
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এবার এক সপ্তাহ আগেই বেতন পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

প্রখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট টিএ চৌধুরী আর নেই

২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পঞ্চগড়-সিলেট সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যা

তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়নি নদী কমিশনের বৈঠকে

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-মেঘালয় করিডোর চায় ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ১/১১ সময়ে ভূমিকা ছিল ভুল

আতঙ্কের নাম মোটরসাইকেল
সমন্বয়কসহ ৭ জন কারাগারে সাত শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে

রাজধানীর কলাবাগানের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গত শুক্রবার বিকালে হামলা চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতারের পরে কলাবাগান থানায় সোপর্দ করা হয়।
গতকাল তাদের ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত ১৪ জনের মধ্যে ৭ জনই শিশু। যে কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালাতে পাঠানো পৃথক দু’টি আবেদনে তাদেরকে জেল হাজতে রাখার আবেদন করেন। শুনানী শেষে শিশুদের কাশিমপুর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে এবং বাকি ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জানতে চাইলে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমানসহ একটি দল গত
শুক্রবার বিকালে কলাবাগান থানার লেক সার্কাস রোডের একটি কোম্পানির অফিসে জড়ো হয়। এরপর তারা শেখ কবির নামে একজনের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে এবং হামলা করে। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ খবর জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুঁটে যায়। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীও চলে আসেন। এরপরই ১৮ জনকে গ্রেফকার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস সহকারী। ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই অফিসের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙা অবস্থায় পেয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের তল্লাশী করে লুট করা ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অফিসের ড্রয়ার ভাঙা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, কোনো তথ্য থাকলে
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রথমে অবহিত করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো ব্যক্তি অভিযান চালাতে পারবেন না। আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমান ছাড়াও ইমন, রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো. উৎস, মো. আবির, মো. ফারহান, পারভেজ হাওলাদার, হৃদয় হোসেন, নাইম হাওলাদার, আরাফাত আহম্মেদ, রুবেল, রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস রয়েছে। এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে গেছেন। তবে ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস রয়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস। এদিকে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর
ও তিন লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগের মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান (২৪)সহ সাত জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাত জন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেনÑ সাইফুর রহমান রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ, শাহাদাত হোসেন, মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস, ছাব্বির আহম্মেদ আবির এবং ফারহান। বাকিদের বয়স ১৮’র নিচে হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারেক মোহাম্মদ মাসুদ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার
আবেদন করেছিলেন। এদিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, পান্থপথস্থ ত্রিধারা টাওয়ারের ৩য় তলায় শেখ কবির কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জন পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বেআইনী বলপ্রয়োগ করে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। সেখানকার পিয়ন ইয়াসিন মৃধা তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা বলেন, ‘তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে। তিনি এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে
এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অন্যত্র রেখে আসে। অফিস পিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ৩১ হাজার টাকা ১৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ৮৪টি কয়েন, ২টি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাকু জব্দ করে। পরে ইয়াসিন মৃধা কলাবাগান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
শুক্রবার বিকালে কলাবাগান থানার লেক সার্কাস রোডের একটি কোম্পানির অফিসে জড়ো হয়। এরপর তারা শেখ কবির নামে একজনের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে এবং হামলা করে। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ খবর জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুঁটে যায়। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীও চলে আসেন। এরপরই ১৮ জনকে গ্রেফকার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস সহকারী। ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই অফিসের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙা অবস্থায় পেয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের তল্লাশী করে লুট করা ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অফিসের ড্রয়ার ভাঙা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, কোনো তথ্য থাকলে
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রথমে অবহিত করবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো ব্যক্তি অভিযান চালাতে পারবেন না। আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমান ছাড়াও ইমন, রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো. উৎস, মো. আবির, মো. ফারহান, পারভেজ হাওলাদার, হৃদয় হোসেন, নাইম হাওলাদার, আরাফাত আহম্মেদ, রুবেল, রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস রয়েছে। এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে গেছেন। তবে ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস রয়েছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস। এদিকে আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর
ও তিন লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগের মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান (২৪)সহ সাত জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাত জন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেনÑ সাইফুর রহমান রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ, শাহাদাত হোসেন, মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস, ছাব্বির আহম্মেদ আবির এবং ফারহান। বাকিদের বয়স ১৮’র নিচে হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারেক মোহাম্মদ মাসুদ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার
আবেদন করেছিলেন। এদিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, পান্থপথস্থ ত্রিধারা টাওয়ারের ৩য় তলায় শেখ কবির কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৭ জন পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বেআইনী বলপ্রয়োগ করে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। সেখানকার পিয়ন ইয়াসিন মৃধা তাদের পরিচয় জানতে চান। তখন তারা বলেন, ‘তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে। তিনি এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে
এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অন্যত্র রেখে আসে। অফিস পিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ৩১ হাজার টাকা ১৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ৮৪টি কয়েন, ২টি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাকু জব্দ করে। পরে ইয়াসিন মৃধা কলাবাগান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।