
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আমেরিকান ফ্যাসিবাদ: ট্রাম্পও এর ব্যতিক্রম নন

‘ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেল যে হৃদয়বিদারক ছবিটি

ইসরায়েলে প্রবল বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবি

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বন্ধ হিথ্রো বিমানবন্দর, বাতিল হচ্ছে ১৩০০ ফ্লাইট

তিন দিনে ২০০ শিশুকে হত্যা করলো ইসরায়েল, ফের গাজা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা

তেল আবিবে রকেট হামলার ফুটেজ প্রকাশ করল হামাস

যে কারণে গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত করা যাবে না ফিলিস্তিনিদের
স্টারলিংকের সঙ্গে কি বাংলাদেশ-ভারতের ভূরাজনৈতিক স্বার্থও জড়িত?

স্টারলিংক নিয়ে আসতে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশই আগ্রহ দেখাচ্ছে। সেই অনুযায়ী চলছে আলাপ-আলোচনাও। এখন প্রশ্ন উঠেছে স্টারলিংকের সঙ্গে কী ভূ- রাজনীতিও জরিত?
আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ই-ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসে’ গত মাসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে গবেষক এমা গ্যাটি ও মার্ক লিন্ডার স্টারলিংককে এই সময়ের সবচেয়ে বড় ‘জিওপলিটিক্যাল ডিসরাপ্টর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
অর্থাৎ তারা বলছেন, বর্তমান ভূরাজনীতিতে এত বড় উথালপাথাল আর কোনো সংস্থাই ফেলতে পারেনি।
আগামী দিনে স্টারলিংক জেন-থ্রি স্যাটেলাইটের সাহায্যে যখন ১ টেরাবিট-পার-সেকেন্ড (টিবিপিএস) গতিতে সারা দুনিয়ায় ইন্টারনেট দিতে পারবে– তখন পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশই ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বা অধিক ক্ষমতাশালীর ওপর নির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলেও এই গবেষকরা পূর্বাভাস করেছেন।
ইতালির উদাহরণ দিয়ে তারা বলছেন, এ বছরের গোড়ার দিকে যখন
ব্লুমবার্গ খবর করে ইটালি তাদের দেশে স্টারলিংককে ১৫০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে – তখন ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা মহলে রীতিমতো ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছিল! ওই নিবন্ধে মন্তব্য করা হয়েছে, ইউরোপের নিজস্ব কানেক্টিভিটি প্রকল্প 'আইরিস-টু' যখন অনেক বাধাবিপত্তির পর অবশেষে প্রায় শেষের পথে – তখন সেই ইউরোপেরই একটি বৃহৎ অর্থনীতি যদি সেটাকে ছেড়ে মার্কিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে আস্থা রাখে তখন তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি কতটা তা বুঝতে অসুবিধা হয় না! এদিকে গত মাসেও যখন ইউক্রেনের ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজদ্রব্যে অধিকার পাওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছিলেন, তখন দরকষাকষির অংশ হিসেবে ইউক্রেন থেকে স্টারলিংকপরিষেবা প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে। অথচ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অবকাঠামো এখন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত – তাদেরই এখন স্টারলিঙ্ক সবচেয়ে বেশি দরকার!ফলে ইলন মাস্কের স্টারলিংককে যে গ্লোবাল জিওপলিটিক্সে একটি নতুন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই পটভূমিতেই ভারত সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে ইলন মাস্কই হলেন আমেরিকার নতুন ‘ডিফেন্স কনট্রাক্টর’ – বা প্রতিরক্ষা ঠিকাদার! তিনি যুক্তি দিচ্ছেন, এতদিন আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানি সারা দুনিয়ায় অস্ত্রশস্ত্র, সাবমেরিন বা যুদ্ধজাহাজ বেচে তাদের 'ক্লায়েন্ট স্টেট' বানাত – আর এখন ঠিক সেই কাজটাই করা হচ্ছে স্টারলিংক পরিষেবা বেচে। বাংলাদেশে স্টারলিংককে আমন্ত্রণ কেন, জানালেন প্রেস সচিব বস্তুত বিশ্বের এমন বহু দেশেই স্টারলিংক বড় বাজার তৈরি করতে পেরেছে,
যেখানে ব্রডব্যান্ড কেবল বা টাওয়ার নেটওয়ার্ক যথেষ্ঠ ভালো – দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকা ততটা নেই। ফলে আপাতদৃষ্টিতে স্টারলিংকের তেমন চাহিদা থাকার কারণ নেই, কিন্তু তবু সে সব দেশেও তাদের গ্রাহক বাড়ছে। যুক্তরাজ্য বা ব্রিটেন এর একটা বড় উদাহরণ, যা থেকে বোঝা যায় কোনো দেশে স্টারলিংকের প্রবেশ আসলে যতটা না ‘কানেক্টিভিটি’ সংক্রান্ত, তার চেয়ে অনেক বেশি ‘স্ট্র্যাটেজিক’ সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আমেরিকার নতুন প্রশাসনে ব্যক্তি ইলন মাস্কের সাঙ্ঘাতিক প্রভাব ও ক্ষমতা। নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই তিনি শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান হাত নন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকে ইলন মাস্কই প্রশাসনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। ওয়াশিংটনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, এমন একজন সাবেক কূটনীতিবিদের
