ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
হাসিনাকে সহজে ফেরত দেবে না ভারত
সচিবালয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিবৃতি
ঘুরেফিরে সেই আটজনই স্বাস্থ্যের কেনাকাটায়
সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা, বেসরকারি পাসও বাতিল
সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থি গ্রুপের দ্বন্দ্ব, সতর্ক অবস্থানে যৌথ বাহিনী
ফজলুল আমীন জাভেদকে হন্যে হয়ে খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা?
রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও মেলায় ছুটি রিসোর্ট, এক রুম বিক্রি হচ্ছে বহু ব্যক্তির কাছে
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত আবাসন মেলার পর্দা নামছে আজ। গত ২৩ ডিসেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বিআইসিসিতে পাঁচদিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়।
এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে ২২০টি স্টল, যেখানে উপস্থিত রয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আবাসন কোম্পানি, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নির্মাণসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর মাঝে সদস্য না হয়েও প্রথম বারের মতো আবাসন মেলায় জায়গা করে নিয়েছে ছুটি গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। রিহ্যাবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শুধু প্রচারণার কাজে স্টল ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে গ্রাহকদের বিনিয়োগের জন্য বলা হচ্ছে।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রয়েছে ছুটি গ্রুপের একটি প্রোজেক্ট যেখানে একটি ভিলা বা রুম বিক্রি হচ্ছে বহু
বিনিয়োগকারীর কাছে। রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও বিনিয়োগকারীদের নিকট দাবি করা হচ্ছে সদস্য হিসেবে। বৃহস্পতিবার রিহ্যাবের আবাসন মেলায় ৪২ নং স্টলে দেখা যায় ছুটি রিসোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের দেখলেই লিফলেট নিয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। তারা জানান বর্তমানে ছুটির পূর্বাচল, গাজিপুর ছাড়াও কুয়াকাটা এবং কক্সবাজারের মেরিনড্রাইভ সড়কে রয়েছে ছুটির প্রোজেক্ট। কক্সবাজার প্রজেক্ট সম্পর্কে জানাতে চাইলে স্টলে থাকা বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, কক্সবাজার টেকনাফের এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কের জাহাজ পুরায় তৈরি হচ্ছে ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজার। যেখানে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিনিময়ে বিনিয়োগকারীরা পাবেন সাবকবলাসহ মালিকানা বুঝে নেওয়ার সুযোগ। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা বলেন, ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজার সাড়ে ৩
হাজার শেয়ার মার্কেটে ছাড়ছে যার প্রতিটি শেয়ারর মূল সাড়ে ৬ লাখ টাকা। পহেলা জানুয়ারি ২০২৫ সাল থেকে শেয়ারের মূল্য হবে ৭ লাখ টাকা। রিসোর্টের ভিলাতে বিনিয়োগ করতে হলে লাগবে ১০ লাখ টাকা। যা আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে হবে ১২ লাখ টাক। বিনিময়ে বিনিয়োগকারীরা কী পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, আজীবন জমি ও রিসোর্টের এর মালিকানা। বিনিয়োগের উপর বার্ষিক ১৫-২০% মুনাফা। (শেয়ার প্রতি বাৎসরিক ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত)। সহজ কিস্তি বা এককালীন ক্রয়ের সুবিধা। সকল "ছুটি রিসোর্ট" এ আজীবন ৫০% ছাড়ে থাকার সুযোগ। ভবিষ্যতে শেয়ারের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। সাফ কবলা দলিলে রেজিস্ট্রেশন।
সাড়ে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে একজন গ্রাহক কতটুকু জমি পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ৯ স্কয়ার ফিট জমিতে এবং ২০ স্কয়ার ফিট কনস্ট্রাকশনে। সে হিসাবে প্রতি স্কয়ার ফিট জমি বিনিয়োগকারীদের নিকট ছুটি বিক্রি করছে ৭২ হাজার ২২ টাকায়। অপরদিকে একেকটি ভিলা ছুটি বিক্রি করছে ৩ কোটি টাকায়। একটি ভিলা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করছে ৩০ জন বিনিয়োগকারীর নিকট। যার প্রতিটি শেয়ার মূল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকায়। বিষয়টি নিয়ে ছুটি রিসোর্ট প্রমোশনাল অফিসার মুর্শেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা রিহ্যাবের সদস্য এখনও পাইনি আবেদন করেছি। আবাসন মেলায় আমরা মূল প্রতিষ্ঠানের প্রমোশনের জন্য গিয়েছি। আমাদের স্টলে
