সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-১ – ইউ এস বাংলা নিউজ




সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-১

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৪ 30 ভিউ
সম্রাট আকবরের মৃত্যু হলো। মুঘল নিয়মে ক্ষমতায় বসলেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র শাহজাদা সেলিম। পুরো নাম মির্জা নূরউদ্দিন বেগ মোহাম্মদ খান সেলিম জাহাঙ্গীর। ১৬০৫ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনি ‘নূরউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী’ উপাধি গ্রহণ করেন। এ কারণে ক্ষমতায় আসার পর যুবরাজ সেলিম জাহাঙ্গীর নামেই অধিক পরিচিত হন। অল্প বয়সেই ফারসি, তুর্কি ও হিন্দি ভাষা এবং গণিত, ইতিহাস, ভূগোলসহ নানা বিষয়ে পাঠগ্রহণ করেন। যোগ্য শিক্ষকদের পরিচর্যায় শাহজাদা সেলিম বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হন। কাব্যপ্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় কৈশোরেই। সামরিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তাকে আগামীর সম্রাট হিসেবেই হাজির করেছিলো। ১৫৮১ সালে তার নেতৃত্বে কাবুল অভিযান সাফল্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। বিচারিক ও সাংস্কৃতিক সাংগঠনিকতায়

তার দক্ষতার পরীক্ষাও নেওয়া হলো। বিচার বিভাগ ও রাজকীয় উৎসবের কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বিবেচনা ও বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন করেন তিনি। ১৫৭৭ সালে দশ হাজারী মনসব লাভ করেন। ১৫৮৫ সালে লাভ করেন ১২ হাজারী মনসব। আকবরের ছিলো তিন সন্তান; সেলিম, মুরাদ ও দানিয়েল। সেলিম সবার বড়। যোগ্য হলেও আয়েশী ছিলেন তিনি। বেয়াড়া আচরণ ছিলো তার মধ্যে। ফলে আবুল ফজলের মতো দরবারি প-িতরা তার প্রতি ছিলেন রুষ্ট। মুরাদ ছিলেন অধিক মাত্রায় পানাসক্ত। মারা যান অতিরিক্ত মদপানের কারণে। আকবরের সুদৃষ্টি ছিলো ছোট ছেলে দানিয়েলের প্রতি, যা সেলিমকে ধন্দে ফেলে দেয়। সিংহাসন ছোট ভাইয়ের হাতে চলে যাবার শঙ্কা দেখা দেয় তার মনে।

এই শঙ্কা নিয়ে পিতার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইলেন না সেলিম। আকবরের জীবদ্দশাতেই তিনি বিদ্রোহের জন্য তৈরি হলেন। আকবর যখন দাক্ষিণাত্যে ব্যস্ত, ক্লান্ত, সেলিম তখন এলাহাবাদে উড়িয়ে দিলেন স্বাধীন রাষ্ট্রের পতাকা। নিজ নামে চালু করলেন মুদ্রা। বিতরণ করতে থাকলেন জায়গীর। তার মোকাবেলায় বৃদ্ধ আকবরকে পেরেশান থাকতে হয় ১৬০১ থেকে ১৬০৪ সাল পর্যন্ত। সেলিমের বিদ্রোহ দমনের নানা চেষ্টা অব্যাহত থাকে। মানসিংহ চেষ্টা করেন সেলিমের পুত্র খসরুকে আকবরের উত্তরাধিকারী নির্বাচনের জন্য। সেটা সেলিমকে বিচলিত করে। পিতার কাছে আত্মসমর্পণই তার নিয়তি হয়ে উঠে। তিনি আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আকবর কি তাকে রেহাই দেবেন? রেহাই দিতে হলো নিয়তির চাপে। দানিয়েল অল্পবয়সে মারা গেলেন। শোকে কাতর ও বিপন্ন

সম্রাট সেলিমকে বুকে নিলেন। ক্ষমা করে দিলেন। এরপর মাত্র কিছু দিন। আকবর নিরাময়হীন অসুখে শয্যাশায়ী হলেন। ১৬০৫ সালের ২৫ অক্টোবর মারা গেলেন তিনি। এর আগে সেলিমকেই তিনি পরবর্তী মুঘল সম্রাট হিসেবে নিশ্চিত করলেন। সেলিম সম্রাট হয়ে রাজ্য বিস্তারের নীতি গ্রহণ করলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যে কারণে শাশুড়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্যাটরিনা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ ট্রেইনি চিকিৎসকদের সাদপন্থি নেতা মুয়াজ বিন নূর ৩ দিনের রিমান্ডে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কারকুমা’ ফাংশনাল ফুড দীর্ঘ ১২ বছর পর দামেস্কে কাজ শুরু করল তুরস্কের দূতাবাস মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইরানের ‘স্বপ্নভঙ্গ’, বিকল্প কী সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা হামাসের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গঠনের ডাক, তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল্লির রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি: সংকটে নিম্ন আয়ের মানুষ রাজধানীতে ছিনতাইয়ের বাড়বাড়ন্ত সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনায় মিঠুন চক্রবর্তীর সতর্কবার্তা জার্মানি নির্বাচনে ইলন মাস্কের হস্তক্ষেপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩ মন্দিরে হামলা, প্রশ্নবিদ্ধ ‘নতুন বাংলাদেশ’ ‘খুনি হিসেবে র‌্যাবকে সমাজে রাখা ঠিক হবে না’ দিল্লিতে নির্বাসিত হাসিনা, বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্কে টানাপোড়ন: এবিসি আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান