সংকটে ব্যাহত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পরিকল্পিত জনসংখ্যা বড় নিয়ামক। এই কাজে গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করেছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। স্বাধীনতার পরও একজন মা গড়ে ৬-৭ জন সন্তান জন্ম দিতেন। সেই সংখ্যা কমিয়ে আনার নেপথ্যের কারিগর অধিদপ্তরের কর্মীরা। তাদের প্রচেষ্টায় পাঁচ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনে অর্জিত সেই সাফল্য এখন হুমকির মুখে। চাহিদামাফিক জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ না থাকায় পরিবার পরিকল্পনার সরকারি সেবা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্তত এক বছরের বেশি সময় ধরে সারা দেশে কনডম, খাওয়ার বড়ি ও বিভিন্ন কিটের মারাত্মক সংকট চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জনবল সংকট। প্রতিষ্ঠানটির মোট পদের
প্রায় চার ভাগের এক ভাগই বর্তমানে শূন্য, যা সংখ্যায় ১১ হাজারের বেশি। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালিত হয় ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। পত্রিকাগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ নিবন্ধ। আজ শুক্রবার হওয়ায় আগামী ১৪ জুলাই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরগুলো। জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
ওই দিন বিশ্বের জনসংখ্যা পাঁচ বিলিয়নে পৌঁছানোর ঘটনা থেকে এই দিবসের ধারণা আসে। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এ দিবসটি পালন শুরু করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গসমতা, দারিদ্র্য, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী উপকরণ সামগ্রীর সরবরাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসব উপকরণের মজুদ সীমিত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ইনজেকশন ও চলমান পদ্ধতির উপকরণ কনডম ও বড়ি এবং কিটের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে বাজারে বেসরকারি কোম্পানির বিভিন্ন
উপকরণের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত দম্পতিদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা তৈরি হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং উপকরণ বিতরণের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন পরিবারকল্যাণ সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মীদের সপ্তাহে চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের সঙ্গে আলোচনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করার কথা। উপকরণ ঘাটতির কারণে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অনেকেই নিয়মিত বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। আবার যারা যাচ্ছেন; তারাও দম্পতিদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা ঘাটতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, উপকরণ সামগ্রীর ঘাটতি এতই বেশি যে,
গত ১৫ বছরে অধিদপ্তর এমন সংকটে পড়েনি। এর প্রভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী দম্পতির মধ্যে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এই উপকরণের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পাবে। এতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের সূত্র বলছে, কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে ৩২ ধরনের (ক্যাটাগরি) কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করেন। তাদের মোট পদ ৪৮ হাজার ৮৭টি। তার মধ্যে বর্তমানে অন্তত ২৯ শতাংশ জনবল ঘাটতি আছে। এই বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাড়াই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সামগ্রীর মজুত কমে এসেছে। গতকাল ১০ জুলাই এই ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৩০০টি
উপজেলা স্টোরে কনডম নেই। আরও ৮৭টি উপজেলায় শিগগির মজুতশূন্য হবে। ৩৯৫টি উপজেলা স্টোরে ‘সুখী’ ব্র্যান্ডের তৃতীয় প্রজন্মের বড়ি নেই। ৩৭টি উপজেলা স্টোরে এই উপকরণের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ‘সুখী’ ব্র্যান্ডের দ্বিতীয় প্রজন্মের খাবার বড়ি নেই ৩৯৫টি উপজেলা স্টোরে। ৩৭টি উপজেলা স্টোরে শিগগির বড়ি শেষ হয়ে যাবে। ‘আপন’ ব্র্যান্ডের বড়ি নেই ৩১৭টি উপজেলা স্টোরে। ৮৭টি উপজেলা স্টোরে দ্রুতই এর মজুত শূন্য হয়ে যাবে। আরও ৩৮টি উপজেলা স্টোরে মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন উপকরণের সমন্বয়ে তৈরি প্যাকেজ ‘ডিডিএস কিট’-এর ক্ষেত্রেও তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। দেশের ৪৮৪টি উপজেলা স্টোরে কোনো ডিডিএস কিট নেই। স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সাধারণ ডেলিভারি
কিট ৪৮৪টি উপজেলা স্টোরে মজুত শেষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, দেশের একটি শ্রেণির মানুষ পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর জন্য সরকারের ওপর নির্ভরশীল। মজুত সংকটের কারণে এই জনগোষ্ঠী বিপাকে পড়েছে। কনডম ও বড়ির সংকটে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বাড়লে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়বে, যা নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে এবং এটি মাতৃমৃত্যুর কারণও হতে পারে। এই সংকট অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. মনজুর হোসেন বলেন, আমরা চিন্তা করছি, তরুণদের নিয়ে কীভাবে প্রজনন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায়। কীভাবে পরিকল্পিত জনসংখ্যা গড়ে তোলা যায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন খাত থেকে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য তরুণদের কাজে লাগানোর কথা আসছে। আমরা এর আগেও অধিদপ্তর থেকে তরুণদের নিয়ে কাজ করছি।