শুধু পূর্বাচল এবং গাজিপুর প্রজেক্টের বিষয়ে প্রচারণা হয়। রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও সদস্য দাবি করা এবং রিহ্যাবের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা স্টলে আছেন তারা নতুন তাই বিষয়টি জানেন না। তারা শুধু গাজীপুর এবং পূর্বাচলের বিষয়ে কাজ করছেন। কেউ কক্সবাজার বা কুয়াকাটার প্রজেক্টের বিষয়ে কাজ করছেন না। বিষয়টি নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আবাসন মেলায় রিহ্যাবের সদস্য ছাড়াও আমরা কিছু স্টল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দিয়েছিলাম প্রচারণার কাজে ব্যবহার করার জন্য। তার মধ্যে ছুটি রিসোর্টও রয়েছে। তারা শুধু প্রচারণা চালাতে পারবেন। ছুটির প্রতিনিধিরা স্টলে বুকিং এবং
চুক্তির বাহিরে কাজ করছেন বিষয়টি তার দৃষ্টিতে আনলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রশিদ বাবু কথা বলবেন। পরবর্তীতে রশিদ বাবুর সঙ্গে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজারের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা রিহ্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য মৌখিকভাবে কথা বলেছি। এখনও আবেদন করিনি। আমরা শিগগিরই সদস্য পদ পাব। আবাসন মেলায় কক্সবাজারের রিসোর্টের বুকিং এবং নিজেদের সদস্য দাবি করে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবো।
ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজারের কাজ ২০২৭ সালে শেষ করার কথা থাকলেও দেখা যায়। এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছুটি যে মানের রিসোর্ট তৈরির কথা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে তা শেষ করতে কমপক্ষে ৫-৭ বছর সময় লাগবে। বর্তমানে তাদের তাদের কাজ যতটুকু এগিয়েছে তাতে করা বলা যায় কমপক্ষে আরও ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে সম্পন্ন করতে। মেলায় আগত বিনিয়োগকারীরা বলছেন রিহ্যাব একটি আস্থার জায়গা। আমরা এ সেক্টরে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যাচাই করে দেখি প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা। এভাবে রিহ্যাবকে কেউ ব্যবহার করে প্রতারণা করলে এর কিছু দায়ভার রিহ্যাবেরও থাকে। জানা যায় কক্সবাজারে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রির নামে প্রতারণা করছে নিয়মিত। অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৪-১০ লাখ টাকায় প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে কক্সবাজারের হোটেলের। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীরা লাভতো দূরের কথা। বিনিয়োগের টাকাও ফেরত পান না তারা। এ সব বিষয় নিয়ে ভুগছে অনেক জমির মালিকরা। কক্সবজারের লাবনি পয়েন্ট থেকে শুরু করে ইনানী পর্যন্ত বহু হোটেল রিসোর্টের কাজ শেষ না করেই পালিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। জমির মালিকদের সঙ্গে জমি বায়না করে কাজ শেষ না করেই হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে জমির মালিকদের। সূত্র জানায়, কক্সবাজারে ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের এই প্রতারণাটি স্থানীয়ভাবে ‘টাইম শেয়ারিং’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারা নামমাত্র মালিকানা দিলেও পুরো বিষয়টিই অবৈধ। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বছর শেষে মুনাফা পাওয়া তো দূরের কথা, উলটো তাদের আসল টাকা খোয়াতে হচ্ছে। কক্সবাজারে বড় বড় একাধিক হোটেল অনেক আগে থেকে এই টাইম শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করে। তাদের মূল টার্গেট থাকে প্রবাসী, কালো টাকার মালিক। এ ছাড়া মধ্যবিত্তদের আকর্ষণ করতে ১ থেকে ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলার এই ফাঁদ পাতা হয়। ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলা মালিকানার এই চটকদার বিজ্ঞাপনে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এ ধরনের মালিকানা সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে এখন পর্যন্ত হাজারো অভিযোগ জমা পড়েছে। চলছে মামলা মোকদ্দমা। প্রতারণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাদের এই প্রতারণা সম্পর্কে শেয়ার হোল্ডাররা একজন আরেক জনের বিষয়টি কখনোই জানতে পারেন না। এভাবে একটি হোটেলের মালিকানা হিসেবে হাজার হাজার শেয়ার বিক্রি হচ্ছে। যাদের কেউ কাউকে পরস্পর চেনেন না। একই শেয়ার পুনরায় আরেক গ্রুপের কাছে সাফ কবলা বলে বিক্রি করা হয়। শেয়ার মালিকদের বছর শেষে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ দেখানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকসান দেখিয়ে ভবিষ্যৎ প্রকল্প এবং মেইনটেইনেন্স হিসেবে আসল টাকা রেখে দিয়ে বছরের পর বছর ঘোরানো হয়।
বিনিয়োগকারীর কাছে। রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও বিনিয়োগকারীদের নিকট দাবি করা হচ্ছে সদস্য হিসেবে। বৃহস্পতিবার রিহ্যাবের আবাসন মেলায় ৪২ নং স্টলে দেখা যায় ছুটি রিসোর্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের দেখলেই লিফলেট নিয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা। তারা জানান বর্তমানে ছুটির পূর্বাচল, গাজিপুর ছাড়াও কুয়াকাটা এবং কক্সবাজারের মেরিনড্রাইভ সড়কে রয়েছে ছুটির প্রোজেক্ট। কক্সবাজার প্রজেক্ট সম্পর্কে জানাতে চাইলে স্টলে থাকা বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, কক্সবাজার টেকনাফের এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কের জাহাজ পুরায় তৈরি হচ্ছে ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজার। যেখানে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিনিময়ে বিনিয়োগকারীরা পাবেন সাবকবলাসহ মালিকানা বুঝে নেওয়ার সুযোগ। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা বলেন, ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজার সাড়ে ৩
হাজার শেয়ার মার্কেটে ছাড়ছে যার প্রতিটি শেয়ারর মূল সাড়ে ৬ লাখ টাকা। পহেলা জানুয়ারি ২০২৫ সাল থেকে শেয়ারের মূল্য হবে ৭ লাখ টাকা। রিসোর্টের ভিলাতে বিনিয়োগ করতে হলে লাগবে ১০ লাখ টাকা। যা আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে হবে ১২ লাখ টাক। বিনিময়ে বিনিয়োগকারীরা কী পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, আজীবন জমি ও রিসোর্টের এর মালিকানা। বিনিয়োগের উপর বার্ষিক ১৫-২০% মুনাফা। (শেয়ার প্রতি বাৎসরিক ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত)। সহজ কিস্তি বা এককালীন ক্রয়ের সুবিধা। সকল "ছুটি রিসোর্ট" এ আজীবন ৫০% ছাড়ে থাকার সুযোগ। ভবিষ্যতে শেয়ারের মূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। সাফ কবলা দলিলে রেজিস্ট্রেশন।
সাড়ে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে একজন গ্রাহক কতটুকু জমি পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ৯ স্কয়ার ফিট জমিতে এবং ২০ স্কয়ার ফিট কনস্ট্রাকশনে। সে হিসাবে প্রতি স্কয়ার ফিট জমি বিনিয়োগকারীদের নিকট ছুটি বিক্রি করছে ৭২ হাজার ২২ টাকায়। অপরদিকে একেকটি ভিলা ছুটি বিক্রি করছে ৩ কোটি টাকায়। একটি ভিলা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করছে ৩০ জন বিনিয়োগকারীর নিকট। যার প্রতিটি শেয়ার মূল নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকায়। বিষয়টি নিয়ে ছুটি রিসোর্ট প্রমোশনাল অফিসার মুর্শেদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা রিহ্যাবের সদস্য এখনও পাইনি আবেদন করেছি। আবাসন মেলায় আমরা মূল প্রতিষ্ঠানের প্রমোশনের জন্য গিয়েছি। আমাদের স্টলে
শুধু পূর্বাচল এবং গাজিপুর প্রজেক্টের বিষয়ে প্রচারণা হয়। রিহ্যাবের সদস্য না হয়েও সদস্য দাবি করা এবং রিহ্যাবের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা স্টলে আছেন তারা নতুন তাই বিষয়টি জানেন না। তারা শুধু গাজীপুর এবং পূর্বাচলের বিষয়ে কাজ করছেন। কেউ কক্সবাজার বা কুয়াকাটার প্রজেক্টের বিষয়ে কাজ করছেন না। বিষয়টি নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, আবাসন মেলায় রিহ্যাবের সদস্য ছাড়াও আমরা কিছু স্টল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দিয়েছিলাম প্রচারণার কাজে ব্যবহার করার জন্য। তার মধ্যে ছুটি রিসোর্টও রয়েছে। তারা শুধু প্রচারণা চালাতে পারবেন। ছুটির প্রতিনিধিরা স্টলে বুকিং এবং
