
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাউজানে বোরকা পরে এসে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

রাজনৈতিক প্রচারকেন্দ্র ছিল নভোথিয়েটার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

‘পুরানো খেলায় নতুন প্লেয়ার নয়, খেলার নিয়ম পাল্টাতে এসেছি’

নির্বাচনের প্রচারে পোস্টার বাদ দেওয়ার প্রস্তাবে বিএনপি–এনসিপির দ্বিমত

জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ-যোগ্য’ লোককে ভোট দিতে বললেন পুলিশ কর্মকর্তা

এনসিপি কি ‘মব’ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়?
সামান্থা জারা নিভা জাবীনরা এনসিপির নয় বাংলাদেশের রত্ন

শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নারী নেত্রী ড, তাসনিম জারা, সামান্থা শারমিন, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার নিভা ও তাজনুভা জাবীনকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। যেখানে এই নারীদের কেবল এনসিপির নয় বরং আগামীর বাংলাদেশের রত্ন হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক। যেখানে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া এই নারীদের প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই নারীরা আগামীর বাংলাদেশ সংসদে নারীদের একচ্যুয়াল পার্টিসিপেশন হতে যাচ্ছেন।
সারজিসের পোস্টটি পাঠকদের হুবহু তুলে ধরা হলো-
জুলাই অভ্যুত্থানের পর মাত্র কয়েক মাস হলো- আমি ড.
তাসনিম জারা, সামান্থা শারমিন, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার নিভা ও তাজনুভা জাবীন আপুদেরকে চিনি। প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে। এরপর বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র মাধ্যমে। সাময়িক এই পথচলায় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত প্রদান করতে দেখেছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। সেই বিষয়গুলোতে তাদের কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা, ব্যক্তিত্ব, ইন্টিগ্রিটি অবজার্ভ করে এইটুকু উপলব্ধি আমার হয়েছে যে- এই মানুষগুলো রাজনীতিতে শুধু এনসিপি'র রত্ন নয় বরং আগামীর বাংলাদেশের রত্ন। অতীতে ‘কোটা’' আর ‘সংরক্ষিত আসনের’ নামে পরিবারতন্ত্রের মধ্য থেকে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ হিসেবে সংসদে যারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করত, তারা ছিল নারীদের প্রেজেন্টেশন। কিন্তু এই জারা, সামান্থারা আগামীর বাংলাদেশ সংসদে নারীদের একচ্যুয়াল পার্টিসিপেশন হতে যাচ্ছে। এনসিপিতেও তারা নিজের
যোগ্যতায় সেই জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। সংসদেও তারা নিজের যোগ্যতায় সেই জায়গা অর্জন করে নিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই অতীতের রাজনীতির অপ্রত্যাশিত কালচারগুলোকে ধারণ করে আমরা যেন শুধুমাত্র বিরোধিতা করতে হবে বলে বিরোধিতা না করি, সমালোচনা করতে হবে বলে সমালোচনা না করি। বিশেষত, ব্যক্তিগত মানসিকতার প্রতিবন্ধকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে রাজনীতিতে যোগ্য নারীদের অংশগ্রহণে যেন প্রতিবন্ধক হয়ে না দাঁড়াই। পোস্টের শেষ অংশে সারজিস লিখেন, আমাদের বোনেরা আমাদের শক্তি, বাংলাদেশের শক্তি।
তাসনিম জারা, সামান্থা শারমিন, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার নিভা ও তাজনুভা জাবীন আপুদেরকে চিনি। প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে। এরপর বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র মাধ্যমে। সাময়িক এই পথচলায় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত প্রদান করতে দেখেছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। সেই বিষয়গুলোতে তাদের কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা, ব্যক্তিত্ব, ইন্টিগ্রিটি অবজার্ভ করে এইটুকু উপলব্ধি আমার হয়েছে যে- এই মানুষগুলো রাজনীতিতে শুধু এনসিপি'র রত্ন নয় বরং আগামীর বাংলাদেশের রত্ন। অতীতে ‘কোটা’' আর ‘সংরক্ষিত আসনের’ নামে পরিবারতন্ত্রের মধ্য থেকে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ হিসেবে সংসদে যারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করত, তারা ছিল নারীদের প্রেজেন্টেশন। কিন্তু এই জারা, সামান্থারা আগামীর বাংলাদেশ সংসদে নারীদের একচ্যুয়াল পার্টিসিপেশন হতে যাচ্ছে। এনসিপিতেও তারা নিজের
যোগ্যতায় সেই জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। সংসদেও তারা নিজের যোগ্যতায় সেই জায়গা অর্জন করে নিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাই অতীতের রাজনীতির অপ্রত্যাশিত কালচারগুলোকে ধারণ করে আমরা যেন শুধুমাত্র বিরোধিতা করতে হবে বলে বিরোধিতা না করি, সমালোচনা করতে হবে বলে সমালোচনা না করি। বিশেষত, ব্যক্তিগত মানসিকতার প্রতিবন্ধকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে রাজনীতিতে যোগ্য নারীদের অংশগ্রহণে যেন প্রতিবন্ধক হয়ে না দাঁড়াই। পোস্টের শেষ অংশে সারজিস লিখেন, আমাদের বোনেরা আমাদের শক্তি, বাংলাদেশের শক্তি।