প্রায় চার ভাগের এক ভাগই বর্তমানে শূন্য, যা সংখ্যায় ১১ হাজারের বেশি। এমন বাস্তবতায় বিশ্ব জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালিত হয় ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ শুক্রবার দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। পত্রিকাগুলো প্রকাশ করবে বিশেষ নিবন্ধ। আজ শুক্রবার হওয়ায় আগামী ১৪ জুলাই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরগুলো। জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা ৫০০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
ওই দিন বিশ্বের জনসংখ্যা পাঁচ বিলিয়নে পৌঁছানোর ঘটনা থেকে এই দিবসের ধারণা আসে। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনা পরিষদ এ দিবসটি পালন শুরু করে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গসমতা, দারিদ্র্য, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মতো জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্থায়ী উপকরণ সামগ্রীর সরবরাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসব উপকরণের মজুদ সীমিত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ইনজেকশন ও চলমান পদ্ধতির উপকরণ কনডম ও বড়ি এবং কিটের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে বাজারে বেসরকারি কোম্পানির বিভিন্ন
উপকরণের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে নিম্নবিত্ত দম্পতিদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে অনীহা তৈরি হয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং উপকরণ বিতরণের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন পরিবারকল্যাণ সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মীদের সপ্তাহে চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের সঙ্গে আলোচনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিতরণ করার কথা। উপকরণ ঘাটতির কারণে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অনেকেই নিয়মিত বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। আবার যারা যাচ্ছেন; তারাও দম্পতিদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা ঘাটতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছেন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, উপকরণ সামগ্রীর ঘাটতি এতই বেশি যে,
গত ১৫ বছরে অধিদপ্তর এমন সংকটে পড়েনি। এর প্রভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারী দম্পতির মধ্যে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এই উপকরণের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পাবে। এতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের সূত্র বলছে, কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে ৩২ ধরনের (ক্যাটাগরি) কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করেন। তাদের মোট পদ ৪৮ হাজার ৮৭টি। তার মধ্যে বর্তমানে অন্তত ২৯ শতাংশ জনবল ঘাটতি আছে। এই বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাড়াই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারের সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সামগ্রীর মজুত কমে এসেছে। গতকাল ১০ জুলাই এই ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৩০০টি
উপজেলা স্টোরে কনডম নেই। আরও ৮৭টি উপজেলায় শিগগির মজুতশূন্য হবে। ৩৯৫টি উপজেলা স্টোরে ‘সুখী’ ব্র্যান্ডের তৃতীয় প্রজন্মের বড়ি নেই। ৩৭টি উপজেলা স্টোরে এই উপকরণের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। ‘সুখী’ ব্র্যান্ডের দ্বিতীয় প্রজন্মের খাবার বড়ি নেই ৩৯৫টি উপজেলা স্টোরে। ৩৭টি উপজেলা স্টোরে শিগগির বড়ি শেষ হয়ে যাবে। ‘আপন’ ব্র্যান্ডের বড়ি নেই ৩১৭টি উপজেলা স্টোরে। ৮৭টি উপজেলা স্টোরে দ্রুতই এর মজুত শূন্য হয়ে যাবে। আরও ৩৮টি উপজেলা স্টোরে মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন উপকরণের সমন্বয়ে তৈরি প্যাকেজ ‘ডিডিএস কিট’-এর ক্ষেত্রেও তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। দেশের ৪৮৪টি উপজেলা স্টোরে কোনো ডিডিএস কিট নেই। স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সাধারণ ডেলিভারি
কিট ৪৮৪টি উপজেলা স্টোরে মজুত শেষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, দেশের একটি শ্রেণির মানুষ পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর জন্য সরকারের ওপর নির্ভরশীল। মজুত সংকটের কারণে এই জনগোষ্ঠী বিপাকে পড়েছে। কনডম ও বড়ির সংকটে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ বাড়লে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়বে, যা নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে এবং এটি মাতৃমৃত্যুর কারণও হতে পারে। এই সংকট অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. মনজুর হোসেন বলেন, আমরা চিন্তা করছি, তরুণদের নিয়ে কীভাবে প্রজনন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায়। কীভাবে পরিকল্পিত জনসংখ্যা গড়ে তোলা যায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্ন খাত থেকে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য তরুণদের কাজে লাগানোর কথা আসছে। আমরা এর আগেও অধিদপ্তর থেকে তরুণদের নিয়ে কাজ করছি।