যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জুন, ২০২৫ | ৭:০৩ 42 ভিউ
ফোর্দো ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও বিতর্কিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। বর্তমানে এটি ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে হামলা চালিয়ে স্থাপনাটির উপরিভাগ ধ্বংস করেছে। ফোর্দো-তেও হামলা করেছে ইসরাইল। তবে এর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খবর আল-জাজিরার। ফোর্দো ঘিরে উদ্বেগ এবং প্রশ্ন উঠেছে — এই স্থাপনাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ধ্বংস করতে পারবে কি না? চলুন জেনে নেই বিস্তারিত: ফোর্দো’র কার্যক্ষমতা ও ইতিহাস এর অবস্থান ইরানের কুম শহর থেকে ৩০ কিমি উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ের ৮০ মিটার নিচে অর্থাৎ এটি একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এটি প্রথমে ইসলামি

বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সামরিক ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে ইরান আইএইএ -কে জানায় যে তারা এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে রূপান্তর করছে। ২০১১ সাল নাগাদ ইরান এখানে ২০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএইএ এক গোপন পরিদর্শনে দেখতে পায়, ফোর্দোতে ৮৩.৭% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে— যা অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি (৯০%)। তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলে আইএইএ। তবে ইরান বলেছে, এটি সাবোটাজ বা ষড়যন্ত্রের ফলাফল, ইচ্ছাকৃত নয়। ফোর্দো কি ধ্বংসযোগ্য? বর্তমান প্রযুক্তিতে ইসরাইলের পক্ষে ভূগর্ভস্থ এ স্থাপনাটি ধ্বংস করা কঠিন। একমাত্র উপায় হতে পারে কম্যান্ডো অভিযান চালিয়ে ভিতরে বিস্ফোরক স্থাপন— যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

Massive Ordnance Penetrator (MOP) নামের ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা রয়েছে, যা ফোর্দোর মত স্থাপনাও ধ্বংস করতে পারে। এ বোমা বি-২ বোমার মাধ্যমে প্রয়োগযোগ্য। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, লড়াই করতে চাই না, তবে পরমাণু অস্ত্র রোধে যা প্রয়োজন তাই করব। পরিণতি কী হতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় জড়ায়। ফোর্দোতে আঘাত মানে চুক্তি, কূটনীতি ও শান্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইরান পাল্টা আঘাত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, নরকের দরজা খুলে যাবে। যদি এ স্থাপনায় আঘাত হানে পশ্চিমা জোট, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে

পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চাকসু নির্বাচন: দ্বিতীয় দিনে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশুর লাশ ‘সরকারি বেতন-রেশন খাস না, গুলি করবি না কেন?’ প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি, তালিকা প্রকাশ একদিনে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক টানা ৫ দিন বৃষ্টির আভাস সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানো সম্ভব নয়: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ চায় জেন-জি গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিল নেপালের জেন-জিরা ইসরাইলকে রুখতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায় জর্ডান প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন হানিয়া আমির ওমানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে আমিরাতের জয় মালয়েশিয়ায় হালাল শোতে বাংলাদেশ, আসিয়ান বাজারে রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা স্টারলিংক ইন্টারনেটে বিশ্বজুড়ে সাময়িক বিভ্রাট চার ‘কুতুবের’ হাতে জিম্মি ইআবির নিয়োগ-প্রশাসন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর ও আগুন মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বান ইরানের নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু আমেরিকার সঙ্গে জোট কখনো এত শক্তিশালী ছিল না : নেতানিয়াহু