রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ ৪ বছর হওয়া উচিত : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৪ 82 ভিউ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বের মেয়াদ সংবিধানে যে পাঁচ বছর আছে, তা চার বছর হওয়া উচিত। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। উপদেষ্টা বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে মেয়াদ যদি চার বছর হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ চার বছর হতে অসুবিধা কোথায়?’ অবশ্য এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ প্রসঙ্গে হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ একসময় তিন বছর ছিল।

এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধিতে লাভ কী হয়েছে, তার কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কখনো কোনো মূল্যায়নও করা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ নিয়েও তার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর হওয়া উচিত। কারণ, তিন বছর মেয়াদ হলে ১৫ বছরে ৫ বার নির্বাচিত প্রতিনিধি এখানে আসবেন। ফলে অধিক সংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সময় সাপেক্ষে অবস্থা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা

হবে। উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে শিগগিরই সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় পূর্ণ মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে ১০টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে৷ দেশে রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট (আরঅ্যান্ডডি) নিয়ে খুব একটা কাজ হয় না। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে জোর দিতেই বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে দল গঠন করা হয়েছে। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার