১৫ বছরে রিজার্ভ থেকে চুরি হয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর – ইউ এস বাংলা নিউজ




১৫ বছরে রিজার্ভ থেকে চুরি হয়েছে ২৪ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮:০৬ 13 ভিউ
আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশের রিজার্ভ থেকে ২৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল, যা এখন হয়েছে ২৪ বিলিয়ন। অর্থাৎ বাকি টাকাটা বাইরে চলে গেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম এজেন্ডা ফর দ্য টার্ন-অ্যারাউন্ড অব দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত সেমিনারে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা যদি আমানত বাড়াতে না পারি, টাকা বাইরে চলে যায়, তাহলে ব্যাংক ও অর্থনৈতিক খাতের প্রবৃদ্ধি হবে না। আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭

শতাংশে নামিয়ে আনা। পরবর্তী অর্থবছরের মাঝে তা ৫ শতাংশে নামানো। মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। আশা করি তা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে বর্তমান বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তি। একসময় তা কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারলে আমরা ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনব। সেমিনারে গত সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে লুটপাটের ঘটনায় ব্যাংকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা একে অপরকে দোষারোপ করেন। ব্যাংকাররা বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা একেবারেই চুপ ছিলেন। তাদের সামনে দিয়েই আমানতকারীদের টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক খাতের লুটপাট প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। তারা আরও বলেন, কেন্দ্রীয়

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তিগত তদবিরে ব্যবস্থা থাকে। ব্যক্তিস্বার্থে তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইলিং করে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। তারা আরও বলেছেন, ব্যাংক খাতের তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো ভূমিকা ছিল না। যে কারণে নজিরবিহীনভাবে লুটপাট করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধা দিলে বা সজাগ থাকলে এত বড় লুটপাট করা সম্ভব হতো না। এসব অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিভ্রান্ত করেছে। আমানতকারীদের টাকা লুটপাট হয়েছে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে মৌখিকভাবে জানতে চেয়ে কোনো তথ্য পায়নি। এমনকি চিঠি দিয়েও তা জানা সম্ভব হয়নি।

রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অপদস্থ করেছে। কোনো কোনো ব্যাংকে ১১ দফা চিঠি দিয়েও একটি গ্রুপের ঋণের তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বীর প্রতীকের গলায় জুতার মালা দিয়েছে জামায়াতের কর্মীরা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য রিগ্রেট করি-আরাফাত গুলি করে হত্যা: স্বজনদের দাবি ছাত্রদল কর্মী, পুলিশ বলছে মাদক ব্যবসায়ী তীব্র শীতে জয়ায় খোলা পোশাকে উত্তাপ রাজশাহীতে তেলের আগুনে পুড়ল ৮ দোকান তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী গাজীপুরে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু ৯ গোলের ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল সোমবার বিপিএলের উদ্বোধনী কনসার্ট, এড়িয়ে চলবেন যেসব এলাকা ৪ বিভাগে শীত-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা আল্লুর কোলে উঠে নাচ, নীরবতা ভাঙালেন রাশমিকা গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ তেলের ডিপোতে আগুন, পুড়ল ৪শ ব্যারেল মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল বোর্নামাউথে বিধ্বস্ত আমোরিমের ম্যানইউ জবিতে ভর্তি পরীক্ষা হবে নিজস্ব পদ্ধতিতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে এতো ব্যস্ত কেন’, প্রশ্ন সালাউদ্দিনের ব্যাংকের সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি পরামর্শক নিয়োগে নীতিমালা ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স