রাজনীতি করতেন না তবুও ছাত্রদলের শহিদের তালিকায় জবির সাজিদ! – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাজনীতি করতেন না তবুও ছাত্রদলের শহিদের তালিকায় জবির সাজিদ!

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৬ 62 ভিউ
জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সেই তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের পরিবার বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে নাম প্রকাশ করা হয়। তবে সাজিদের পরিবার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে তার পরিবার থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪২ জনের ছবিসহ এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকার ১২৯ নম্বরে সাজিদের নাম ও শহিদ হওয়ার বিবরণ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু ১৩০ নম্বরে মোক্তাদির রহমান নামে এক শহিদের নামের সঙ্গে সাজিদের ছবি ব্যবহার করা হয়। এই তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পরই তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়

ক্যম্পাস জুড়ে। সাজিদের পরিবার ও সহপাঠীদের দাবি, সাজিদ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এমনকি সাজিদের পরিবারও কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত নয়। এমনকি শহিদের তালিকা প্রস্তুতের আগে সাজিদের পরিবারের কারও সঙ্গে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান সাজিদের বড় বোন মোসা. ফারজানা। সাজিদের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকার কথা জানিয়ে তার সহপাঠী মাহমুদুল হাসান ইমন বলেন, গতকাল (সোমবার) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জুলাই আন্দোলনে বিএনপি দলীয় শহিদদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের নামের পাশে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে ‘ছাত্র-পারিবারিকভাবে বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত’। বিএনপি মহাসচিবের পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে সাজিদের পরিবারের সঙ্গে

আমার কথা হয়েছে। সাজিদের সঙ্গে আমার সাত বছরের বন্ধুত্ব। সাজিদের পরিবার বলেন আর সাজিদ বলেন, কোনো ধরনের রাজনীতির আশপাশে ছেলেটা বা তার পরিবার ছিল না। এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বলেন, আমাদের কাছে সাজিদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো একজন শিক্ষার্থী হিসেবে। তাছাড়া সাজিদ ‘শহীদ’ হয়েছে। ‘শহীদ’ এর চেয়ে আর কোনো বড় পরিচয় হতে পারে না। যেকোনো তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা দরকার ছিল। এ বিষয়ে সাজিদের বাবা জিয়াউল হক বলেন, সাজিদ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আমাদের পরিবারের কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না। আমরা

দিন আনি দিন খাই। আমাদের সঙ্গে তালিকা তৈরির বিষয়েও কেউ যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। শহিদ ইকরামুল হক সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা চলাকালে ৪ আগস্ট মিরপুর এলাকায় গুলিবদ্ধি হন ইকরামুল হক সাজিদ। তার মাথার পেছন থেকে বুলেটটি চোখের পেছনে এসে আটকে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট সাজিদ মারা যান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: নগদের মাধ্যমে সরকারি ভাতার ১৭১১ কোটি টাকা উধাও দশ মাস পর মা-ছেলের আবেগঘন পুনর্মিলন করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ নির্দেশনা জারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইউরোপীয় সংগঠনগুলোর চিঠি: ইউনূস-সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বান জনগণ চায় একটি পক্ষপাতহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে বন্ধু ছাত্রদল নেতার গুলি, যুবদল কর্মী নিহত সুন্দর ড্রেস পরা ম্যাক্সিমাম মেয়েরা মাদকের সাথে জড়িত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ, গোপনে পেছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ ইউনূসের লাইফস্টাইল টিপস: মুটিয়ে যাওয়ার চিন্তায় চিন্তায় আরও মুটিয়ে যাচ্ছেন? করণীয় কী? নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? প্রাথমিকভাবে ৮ হাসপাতালে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীর ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ১২৩ ডিসিসির নগর ভবনে তালা, মশা নিয়ন্ত্রণের বৈঠক ওয়াসা ভবনে জামায়াত-শিবির পেটানোর ঘোষণা ছাত্র ফেডারেশন নেতা শুভ দের চার ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভরা মঞ্চে দলের নেতাকে মালা পরিয়ে সপাটে চড় মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। Video Player is loading. Close PlayerUnibots.com সুহেলদেব স্বাভিমান দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভরকে তার দলেরই এক কর্মী, ব্রিজেশ রাজভর, মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 1 ‘রাম সেবক ইউপি’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার জৌনপুর জেলায় একটি ভূমিপূজা ও মহারাজা সুহেলদেবের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান চলছিল। মঞ্চে অন্যান্যদের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন দলের সভাপতি মহেন্দ্র রাজভর। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাকে মালা পরানোর জন্য মঞ্চে ওঠেন দলের কর্মী ব্রিজেশ। মালা পরানোর পরই আকস্মিকভাবে তিনি মহেন্দ্র রাজভরের গালে পর পর চড় মারতে শুরু করেন। ঘটনার পর মহেন্দ্র রাজভর ব্রিজেশের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিউইয়র্ক কি ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে? সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মহেন্দ্র রাজভর জানান যে, ভূমিপূজার সময় ব্রিজেশ তাকে মালা পরিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, যখন তার বক্তৃতা করার পালা এসেছিল, তখনই ব্রিজেশ তাকে বেশ কয়েকবার চড় মারেন। মহেন্দ্রের আরও অভিযোগ, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির নেতা এবং যোগী আদিত্যনাথের সরকারের মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের নির্দেশেই ব্রিজেশ এই হামলা চালিয়েছেন। তবে, মহেন্দ্রের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিজেশ। পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় মহেন্দ্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।” এই ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে এটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মালা পরিয়েই নেতাকে ইচ্ছেমতো থাপড়ালেন কর্মীরা! ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি আল-কায়েদার এসএসসির ফল প্রকাশ কবে -জানালেন ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান