ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভ্যাট চাপিয়েও প্রতিবাদের মুখে ৮ পণ্যে প্রত্যাহার চায় এনবিআর, আইএমএফের ‘না’
মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কায় এখন মূল্যস্ফীতি শূন্যের নিচে, অথচ বাংলাদেশে ১১%
ধনীর বাতাস বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রে শুল্ক ছাড়
রমজানের আগেই ফলের বাজার আগুন, কেজিতে বেড়েছে ৩০-১০০ টাকা
মুমূর্ষু অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক
রোজায় সরবরাহ ঠিক রাখতে সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ
কম দামে ইলিশের স্বাদ পাবেন রাজধানীবাসী
জেলেদের চাল পাচ্ছেন প্রবাসী-সচ্ছল-মৃতরা
লক্ষ্মীপুর কমলনগরে জেলেদের ভিজিএফের চাল পাচ্ছেন না প্রকৃত জেলেরা। জেলেদের চাল পাচ্ছেন প্রবাসী, মৃত ও নামে-বেনামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৬০০ জেলের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন ও চরকালকিনি ইউনিয়নে ৩ হাজার জেলের তালিকার মধ্যে ৬০০ জনের নামই ভুয়া পেয়েছে মৎস্য অফিস। এসব নাম বাদ দেওয়ার কাজ করছে উপজেলা মৎস্য অফিস।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের জন্য সরকারি ভিজিএফ সহায়তার চাল বিতরণের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পুরোনো। এ বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাই করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিগত সরকারের সময় স্থানীয় মৎস্য অফিস বিভিন্ন ইউনিয়নের এক শ্রেণির
সুবিধাভোগী দালালদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলেদের ভিজিএফ কার্ড দেয়। এতে প্রকৃত জেলেদের পরিবর্তে ভুয়া জেলেরা সরকারি এই সুবিধা পাচ্ছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায়, নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ এবং মে থেকে জুলাই ৬৫ দিন নদীতে সব ধরনের জাল ফেলাসহ মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য জেলেপ্রতি ৪০ কেজি করে চার মাস, ২৫ কেজি করে ২২ দিন ও ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে; কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত জেলে কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দপত্র (ডিও লেটার)
মতে গুদাম থেকে চাল বুঝে নেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় মৎস্য অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগসাজশে তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত জেলে হওয়া সত্ত্বেও কার্ড করতে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় চরকালকিনির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে মো. রুবেল ও নুরুল করিমের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অন্যদিকে একই ইউনিয়নের মৃত হাফিজউল্যাহ, আলী হোসেন, প্রবাসী বাহার উদ্দিন, মো. কবিরের নামসহ ‘অস্তিত্বহীন’ ৬০০ জন ভুয়া জেলের নাম পাওয়া গেছে তালিকায়। এ ইউনিয়নে ৩ হাজার জেলে কার্ডের মধ্যে ৬০০ জনের ভুয়া তথ্য বেরিয়ে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া হাজিরহাট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের
যোগসাজশে সচ্ছল পরিবার পাচ্ছে জেলেদের চাল। জানা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নে জেলের তালিকায় চারশর বেশি ভুয়া জেলে রয়েছে। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে ভুয়া জেলেদের নাম দিয়েছেন। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে হওয়া বরাদ্দপত্রের বিপরীতে গুদাম থেকে খাদ্য সহায়তার চাল একসঙ্গে সরবরাহ করা হয়। চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহর দাবি, বাদ পড়া জেলেদের অধিকাংশই এখন বয়স্ক। এ ছাড়া কিছু জেলে তাদের পেশা পরিবর্তন করে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, কমলনগর উপজেলায় নিবন্ধিত মোট জেলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে চরকালকিনি
ইউনিয়নের ৩ হাজার জেলের নাম রয়েছে। চলমান হালনাগাদ তালিকা থেকে কালকিনি ইউনিয়নের ভুয়া, প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিসহ ৬০০ জনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেই হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ ছাড়া তালিকা তৈরিতে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তিনি যোগদানের আগের। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া হাজিরহাট ইউনিয়নে একাধিকবার জেলেদের নাম হালনাগাদে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা হালনাগাদের চিঠিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেদের তালিকায় ভুয়া নামের বিষয়ে আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে হালনাগাদের কাজ করছি। প্রকৃত জেলেদের নাম তালিকায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
সুবিধাভোগী দালালদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলেদের ভিজিএফ কার্ড দেয়। এতে প্রকৃত জেলেদের পরিবর্তে ভুয়া জেলেরা সরকারি এই সুবিধা পাচ্ছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায়, নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ এবং মে থেকে জুলাই ৬৫ দিন নদীতে সব ধরনের জাল ফেলাসহ মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য জেলেপ্রতি ৪০ কেজি করে চার মাস, ২৫ কেজি করে ২২ দিন ও ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম চালু রয়েছে; কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত জেলে কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দপত্র (ডিও লেটার)
মতে গুদাম থেকে চাল বুঝে নেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় মৎস্য অফিস এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগসাজশে তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত জেলে হওয়া সত্ত্বেও কার্ড করতে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় চরকালকিনির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে মো. রুবেল ও নুরুল করিমের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অন্যদিকে একই ইউনিয়নের মৃত হাফিজউল্যাহ, আলী হোসেন, প্রবাসী বাহার উদ্দিন, মো. কবিরের নামসহ ‘অস্তিত্বহীন’ ৬০০ জন ভুয়া জেলের নাম পাওয়া গেছে তালিকায়। এ ইউনিয়নে ৩ হাজার জেলে কার্ডের মধ্যে ৬০০ জনের ভুয়া তথ্য বেরিয়ে আসায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া হাজিরহাট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের
যোগসাজশে সচ্ছল পরিবার পাচ্ছে জেলেদের চাল। জানা গেছে, হাজিরহাট ইউনিয়নে জেলের তালিকায় চারশর বেশি ভুয়া জেলে রয়েছে। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে ভুয়া জেলেদের নাম দিয়েছেন। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে হওয়া বরাদ্দপত্রের বিপরীতে গুদাম থেকে খাদ্য সহায়তার চাল একসঙ্গে সরবরাহ করা হয়। চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মো. ছায়েফ উল্যাহর দাবি, বাদ পড়া জেলেদের অধিকাংশই এখন বয়স্ক। এ ছাড়া কিছু জেলে তাদের পেশা পরিবর্তন করে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, কমলনগর উপজেলায় নিবন্ধিত মোট জেলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে চরকালকিনি
ইউনিয়নের ৩ হাজার জেলের নাম রয়েছে। চলমান হালনাগাদ তালিকা থেকে কালকিনি ইউনিয়নের ভুয়া, প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিসহ ৬০০ জনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নেই হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এ ছাড়া তালিকা তৈরিতে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তিনি যোগদানের আগের। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া হাজিরহাট ইউনিয়নে একাধিকবার জেলেদের নাম হালনাগাদে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা হালনাগাদের চিঠিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেদের তালিকায় ভুয়া নামের বিষয়ে আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে হালনাগাদের কাজ করছি। প্রকৃত জেলেদের নাম তালিকায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।