স্পেনের এক ধমকেই ইসরাইলে আতঙ্ক – ইউ এস বাংলা নিউজ




স্পেনের এক ধমকেই ইসরাইলে আতঙ্ক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ মে, ২০২৫ | ৫:৫৮ 16 ভিউ
গাজায় নির্বিচার গণহত্যা ও মানবিক অবরোধ নিয়ে বৈশ্বিক চাপের মধ্যেই ইউরোপের কেন্দ্র থেকে ভেসে এলো স্পেনের বজ্রনিনাদ। ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চাই’—আর তাতেই কাঁপতে শুরু করেছে তেল আবিব। মঙ্গলবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার বলেছেন, ‘যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তবে বিলুপ্তি ঘটবে ইসরাইলের। ঘটবে দ্বিতীয় হলোকাস্ট (১৯৪০-এর দশকে নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের ওপর গণহত্যা)’। সহজ ভাষায় মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে ইসরাইল। এই প্রতিক্রিয়া শুধু আতঙ্ক নয়, ইসরাইলের যুদ্ধনির্ভর অস্তিত্বের স্বীকারোক্তি। ইসরাইল জানে, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রসদ কীভাবে কোথা থেকে আসে; কারা দেয়। আর সেই রসদ বন্ধের হুমকিই যেন তাদের অস্তিত্ব সংকটের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বে। মিডল

ইস্ট আই, টাইমস অব ইসরাইল। গাজায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই স্পেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহবান জানিয়েছে। রোববার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা পর্যায়ের ‘মাদ্রিদ প্রুপ’ বৈঠকে ইসরাইলের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত ও অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আহবান জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে মানুয়েল আলবারেস। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে মিলিত হয়ে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় একমত হতে হবে।’ মঙ্গলবার পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বিলটি দ্রুত পাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো। বিলটি জরুরিভিত্তিতে পাসের দাবিতে কংগ্রেসনাল ব্যুরোর কাছে একটি আবেদনও জমা দিয়েছেন নেতারা। স্পেনের ওই বৈশ্বিক আহবান ও সংসদীয় পদক্ষেপের পরই কুঁকড়ে গেছে ইসরাইল। মঙ্গলবার জেরুজালেমে আন্তর্জাতিক প্রতিহিংসাবিরোধী সম্মেলনে গিদেওন সার

বলেছেন, ‘যদি বৈশ্বিক চাপের মাধ্যমে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় তাহলে ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাবে। এর ফলে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর গণহত্যার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।’ স্পেনের সেদিনের ওই ‘মাদ্রিদ প্রুপ’ বৈঠকে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক, মরক্কো, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। দেশগুলোর মধ্যে মাত্র কয়েকটি ইসরাইলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহের প্রায় পুরোটা ভার তিনটি দেশ বহন করে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ইতালি। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার হামলার পর থেকে ইসরাইলে মার্কিন অস্ত্রের জোগান দেওয়ার পরিমাণ ঐতিহাসিকভাবে বেড়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে

ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৪০টি বিমান ও জাহাজ বোঝাই অস্ত্রের চালান পেয়েছে। এসব বিমান ও জাহাজে পাঠানো হয়েছে টনকে টন সামরিক সরঞ্জাম। যুক্তরাষ্ট্রের কনসার্ভেটিভ কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (সিএফআর) জানিয়েছে, ১৯৪৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে প্রায় ২,২৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক চাপ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর্থন পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। ইসরাইলের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহ তুলনায় কম হলেও, জার্মানি এবং ইতালি এখনও গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী। কিছু দেশ যেমন ফ্রান্স, স্পেন ও যুক্তরাজ্য অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে বা স্থগিত রেখেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের ওপর যথাযথ চাপ প্রয়োগ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির মতো প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ও জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরে ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইসরাইল। যেন তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে বা এমন কোনো প্রস্তাব দেয় না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মিসরে দানখয়রাতে চলছে গাজা শরণার্থীদের দিন নতুন বিশ্বব্যবস্থায় মুসলিম দেশগুলোকেই নেতৃত্ব দিতে হবে ট্রাম্পের সঙ্গে চুক্তি করুন, নইলে ইসরাইলি হামলার ঝুঁকি নিন ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে যে ‘গুরুতর’ অভিযোগ তুলল ইসরাইল রাকিবের বিষয় নিয়ে এবার বিবৃতি দিল ছাত্রদল এপ্রিলেই আমিনুলকে বিসিবিতে কাজ করার প্রস্তাব দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে ফাইনাল মিউনিখে, প্যারিসে কেন বাড়তি নিরাপত্তা কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী স্টুডেন্ট ভিসার স্থগিতাদেশ বেশি দিন নয়, আবার চালু হবে : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় : ১২ দলীয় জোট উত্তাল সাগর, উপকূলে আটকে গেল জাহাজ সেন্টমার্টিনে তলিয়ে গেছে শতাধিক বাড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান এক ব্যক্তি ডিসেম্বরে নির্বাচন চান না : মির্জা আব্বাস দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের দাদাগিরি মানব না : পাকিস্তান ভারতের আধিপত্য কখনোই মেনে নেবে না পাকিস্তান : সেনাপ্রধান আসিম মুনির স্থানীয় প্রকল্পের পাওনা পরিশোধ ডলারে কর্মসূচি স্থগিত, খুলছে সোনার দোকান যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব’, হামাস ও গাজার সার্বিক পরিস্থিতি