কথায়, ‘ভারতই বলি বা বাংলাদেশ, কিংবা ধরা যাক থাইল্যান্ড – যারাই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইবে তারা যে ইলন মাস্ককেও সন্তুষ্ট করতে চাইবেন এর মধ্যে তো কোনো রকেট সায়েন্স নেই!’ ফলে এই সব দেশে স্টারলিংকের আসন্ন প্রবেশের নেপথ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার তাগিদেরও ভূমিকা আছে বলেই অনেকে মনে করছেন। গত মাসে হোয়াইট হাউসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে যখন ইলন মাস্ক ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, ও (মাস্ক) বোধহয় ভারতে কী সব ব্যবসা-ট্যাবসা করতে চাইছে!’ আবার বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে যখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক
গড়ে তোলার চেষ্টাতেই ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কি না, তিনি কিন্তু সরাসরি সেটা মানতে চাননি। ওই সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘না, এটা মূলত ছিল স্টারলিংক নিয়ে … ব্যবসায়িক সম্পর্কের একটা বিষয় ছিল। সে বিষেয়েই আমরা আলাপ করেছি, যে স্টারলিংকের কানেকশনটা আমরা নিতে চাই।’ সূত্র:বিবিসি।
ব্লুমবার্গ খবর করে ইটালি তাদের দেশে স্টারলিংককে ১৫০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে – তখন ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা মহলে রীতিমতো ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছিল! ওই নিবন্ধে মন্তব্য করা হয়েছে, ইউরোপের নিজস্ব কানেক্টিভিটি প্রকল্প 'আইরিস-টু' যখন অনেক বাধাবিপত্তির পর অবশেষে প্রায় শেষের পথে – তখন সেই ইউরোপেরই একটি বৃহৎ অর্থনীতি যদি সেটাকে ছেড়ে মার্কিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে আস্থা রাখে তখন তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি কতটা তা বুঝতে অসুবিধা হয় না! এদিকে গত মাসেও যখন ইউক্রেনের ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজদ্রব্যে অধিকার পাওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছিলেন, তখন দরকষাকষির অংশ হিসেবে ইউক্রেন থেকে স্টারলিংকপরিষেবা প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে রয়টার্স জানিয়েছে। অথচ
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অবকাঠামো এখন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত – তাদেরই এখন স্টারলিঙ্ক সবচেয়ে বেশি দরকার!ফলে ইলন মাস্কের স্টারলিংককে যে গ্লোবাল জিওপলিটিক্সে একটি নতুন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এই পটভূমিতেই ভারত সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে ইলন মাস্কই হলেন আমেরিকার নতুন ‘ডিফেন্স কনট্রাক্টর’ – বা প্রতিরক্ষা ঠিকাদার! তিনি যুক্তি দিচ্ছেন, এতদিন আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানি সারা দুনিয়ায় অস্ত্রশস্ত্র, সাবমেরিন বা যুদ্ধজাহাজ বেচে তাদের 'ক্লায়েন্ট স্টেট' বানাত – আর এখন ঠিক সেই কাজটাই করা হচ্ছে স্টারলিংক পরিষেবা বেচে। বাংলাদেশে স্টারলিংককে আমন্ত্রণ কেন, জানালেন প্রেস সচিব বস্তুত বিশ্বের এমন বহু দেশেই স্টারলিংক বড় বাজার তৈরি করতে পেরেছে,
যেখানে ব্রডব্যান্ড কেবল বা টাওয়ার নেটওয়ার্ক যথেষ্ঠ ভালো – দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকা ততটা নেই। ফলে আপাতদৃষ্টিতে স্টারলিংকের তেমন চাহিদা থাকার কারণ নেই, কিন্তু তবু সে সব দেশেও তাদের গ্রাহক বাড়ছে। যুক্তরাজ্য বা ব্রিটেন এর একটা বড় উদাহরণ, যা থেকে বোঝা যায় কোনো দেশে স্টারলিংকের প্রবেশ আসলে যতটা না ‘কানেক্টিভিটি’ সংক্রান্ত, তার চেয়ে অনেক বেশি ‘স্ট্র্যাটেজিক’ সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আমেরিকার নতুন প্রশাসনে ব্যক্তি ইলন মাস্কের সাঙ্ঘাতিক প্রভাব ও ক্ষমতা। নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই তিনি শুধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান হাত নন, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকে ইলন মাস্কই প্রশাসনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। ওয়াশিংটনে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, এমন একজন সাবেক কূটনীতিবিদের
কথায়, ‘ভারতই বলি বা বাংলাদেশ, কিংবা ধরা যাক থাইল্যান্ড – যারাই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইবে তারা যে ইলন মাস্ককেও সন্তুষ্ট করতে চাইবেন এর মধ্যে তো কোনো রকেট সায়েন্স নেই!’ ফলে এই সব দেশে স্টারলিংকের আসন্ন প্রবেশের নেপথ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার তাগিদেরও ভূমিকা আছে বলেই অনেকে মনে করছেন। গত মাসে হোয়াইট হাউসের এক সাংবাদিক সম্মেলনে যখন ইলন মাস্ক ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, ও (মাস্ক) বোধহয় ভারতে কী সব ব্যবসা-ট্যাবসা করতে চাইছে!’ আবার বিবিসি বাংলার সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে যখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক
গড়ে তোলার চেষ্টাতেই ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে কি না, তিনি কিন্তু সরাসরি সেটা মানতে চাননি। ওই সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘না, এটা মূলত ছিল স্টারলিংক নিয়ে … ব্যবসায়িক সম্পর্কের একটা বিষয় ছিল। সে বিষেয়েই আমরা আলাপ করেছি, যে স্টারলিংকের কানেকশনটা আমরা নিতে চাই।’ সূত্র:বিবিসি।