২০২৪ সালের প্রতিবাদ নিয়ে ওএইচসিএইচআর রিপোর্ট তদন্তের আহ্বান- – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
     ১০:৪১ অপরাহ্ণ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের জরুরি আবেদন:

২০২৪ সালের প্রতিবাদ নিয়ে ওএইচসিএইচআর রিপোর্ট তদন্তের আহ্বান-

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০:৪১ 79 ভিউ
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের বিক্ষোভ এবং সহিংসতা সংক্রান্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (OHCHR)-এর প্রতিবেদনের ওপর একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে জরুরি আবেদন জানিয়েছেন। গত ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে মহাসচিব গুতেরেসকে লেখা এক কঠোর ভাষায় লেখা চিঠিতে ড. মোমেন OHCHR-এর প্রতিবেদনটিকে ‘তথ্যগত অসঙ্গতি’ এবং ‘পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যান’ নির্ভর বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই প্রতিবেদন জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করছে এবং একটি ‘অনির্বাচিত শাসনকে’ উৎসাহিত করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াচ্ছে। ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের টার্গেট করা হচ্ছে’ ড. মোমেন তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, OHCHR-এর

প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৫ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের সুপারিশ করেছে। এই কর্মকর্তাদের অনেকেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বাংলাদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন এই কর্মকর্তাদের একটি ‘ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল’ (Kangaroo Tribunal)-এর কাছে তুলে ধরা হয়, যা প্রক্রিয়াগত কোনো নিয়ম অনুসরণ না করে তার বিধি পরিবর্তন করে। মোমেন যুক্তি দেন, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার অপরিহার্য হলেও, জাতিসংঘের উচিত নিরপেক্ষতা ও নির্ভুলতার নীতি বজায় রাখা। কিন্তু OHCHR-এর রিপোর্টে বস্তুনিষ্ঠতা ও যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব রয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ‘অযৌক্তিকভাবে স্ফীত’ করার অভিযোগ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার চিঠিতে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন মৃতের সংখ্যা নিয়ে। তিনি

দাবি করেন, দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোর তথ্যানুসারে ১৬ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ৬৫৭ জন। এমনকি, অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস প্রশাসনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ৮২৪ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে, যার মধ্যে ৫২ জন জীবিত ছিল বলে পরে জানা যায়। এই ৮২৪ জনের মধ্যেও ট্রাফিক দুর্ঘটনা ও স্বাভাবিক মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত ছিল। ড. মোমেন লেখেন, “প্রথমদিকে জাতিসংঘের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা ৬৫০ জন বলা হলেও, OHCHR-এর চূড়ান্ত রিপোর্টে কোনো যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে ১,৪০০ জন করা হয়েছে।” তিনি এই ধরনের অসঙ্গতি জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছে বলে মত দেন। বাদ পড়া তথ্যের তালিকা ড. মোমেন অভিযোগ করেন, OHCHR-এর

রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, যা আখ্যানটিকে একপেশে করে তুলেছে: ১. পুলিশ হত্যা: বিক্ষোভে প্রায় ৩,২০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা এবং তাদের কিছু মৃতদেহ প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা। ২. ক্ষতিপূরণ অধ্যাদেশ: ইউনূস প্রশাসনের জারি করা ‘ক্ষতিপূরণ অধ্যাদেশ’ (Indemnity Decree), যা বিক্ষোভ চলাকালীন অপরাধীদের সুরক্ষা দেয়। ৩. বিচারকদের অপসারণ: সুপ্রিম ও হাইকোর্টের বহু বিচারককে অবৈধভাবে বরখাস্ত করা। ৪. অস্ত্রের ব্যবহার: জঙ্গিদের বাড়িতে পুলিশের ব্যবহৃত নয় এমন ৭.৬২ মিমি স্নাইপার রাইফেল এর গুলি খুঁজে পাওয়া। ৫. সন্ত্রাসীদের মুক্তি: বর্তমান সরকারের অধীনে কারাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া। ৬. ধ্বংসযজ্ঞ: মেট্রো রেল, টেলিভিশন স্টেশন, রেললাইন এবং সরকারি ভবনে ভাড়াটে গুন্ডাদের দ্বারা অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। মোমেন বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ

তথ্যগুলো বাদ দেওয়ায় রিপোর্টটি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করছে এবং যারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন, তাদেরই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে। মানবিক বিপর্যয় ও তদন্তের দাবি ড. এ কে আব্দুল মোমেন সতর্ক করে দেন যে, ত্রুটিপূর্ণ এই রিপোর্টটি রাজনৈতিক কারসাজিকে উসকে দিয়েছে এবং উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করা বাংলাদেশকে বর্তমানে মানবিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘের সততা পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচারের নীতিকে সম্মান জানানোর জন্য, তিনি মহাসচিবের প্রতি OHCHR-এর বাংলাদেশ রিপোর্টের ওপর একটি ‘পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন’ তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি জোর দেন যে, ভুল রিপোর্টের ভিত্তিতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের, বিশেষ করে যারা জাতিসংঘের পতাকার নিচে কাজ করেছেন,

তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা হবে ঐতিহাসিক অবিচার। সূত্র: দৈনিক আজকের কণ্ঠ

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতেই ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টে’ তড়িঘড়ি করে রায় দেওয়া হয়েছে: সজীব ওয়াজেদ জয় সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাপ্পির জানাজায় জনস্রোত, ভালোবাসায় সিক্ত শেষ বিদায়। বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানোয় কনের মা-বাবাকে বেত্রাঘাত ইইউ নেতৃবৃন্দকে জরুরি চিঠি ড. হাছান মাহমুদের মিথ্যার বেসাতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ: ‘সবচেয়ে বড় বাড়ি’র গল্পের আড়ালে হান্নান মাসউদের আসল রূপ ফাঁস “মিথ্যা মামলা আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছে, যাতে আমরা নির্বাচন না করতে পারি — সজীব ওয়াজেদ জয় শেখ হাসিনার নৈতিক অবস্থানকে সম্মান: ‘আস্থাহীন’ ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না জেড আই খান পান্না শেখ হাসিনার নৈতিক অবস্থানকে সম্মান: ‘আস্থাহীন’ ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না জেড আই খান পান্না টাঙ্গাইলে জেলহাজতে আ.লীগ নেতার মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় ‘পরিকল্পিত হত্যা’র অভিযোগ শেখ হাসিনার ১০ কাঠায় ২১ বছরের সাজা: ইউনুসের ৪৪৬৭ কাঠার অপরাধে বিচার হবে কবে? বেলজিয়ামে ইইউ পার্লামেন্টের সামনে সর্ব ইউরোপ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ভিডিও কলে বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ট্রাস্ট–নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ শেখ হাসিনার লকারে ৮৩২ ভরি সোনা সাজানো নাটক, নেপথ্যে কড়াইল বস্তির আগুন ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা! আইএসআইয়ের ১.৬ কোটি টাকার ‘গোপন চালান’: জামায়াতের পুনরুত্থান ও ঢাকা-ইসলামাবাদ গোপন আঁতাতের অভিযোগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল কর্পোরেট শাখায় সংরক্ষিত লকারে শুধুমাত্র একটি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক আলী রিয়াজের পাশে প্রধান উপদেষ্টা: এক নজরে, ১০ কাঠার প্লটে যাবজ্জীবন হলে ৪৪৬৭ কাঠার দায়ে সাজা হবে কত হাজার বছর? ১০ কাঠার প্লটে যাবজ্জীবন হলে ৪৪৬৭ কাঠার দায়ে সাজা হবে কত হাজার বছর? নিরাপদ নগরীর দাবিতে শিল্পকলায় একশনএইডের বিশেষ প্রদর্শনী ভারতীয় প্রযোজকের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত তিশার