চুক্তির বাহিরে কাজ করছেন বিষয়টি তার দৃষ্টিতে আনলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রশিদ বাবু কথা বলবেন। পরবর্তীতে রশিদ বাবুর সঙ্গে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজারের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা রিহ্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য মৌখিকভাবে কথা বলেছি। এখনও আবেদন করিনি। আমরা শিগগিরই সদস্য পদ পাব। আবাসন মেলায় কক্সবাজারের রিসোর্টের বুকিং এবং নিজেদের সদস্য দাবি করে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবো।
ছুটি রিসোর্ট কক্সবাজারের কাজ ২০২৭ সালে শেষ করার কথা থাকলেও দেখা যায়। এখন পর্যন্ত ৫ শতাংশ কাজও শেষ করতে পারেনি। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছুটি যে মানের রিসোর্ট তৈরির কথা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে তা শেষ করতে কমপক্ষে ৫-৭ বছর সময় লাগবে। বর্তমানে তাদের তাদের কাজ যতটুকু এগিয়েছে তাতে করা বলা যায় কমপক্ষে আরও ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে সম্পন্ন করতে। মেলায় আগত বিনিয়োগকারীরা বলছেন রিহ্যাব একটি আস্থার জায়গা। আমরা এ সেক্টরে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যাচাই করে দেখি প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা। এভাবে রিহ্যাবকে কেউ ব্যবহার করে প্রতারণা করলে এর কিছু দায়ভার রিহ্যাবেরও থাকে। জানা যায় কক্সবাজারে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রির নামে প্রতারণা করছে নিয়মিত। অনেক ভুক্তভোগীর অভিযোগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৪-১০ লাখ টাকায় প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করে কক্সবাজারের হোটেলের। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীরা লাভতো দূরের কথা। বিনিয়োগের টাকাও ফেরত পান না তারা। এ সব বিষয় নিয়ে ভুগছে অনেক জমির মালিকরা। কক্সবজারের লাবনি পয়েন্ট থেকে শুরু করে ইনানী পর্যন্ত বহু হোটেল রিসোর্টের কাজ শেষ না করেই পালিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। জমির মালিকদের সঙ্গে জমি বায়না করে কাজ শেষ না করেই হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে জমির মালিকদের। সূত্র জানায়, কক্সবাজারে ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের এই প্রতারণাটি স্থানীয়ভাবে ‘টাইম শেয়ারিং’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তারা নামমাত্র মালিকানা দিলেও পুরো বিষয়টিই অবৈধ। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বছর শেষে মুনাফা পাওয়া তো দূরের কথা, উলটো তাদের আসল টাকা খোয়াতে হচ্ছে। কক্সবাজারে বড় বড় একাধিক হোটেল অনেক আগে থেকে এই টাইম শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করে। তাদের মূল টার্গেট থাকে প্রবাসী, কালো টাকার মালিক। এ ছাড়া মধ্যবিত্তদের আকর্ষণ করতে ১ থেকে ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলার এই ফাঁদ পাতা হয়। ৫ লাখ টাকায় সাফ কবলা মালিকানার এই চটকদার বিজ্ঞাপনে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এ ধরনের মালিকানা সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে এখন পর্যন্ত হাজারো অভিযোগ জমা পড়েছে। চলছে মামলা মোকদ্দমা। প্রতারণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাদের এই প্রতারণা সম্পর্কে শেয়ার হোল্ডাররা একজন আরেক জনের বিষয়টি কখনোই জানতে পারেন না। এভাবে একটি হোটেলের মালিকানা হিসেবে হাজার হাজার শেয়ার বিক্রি হচ্ছে। যাদের কেউ কাউকে পরস্পর চেনেন না। একই শেয়ার পুনরায় আরেক গ্রুপের কাছে সাফ কবলা বলে বিক্রি করা হয়। শেয়ার মালিকদের বছর শেষে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লাভ দেখানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকসান দেখিয়ে ভবিষ্যৎ প্রকল্প এবং মেইনটেইনেন্স হিসেবে আসল টাকা রেখে দিয়ে বছরের পর বছর ঘোরানো হয়।