ওড়িশা—এগুলোকে বাংলাদেশের অধীনে আনার ইঙ্গিত ছিল। তিনি লেখেন, “বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয়। মুক্তি এখনও বহুদূর।”
এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা
শুরু হয়। পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হলেও এটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা এই বিতর্কিত পোস্টটি লক্ষ্য করেছি এবং এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের উদাহরণ। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতিতে আমরা সবসময় আগ্রহী। তবে এ ধরনের মন্তব্য উসকানিমূলক এবং অপ্রত্যাশিত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, তাদের প্রতিনিধিদের ভাষা এবং আচরণে সংযম প্রদর্শন করতে বলুন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এ ধরনের মন্তব্য শুধু সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি।” মাহফুজ আলম এই বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেললেও এর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এমন একজন প্রতিনিধির মন্তব্য
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা অতীতে ভারত বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তবে মাহফুজ আলমের মতো একজন উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য আরও বেশি উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দেখছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই ইতিবাচক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উসকানিমূলক মন্তব্য সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাহফুজ আলমের এই মন্তব্য কেবল ব্যক্তিগত নয় বরং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি শুধু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নয়,
বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক এবং এর প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির কড়া বার্তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতাকে আরও ঘনীভূত করেছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল এবং সংযত আচরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুই দেশের সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে সংলাপ এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
শুরু হয়। পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হলেও এটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা এই বিতর্কিত পোস্টটি লক্ষ্য করেছি এবং এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের উদাহরণ। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতিতে আমরা সবসময় আগ্রহী। তবে এ ধরনের মন্তব্য উসকানিমূলক এবং অপ্রত্যাশিত। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, তাদের প্রতিনিধিদের ভাষা এবং আচরণে সংযম প্রদর্শন করতে বলুন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এ ধরনের মন্তব্য শুধু সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি।” মাহফুজ আলম এই বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেললেও এর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এমন একজন প্রতিনিধির মন্তব্য
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা অতীতে ভারত বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তবে মাহফুজ আলমের মতো একজন উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য আরও বেশি উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দেখছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই ইতিবাচক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উসকানিমূলক মন্তব্য সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মাহফুজ আলমের এই মন্তব্য কেবল ব্যক্তিগত নয় বরং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখাতে ব্যর্থ হয়, তবে এটি শুধু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নয়,
বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক এবং এর প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির কড়া বার্তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতাকে আরও ঘনীভূত করেছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল এবং সংযত আচরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুই দেশের সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে সংলাপ এবং কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে উত্তেজনা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।