যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জুন, ২০২৫ | ৭:০৩ 31 ভিউ
ফোর্দো ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও বিতর্কিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। বর্তমানে এটি ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে হামলা চালিয়ে স্থাপনাটির উপরিভাগ ধ্বংস করেছে। ফোর্দো-তেও হামলা করেছে ইসরাইল। তবে এর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খবর আল-জাজিরার। ফোর্দো ঘিরে উদ্বেগ এবং প্রশ্ন উঠেছে — এই স্থাপনাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ধ্বংস করতে পারবে কি না? চলুন জেনে নেই বিস্তারিত: ফোর্দো’র কার্যক্ষমতা ও ইতিহাস এর অবস্থান ইরানের কুম শহর থেকে ৩০ কিমি উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ের ৮০ মিটার নিচে অর্থাৎ এটি একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এটি প্রথমে ইসলামি

বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সামরিক ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে ইরান আইএইএ -কে জানায় যে তারা এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে রূপান্তর করছে। ২০১১ সাল নাগাদ ইরান এখানে ২০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএইএ এক গোপন পরিদর্শনে দেখতে পায়, ফোর্দোতে ৮৩.৭% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে— যা অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি (৯০%)। তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলে আইএইএ। তবে ইরান বলেছে, এটি সাবোটাজ বা ষড়যন্ত্রের ফলাফল, ইচ্ছাকৃত নয়। ফোর্দো কি ধ্বংসযোগ্য? বর্তমান প্রযুক্তিতে ইসরাইলের পক্ষে ভূগর্ভস্থ এ স্থাপনাটি ধ্বংস করা কঠিন। একমাত্র উপায় হতে পারে কম্যান্ডো অভিযান চালিয়ে ভিতরে বিস্ফোরক স্থাপন— যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

Massive Ordnance Penetrator (MOP) নামের ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা রয়েছে, যা ফোর্দোর মত স্থাপনাও ধ্বংস করতে পারে। এ বোমা বি-২ বোমার মাধ্যমে প্রয়োগযোগ্য। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, লড়াই করতে চাই না, তবে পরমাণু অস্ত্র রোধে যা প্রয়োজন তাই করব। পরিণতি কী হতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় জড়ায়। ফোর্দোতে আঘাত মানে চুক্তি, কূটনীতি ও শান্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইরান পাল্টা আঘাত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, নরকের দরজা খুলে যাবে। যদি এ স্থাপনায় আঘাত হানে পশ্চিমা জোট, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে

পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে এখনো শুল্ক দিতে হবে ৩৬.৫% দৌলতপুরে মহিলা আ.লীগের নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ ফেসবুক লাইভে এসে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী নেত্রী লিজার রাফাল ধ্বংসে চীনা প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার পাকিস্তানের যেভাবে ‘তীব্র আকাশযুদ্ধে’ ভারতের রাফাল ভূপাতিত করে পাকিস্তান সৌদিতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ, তবুও পিছিয়ে পড়তে পারেন বাংলাদেশি কর্মীরা পাকিস্তানে খনিজ তেলের বিশাল ভাণ্ডার : ডোনাল্ড ট্রাম্প এনসিপি, ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মসূচি ঘিরে ডিএমপির নির্দেশনা ট্রাম্পের তোপে চরম অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি ডিবি পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ, ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫ শিশু নিহত কাবার ইমামের সতর্ক বার্তা এক্সপ্রেসওয়ের ছুটে চলা – থেমে গেল দুই তরুণের জীবন বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলে ঢাকাগামী ৭২ বিমান যাত্রী যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলো ৩৯ বাংলাদেশি পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়ায় রুপান্তর করে চলছে মাসিক চাঁদাবাজি বেনাপোল বন্দর: এক বছরে ভ্রমণ রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি ‘বরবাদ’ নির্মাতার বিরুদ্ধে অভিনেত্রী দোয়েলের পারিশ্রমিক না দেওয়ার অভিযোগ টটেনহ্যাম ছাড়ার ঘোষণা এশিয়ান ফুটবলের নায়ক সনের মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত