ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল
মাত্র ৩ ঘণ্টায় যেভাবে ইরানের গোপন অস্ত্র কারখানা ধ্বংস করল ইসরাইল
ভয়ঙ্কর বন্দি নির্যাতনের কেন্দ্র এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত
দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে পুলিশের চেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেন আরচার দিয়া-রোমানও!
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল
লাস ভেগাসে ট্রাম্পের হোটেলের সামনে টেসলার সাইবার ট্রাক বিস্ফোরণ: চালক নিহত, ৭ জন আহত
২৪ বছরের সিরিয়ায় আসাদ শাসনের অবসান
সিরিয়ার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত এসেছে, যখন বিদ্রোহীরা মাত্র ১২ দিনের অভিযানেই বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসন অবসান ঘটিয়েছে। ২৭ নভেম্বর আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই দ্রুতগতি অভিযানের। ১ ডিসেম্বর, আলেপ্পোর কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকার কিছু অংশ ছাড়া বাকি শহরটি তাদের দখলে চলে আসে। তারপর, ৫ ডিসেম্বর সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখলের পর ৭ ডিসেম্বর, বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক ঘেরাও করতে শুরু করে।
দামেস্কের দখল ও আসাদের পালিয়ে যাওয়ার খবর
৮ ডিসেম্বর, সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস দখলের পর বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রবেশের ঘোষণা দেয়। একদিনের মধ্যেই রাজধানী দখল হয়ে যায় এবং আসাদ ব্যক্তিগত বিমানে পালিয়ে যান। কোথায় গিয়েছেন তা
এখনও অজানা, তবে দামেস্কের রাস্তায় উদযাপনের দৃশ্য দেখা যায়। বিদ্রোহীরা দাবি করে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন এখন 'অতীত'। এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর আসাদমুক্ত সিরিয়া এক দশক ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ ছিল অবিরাম। ২০১১ সালে আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় যখন দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তখন আসাদ সরকার তার মিত্র রাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় গৃহযুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে, বিদ্রোহীদের একতা এবং দেশব্যাপী প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত আসাদ শাসনের পতন ঘটে। বিদ্রোহীদের ঘোষণাপত্র: নতুন যুগের সূচনা বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার ৫০ বছরের বাথিস্ট শাসনের অবসান এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার ও বাস্তুচ্যুতি সহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে দেশের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, "এই নতুন যুগে ন্যায্যতা, শান্তি এবং সব সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।" শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দামেস্ক দখলের পর বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়াকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একটি নতুন জায়গা হিসেবে ঘোষণা করেন। তারা বলেন, সকল মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা হবে এবং আইনগত ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে। বিশেষভাবে, হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি আত্মসমর্পণকারী এবং সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্য বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রভাব এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া প্রভাবশালী হতে পারে। আসাদ সরকারের পতনের পর, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং এর ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দেশটির
পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মিত্র দেশ রাশিয়া ও ইরানের ভূমিকা, যারা দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সমর্থক ছিল, তবে বিদ্রোহীদের জয়ী হওয়ার পর তাদের ভূমিকা দেখা যায়নি। সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন এবং বিদ্রোহীদের বিজয় দেশটির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। যেখানে ৫০ বছরের শাসনের পর বিদ্রোহীরা সুরক্ষিত ভবিষ্যত এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এখন সিরিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেশের পুনর্গঠন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
এখনও অজানা, তবে দামেস্কের রাস্তায় উদযাপনের দৃশ্য দেখা যায়। বিদ্রোহীরা দাবি করে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন এখন 'অতীত'। এক দশকের গৃহযুদ্ধের পর আসাদমুক্ত সিরিয়া এক দশক ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিদ্রোহ ছিল অবিরাম। ২০১১ সালে আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় যখন দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তখন আসাদ সরকার তার মিত্র রাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় গৃহযুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে, বিদ্রোহীদের একতা এবং দেশব্যাপী প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত আসাদ শাসনের পতন ঘটে। বিদ্রোহীদের ঘোষণাপত্র: নতুন যুগের সূচনা বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়ার ৫০ বছরের বাথিস্ট শাসনের অবসান এবং ১৩ বছরের অপরাধ, অত্যাচার ও বাস্তুচ্যুতি সহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে দেশের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, "এই নতুন যুগে ন্যায্যতা, শান্তি এবং সব সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।" শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দামেস্ক দখলের পর বিদ্রোহী নেতারা সিরিয়াকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য একটি নতুন জায়গা হিসেবে ঘোষণা করেন। তারা বলেন, সকল মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা হবে এবং আইনগত ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে। বিশেষভাবে, হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি আত্মসমর্পণকারী এবং সাধারণ মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের জন্য বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রভাব এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া প্রভাবশালী হতে পারে। আসাদ সরকারের পতনের পর, সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং এর ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং দেশটির
পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মিত্র দেশ রাশিয়া ও ইরানের ভূমিকা, যারা দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সমর্থক ছিল, তবে বিদ্রোহীদের জয়ী হওয়ার পর তাদের ভূমিকা দেখা যায়নি। সিরিয়ায় আসাদ শাসনের পতন এবং বিদ্রোহীদের বিজয় দেশটির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। যেখানে ৫০ বছরের শাসনের পর বিদ্রোহীরা সুরক্ষিত ভবিষ্যত এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এখন সিরিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দেশের পুনর্গঠন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।