
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘লিপস্টিক অভ্যুত্থান’, ব্রাজিলীয় নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় আলোচনা শেষ, জানা গেল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ভারতকে নিরপেক্ষ তদন্তে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাকিস্তানের

ইসরাইলের মতো ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতও

চতুর্থ দফায় গড়াল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের পর ভারতীয় বিমানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

গাজায় খাদ্য মজুত শেষ
‘২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলিমকে হত্যা করব’, ভিডিওবার্তায় গো রক্ষা দলের সদস্য

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতে বিভিন্ন জায়গায় মুসলমানদের ওপর উগ্র হিন্দুদের হামলা ও নির্যাতন বেড়েছে। সম্প্রতি আগ্রার বিখ্যাত এক বিরানির দোকানের মালিক দুই ভাইকে তাদেরই দোকানের সামনে গুলি করা হয়। এতে এক ভাই নিহত হয়েছেন এবং অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শহীদ আলি চিকেন বিরিয়ানি হাউজ নামের সেই দোকান চালাতেন দুই গুলফাম আলি ও সাইফ আলি। রাতে বিক্রি শেষে গুলফাম দোকান বন্ধ করছিলেন এবং সাইফ আলি ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎতই দু’জন এসে গুলফামে ওপর গুলি চালায়। গুলি খেয়ে গুলফাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সাইফ পেছন থেকে এগিয়ে এলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থালেই মারা
যান গুলফাম। অল্পের জন্য বেঁচে যান সাইফ। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দুই যুবক। নিজেদের তারা ‘গো রক্ষা দলে’র সদস্য বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তায় তারা ঘোষণা করেন, পেহেলগামে ২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলমান হত্যার করা হবে। ভিডিওতে এক যুবক বলেন, আগ্রা শহরে আজ ২জন মুসলিমকে হত্যা করেছি- এর দায় আমি নিচ্ছি। ২৬ জনের বদলে যদি ২৬০০জন মুসলিমকে হত্যা করতে না পারি তাহলে আমি ভারত মায়ের সন্তান নই।’ ভিডিওতে ওই যুবকের কোমড়ে একটি পিস্তলসহ আরও দুটি চাকু দেখা যায়। তার সাথে যে যুবক ছিল তার কোমড়েও অস্ত্র ছিল। ভারতের উগ্র
সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এবং সংঘ পরিবারের সঙ্গে এই গো রক্ষা দলের সংশিষ্টতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই গো রক্ষা দল দলিত হিন্দু ও মুসলমানদের ওপর বহু হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে ভারতের গণমাধ্যমে এই হামলা তেমন জায়গা পায়নি। নিহত ব্যক্তির কোনো ছবিও প্রকাশ করা হয়নি। অপরদিকে পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এছাড়াও দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম অ্যান্ড ডগস আর নট অ্যালাউড’। এসব ঘটনায় ভারতের পুলিশ ও প্রসাশন একেবারে নীরব। এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা
যায়নি।
যান গুলফাম। অল্পের জন্য বেঁচে যান সাইফ। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার একদিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দুই যুবক। নিজেদের তারা ‘গো রক্ষা দলে’র সদস্য বলে দাবি করেন। ভিডিও বার্তায় তারা ঘোষণা করেন, পেহেলগামে ২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলমান হত্যার করা হবে। ভিডিওতে এক যুবক বলেন, আগ্রা শহরে আজ ২জন মুসলিমকে হত্যা করেছি- এর দায় আমি নিচ্ছি। ২৬ জনের বদলে যদি ২৬০০জন মুসলিমকে হত্যা করতে না পারি তাহলে আমি ভারত মায়ের সন্তান নই।’ ভিডিওতে ওই যুবকের কোমড়ে একটি পিস্তলসহ আরও দুটি চাকু দেখা যায়। তার সাথে যে যুবক ছিল তার কোমড়েও অস্ত্র ছিল। ভারতের উগ্র
সংগঠন রাষ্ট্রীয় সয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) এবং সংঘ পরিবারের সঙ্গে এই গো রক্ষা দলের সংশিষ্টতা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই গো রক্ষা দল দলিত হিন্দু ও মুসলমানদের ওপর বহু হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে ভারতের গণমাধ্যমে এই হামলা তেমন জায়গা পায়নি। নিহত ব্যক্তির কোনো ছবিও প্রকাশ করা হয়নি। অপরদিকে পেহেলগামের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের বাড়িওয়ালারা কাশ্মীরি মুসলমানদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। হিন্দু দোকানদাররা মুসলমানদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এছাড়াও দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লেখা হয়েছে, ‘মুসলিম অ্যান্ড ডগস আর নট অ্যালাউড’। এসব ঘটনায় ভারতের পুলিশ ও প্রসাশন একেবারে নীরব। এখন পর্যন্ত তাদের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা
যায়নি।