
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘২৬ জনের বদলে ২৬০০ মুসলিমকে হত্যা করব’, ভিডিওবার্তায় গো রক্ষা দলের সদস্য

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় আলোচনা শেষ, জানা গেল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ভারতকে নিরপেক্ষ তদন্তে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাকিস্তানের

ইসরাইলের মতো ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ভারতও

চতুর্থ দফায় গড়াল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের পর ভারতীয় বিমানের জন্য বিশেষ নির্দেশনা

গাজায় খাদ্য মজুত শেষ
‘লিপস্টিক অভ্যুত্থান’, ব্রাজিলীয় নারীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া এক দাঙ্গার সময় একটি মূর্তির গায়ে লিপস্টিক দিয়ে অপমানজনক বার্তা লেখার ঘটনায় এক নারীকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
ডেবোরা রদ্রিগেস নামের ওই নারী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর শত শত সমর্থকের সঙ্গে ওই দাঙ্গায় অংশ নেন।
দাঙ্গার সময় হাজার হাজার বোলসোনারো সমর্থক নির্বাচনে তার পরাজয়ের প্রতিবাদে সরকারি ভবনগুলোতে হামলা চালায়।
ক্রিস্টিয়ানো জানিন নামে মামলার পাঁচ বিচারকের মধ্যে এক বিচারপতি উল্লেখ করেন, তাকে (ডেবোরা) কেবল গ্রাফিতি আঁকার জন্যই বিচার করা হয়নি; বরং একাধিক অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেবোরা ওই সময় নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিউ
লুলা দ্য সিলভার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে চলমান এক বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে সম্পত্তি ধ্বংস, অপরাধী সংগঠনের সদস্যপদ এবং অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সি এই হেয়ারড্রেসার আদালতে দুঃখ প্রকাশ করে ও ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি সুপ্রিম ফেডারেল কোর্টের বাইরে ন্যায়বিচারের একটি মূর্তির গায়ে ‘তুমি হারিয়ে ফেলেছো, বোকা’ লিখেছিলেন। তার সেই প্রতিবাদ-ই পরে ‘লিপস্টিক অভ্যুত্থান’ নামে পরিচিতি পায়। তবে ডেবোরা দাবি করেন, তিনি কোনো সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি একজন সৎ নাগরিক। আমি প্রতিবাদে গিয়েছিলাম। তবে ভাবিনি যে পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আমি জীবনে কখনো কোনো অবৈধ
কাজ করিনি’। ৩৯ বছর বয়সি এই এই নারীর আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তিনি দাঙ্গার সময় কোনো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেননি এবং ‘ক্ষণিকের আবেগে’ কাজটি করেছেন। তিনি তার কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। মামলার রায়ে বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস বলেন, ডেবোরা ‘সচেতনভাবে এবং স্বেচ্ছায়’ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। তিনি আরও জানান, ডেবোরা পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষ্যে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি তার ফোনে বার্তা মুছে ফেলারও প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা তথ্য লুকানোর চেষ্টা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে মামলাটি এখন বোলসোনারো সমর্থকদের প্রতিবাদের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তারা দাবি করছে, ডেবোরা রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার এবং সুপ্রিম কোর্ট খুব বেশি
ক্ষমতাশালী ও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ডেবোরার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো নিজেও এক পোস্টে তার জন্য সাধারণ ক্ষমা দাবি করেন। এদিকে বোলসোনারো নিজেও অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ৪০ বছরেরও বেশি সময় কারাদণ্ড হতে পারে।
লুলা দ্য সিলভার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগে চলমান এক বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসেবে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে সম্পত্তি ধ্বংস, অপরাধী সংগঠনের সদস্যপদ এবং অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সি এই হেয়ারড্রেসার আদালতে দুঃখ প্রকাশ করে ও ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি সুপ্রিম ফেডারেল কোর্টের বাইরে ন্যায়বিচারের একটি মূর্তির গায়ে ‘তুমি হারিয়ে ফেলেছো, বোকা’ লিখেছিলেন। তার সেই প্রতিবাদ-ই পরে ‘লিপস্টিক অভ্যুত্থান’ নামে পরিচিতি পায়। তবে ডেবোরা দাবি করেন, তিনি কোনো সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি একজন সৎ নাগরিক। আমি প্রতিবাদে গিয়েছিলাম। তবে ভাবিনি যে পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আমি জীবনে কখনো কোনো অবৈধ
কাজ করিনি’। ৩৯ বছর বয়সি এই এই নারীর আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তিনি দাঙ্গার সময় কোনো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেননি এবং ‘ক্ষণিকের আবেগে’ কাজটি করেছেন। তিনি তার কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। মামলার রায়ে বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস বলেন, ডেবোরা ‘সচেতনভাবে এবং স্বেচ্ছায়’ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। তিনি আরও জানান, ডেবোরা পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষ্যে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এমনকি তার ফোনে বার্তা মুছে ফেলারও প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা তথ্য লুকানোর চেষ্টা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে মামলাটি এখন বোলসোনারো সমর্থকদের প্রতিবাদের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তারা দাবি করছে, ডেবোরা রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার এবং সুপ্রিম কোর্ট খুব বেশি
ক্ষমতাশালী ও পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ডেবোরার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে মার্চে সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো নিজেও এক পোস্টে তার জন্য সাধারণ ক্ষমা দাবি করেন। এদিকে বোলসোনারো নিজেও অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ৪০ বছরেরও বেশি সময় কারাদণ্ড হতে পারে।