সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তায় সামরিক পদক্ষেপ চায় জামায়াত – ইউ এস বাংলা নিউজ




সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তায় সামরিক পদক্ষেপ চায় জামায়াত

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:০৫ 49 ভিউ
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তায় উপযুক্ত কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গত ১৬ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক হাসিবুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন তিনি। বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গত ১৬ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগামারী ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক হাসিবুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিহত কৃষক হাসিবুল ইসলামের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে যে, হাসিবুল ইসলাম গত

১৬ এপ্রিল বুধবার গরুর জন্য তার নিজের জমিতে ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফ বাংলাদেশে ঢুকে তাকে গুলি করে আহত করে। আহত অবস্থায় বিএসএফ তাকে টেনেহিঁচড়ে ওপারে নিয়ে রাইফেল দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ১৭ এপ্রিল রাত ১১টায় বিএসএফ হাসিবুল ইসলামের বাবার কাছে তার লাশ হস্তান্তর করেছে।’ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অপরদিকে গত ১৮ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাংগার পার থেকে বাংলাদেশি যুবক আজিজুর রহমানকে ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক ধরে নিয়ে কাঁটাতারের সঙ্গে বেঁধে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এসব ঘটনায় হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম সীমান্তে জনগণের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। সীমান্ত এলাকার জনগণের মধ্যে এক ভীতিকর

অবস্থা বিরাজ করছে। কৃষকরা সীমান্ত এলাকায় তাদের জমিতে কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছে, তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।’ গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সীমান্ত ভারতীয়দের এ ধরনের হত্যা, জুলুম, নির্যাতন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্তরায়। ভারতীয়দের এ ধরনের অমানবিক আচরণের কারণেই সীমান্তে হত্যা ও ধরপাকর বন্ধ হচ্ছে না। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যা এবং সব গর্হিত আচরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে উপযুক্ত কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।