রপ্তানি খাতে ইডিএফ সংকট – ইউ এস বাংলা নিউজ




রপ্তানি খাতে ইডিএফ সংকট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:০৮ 110 ভিউ
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ কমিয়ে দেওয়ায় বড় অঙ্কের এলসি খুলতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। একদিকে ডলার সংকটের কারণে উদ্যোক্তারা নতুন এলসি খুলতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত ডলারের জোগান পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ইডিএফ থেকেও ব্যাংকগুলোর নতুন ঋণের জোগান চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রপ্তানি খাতে বড় অঙ্কের এলসি খুলতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ডলারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে কাঁচামাল আমদানিতে বিলম্ব ঘটছে। সংশ্লিষ্ট এলসির বিপরীতে রপ্তানিতেও দেরি হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানি খাতে। জানা গেছে, করোনার সময় রপ্তানি খাতকে উৎসাহিত করতে তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭০০ কোটি ডলার করা হয়। একইসঙ্গে সুদের হার কমিয়ে

২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এতে রপ্তানিকারকরা এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে সহজে এবং কম সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণের জোগান পেতেন। ফলে দ্রুত এলসি খুলে কম সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি করে রপ্তানি করতে পারতেন। কিন্তু গত বছরের গোড়ার দিকে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির সময় তারা রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ করার শর্ত আরোপ করে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফ তহবিলের আকার ছোট করার সিদ্ধান্ত নেয়। একদিকে সুদের হার বৃদ্ধি, অন্যদিকে তহবিল থেকে ঋণের জোগান কমিয়ে দেওয়ায় রপ্তানিকারকদের খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনি ডলার প্রাপ্তিতেও সমস্যা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই

রপ্তানি খাত নিরুৎসাহিত হয় এমন সিদ্ধান্ত কাঙ্ক্ষিত নয়। আগে ব্যাংক নিজস্ব উৎস থেকে ডলারের জোগান দিয়ে দ্রুত এলসি খুলত; পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল থেকে সমপরিমাণ ডলার ঋণ হিসাবে নিয়ে নিত। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে এ নিয়ম থেকে সরে আসে ব্যাংকগুলো। নির্ভরশীলতা বাড়ে ইডিএফ তহবিলের ওপর। কিন্তু তহবিল ছোট করে ফেলায় রপ্তানিকারকদের জন্য সংকট আরও বেড়েছে। এক্ষেত্রে ঋণের সুদ বৃদ্ধি কিংবা তহবিল হ্রাস নয়, বরং রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের মতো যেসব অপচেষ্টা ডলার সংকটের জন্য দায়ী, তা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ বিতরণ হ্রাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে, এটাই

প্রত্যাশা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যুক্তরাষ্ট্রে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন’র আত্মপ্রকাশ তসলিমা নাসরিনের সাহসি উচ্চারণ:মৌলবাদিদের গুরু ইউনূসকে না সরালে দেশের উন্নতি হবে না ডিসির আপত্তিকর ভিডিওকাণ্ডে তদন্ত কমিটি আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানি হামলার নিন্দা জানাল কাতার ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনে কানাডার সহযোগিতা চায় জামায়াত ১৮তম নিবন্ধনের সংশোধিত ফল প্রকাশ, নতুন বিতর্ক শুরু চিকুনগুনিয়া বিষয়ে সতর্ক বার্তা, ১৪০ জনের শরীরে শনাক্ত করোনায় একদিনে ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯ ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ডিএমপির ৩ সহকারী কমিশনারকে বদলি সিরিয়ার গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ২৫ গায়ে কাপনের কাপড় জড়িয়ে শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল মাঠ প্রশাসনে ইসরায়েলসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিই এখন ইরানের টার্গেট কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবার ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাতার এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ইরানে আবারো হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র? যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল