ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিআইএ ডিরেক্টর জন র‍্যাটক্লিফ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিআইএ ডিরেক্টর জন র‍্যাটক্লিফ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৪২ 54 ভিউ
সিআইএ ডিরেক্টর হিসেবে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের সাবেক ডিরেক্টর জন র‍্যাটক্লিফকে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সিআইএ, এনএসএ ও এফবিআই সহ ১৭টি এজেন্সিতে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে র‍্যাটক্লিফের। র‍্যাটক্লিফ রিপাবলিকানদের বিশেষ করে ডনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে সবসময়ই নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন। ডনাল্ড ট্রাম্পের আগের প্রশাসনের একেবারে শেষ সময় ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন র‍্যাটক্লিফ। ২০২০ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ পদে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছেন র‍্যাটক্লিফ। ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর ইলিনয়ের মাউন্ট প্রসপেক্টে র‍্যাটক্লিফের জন্ম। পেশাজীবনে সরকারের আইন ও নির্বাহী বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সিআইএ,

এনএসএ ও এফবিআই সহ প্রশাসনের ১৭টি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে। তার অতিত অভিজ্ঞতা তাকে এই সিআইএ প্রধানের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অটো চয়েজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেতে তার সেনেটের অনুমোদন পেতে হবে। নিজের কাজের জন্য র‍্যাটক্লিফ সমালোচনার কেন্দ্রেও ছিলেন বেশকিছু সময়। ২০১৬ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত বেশ কিছু গোপন নথি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় ডেমোক্র্যাট পার্টির ইমেইজ সংকটে পড়েন। যদিও র‍্যাটক্লিফ দাবি করেন সেই নথিগুলো ভ্যারিফায়েড নয়। এরপর হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ কাণ্ডে জড়িয়েও সংবাদের শিরোনামে আসে র‍্যাটক্লিফের নাম। ২০১৪ সালে কংগ্রেস নির্বাচনে জয়ী হন র‍্যাটক্লিফ। তবে ২০১৯ সালে হাউযে ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিসংশন প্রক্রিয়া চলার সময় ট্রাম্পের সমর্থনে শক্ত

অবস্থান নিয়ে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যান সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এর আগে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পদ পেলেও সেই প্রক্রিয়া সহজ ছিলো না র‍্যাটক্লিফের জন্য। নিজের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় ওই পদের জন্য তাকে বিবেচনা না করার আবেদন করেন তিনি। তবে ট্রাম্প তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকেই ওই পদে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এদিকে, ডেমোক্র্যাটরা র‍্যাটক্লিফের সমালোচনার তীব্রতা বাড়াতে থাকে। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের মে মাসে নিয়োগ পান র‍্যাটক্লিফ। চায়নাকে অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে মনে করা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম সারির কমর্কতাদের মধ্যে র‍্যাটক্লিফ অন্যতম।

বারবারই তিনি চায়নাকে অ্যামেরিকা ও বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্প আবারো দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় চায়নার সঙ্গে নতুন করে শুল্ক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দানকারীদের তালিকায় থাকতে পারেন র‍্যাটক্লিফ। ফলে আমেরিকা-চায়না সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এই গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আজ সকালেও লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ, ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত: আল-জাজিরা বেড়েছে বিমানের জ্বালানি ব্যয়, লাগছে বাড়তি সময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সর্বাত্মক যুদ্ধ ইসলামী ব্যাংকের সঞ্চিতি ঘাটতি বেড়ে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন সীমান্তে পরিচয়পত্রহীন ৯৬ জনকে পুশইন সচিবালয় সংযুক্ত পরিষদের আজ প্রতিবাদ সভা ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত খুবই ভয়াবহ, তারা থামুক: ট্রাম্প প্রতিবেশী দেশগুলোয় বড় প্রভাবের শঙ্কা পলিটেকনিকের শাটডাউন কর্মসূচি শিথিল মালয়েশিয়ায় ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে কাজ করা ৬ লাখ বিদেশি ফাঁকি দিচ্ছেন ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রথম দফায় নির্বাচিত হয়নি পোপ, ফের ভোট বৃহস্পতিবার ভারতের ৫টি ফাইটার জেট ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের, অবশেষে যা জানা গেল বিএসএফের গুলিতে ৯৫ শতাংশ নিহত ইসরাইলকে ছাড়াই সৌদির সঙ্গে এককভাবে চুক্তির ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের আর্সেনালের হৃদয় ভেঙে স্বপ্নপূরণের খুব কাছে পিএসজি ইসরাইলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে মুখ খুললেন আল-শারা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে পাকিস্তান-ভারত আকাশযুদ্ধটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে দীর্ঘতম