যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৯ জুন, ২০২৫
     ৭:০৩ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জুন, ২০২৫ | ৭:০৩ 66 ভিউ
ফোর্দো ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও বিতর্কিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। বর্তমানে এটি ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে হামলা চালিয়ে স্থাপনাটির উপরিভাগ ধ্বংস করেছে। ফোর্দো-তেও হামলা করেছে ইসরাইল। তবে এর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খবর আল-জাজিরার। ফোর্দো ঘিরে উদ্বেগ এবং প্রশ্ন উঠেছে — এই স্থাপনাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ধ্বংস করতে পারবে কি না? চলুন জেনে নেই বিস্তারিত: ফোর্দো’র কার্যক্ষমতা ও ইতিহাস এর অবস্থান ইরানের কুম শহর থেকে ৩০ কিমি উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ের ৮০ মিটার নিচে অর্থাৎ এটি একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এটি প্রথমে ইসলামি

বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সামরিক ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে ইরান আইএইএ -কে জানায় যে তারা এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে রূপান্তর করছে। ২০১১ সাল নাগাদ ইরান এখানে ২০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএইএ এক গোপন পরিদর্শনে দেখতে পায়, ফোর্দোতে ৮৩.৭% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে— যা অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি (৯০%)। তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলে আইএইএ। তবে ইরান বলেছে, এটি সাবোটাজ বা ষড়যন্ত্রের ফলাফল, ইচ্ছাকৃত নয়। ফোর্দো কি ধ্বংসযোগ্য? বর্তমান প্রযুক্তিতে ইসরাইলের পক্ষে ভূগর্ভস্থ এ স্থাপনাটি ধ্বংস করা কঠিন। একমাত্র উপায় হতে পারে কম্যান্ডো অভিযান চালিয়ে ভিতরে বিস্ফোরক স্থাপন— যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

Massive Ordnance Penetrator (MOP) নামের ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা রয়েছে, যা ফোর্দোর মত স্থাপনাও ধ্বংস করতে পারে। এ বোমা বি-২ বোমার মাধ্যমে প্রয়োগযোগ্য। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, লড়াই করতে চাই না, তবে পরমাণু অস্ত্র রোধে যা প্রয়োজন তাই করব। পরিণতি কী হতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় জড়ায়। ফোর্দোতে আঘাত মানে চুক্তি, কূটনীতি ও শান্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইরান পাল্টা আঘাত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, নরকের দরজা খুলে যাবে। যদি এ স্থাপনায় আঘাত হানে পশ্চিমা জোট, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে

পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সনিক টিউনার কুয়াশার দাপটে বাড়ছে শীতের অনুভূতি আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ডিনের প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এনএসআই’র ১৩ কর্মকর্তার সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে দুদক দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা হয়নি: জয়সওয়াল ফয়সাল ও সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য ৬ শান্তিরক্ষীর অশ্রুসজল বিদায় পারাপারের সময় ফেরি থেকে পড়ে নদীতে ডুবল ৫ যান, ৩ জনের মৃত্যু মহাখালীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন আহত ছায়ানটে হামলা: ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ৪০০ বছর পর চিঠি বিলি বন্ধ করছে ড্যানিশ পোস্ট অফিস দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুক হামলা, নিহত ১০ নজিরবিহীন অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরায়েল, শীর্ষ ক্রেতা কারা চুম্বন বিতর্কে রাকেশ বললেন, এসব হাস্যকর অবয়ব থেকেই নির্ধারণ হবে রোগীর চিকিৎসা শীতে খসখসে হাত পায়ের যত্ন নেবেন যেভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউবে কথা বলবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরেই হাদিকে সরিয়েছে’— মির্জা আব্বাসের দিকে ইঙ্গিত জামায়াত আমিরের ভিডিও প্রমাণ: ময়মনসিংহে গণপিটুনিতে নিহত হিন্দু যুবক পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন, কারখানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি