যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ জুন, ২০২৫ | ৭:০৩ 12 ভিউ
ফোর্দো ইরানের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও বিতর্কিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর একটি। বর্তমানে এটি ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পারমাণবিক দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে হামলা চালিয়ে স্থাপনাটির উপরিভাগ ধ্বংস করেছে। ফোর্দো-তেও হামলা করেছে ইসরাইল। তবে এর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। খবর আল-জাজিরার। ফোর্দো ঘিরে উদ্বেগ এবং প্রশ্ন উঠেছে — এই স্থাপনাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র এটিকে ধ্বংস করতে পারবে কি না? চলুন জেনে নেই বিস্তারিত: ফোর্দো’র কার্যক্ষমতা ও ইতিহাস এর অবস্থান ইরানের কুম শহর থেকে ৩০ কিমি উত্তর-পূর্বে একটি পাহাড়ের ৮০ মিটার নিচে অর্থাৎ এটি একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনা। এটি প্রথমে ইসলামি

বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সামরিক ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে ইরান আইএইএ -কে জানায় যে তারা এটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে রূপান্তর করছে। ২০১১ সাল নাগাদ ইরান এখানে ২০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএইএ এক গোপন পরিদর্শনে দেখতে পায়, ফোর্দোতে ৮৩.৭% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে— যা অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি (৯০%)। তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলে আইএইএ। তবে ইরান বলেছে, এটি সাবোটাজ বা ষড়যন্ত্রের ফলাফল, ইচ্ছাকৃত নয়। ফোর্দো কি ধ্বংসযোগ্য? বর্তমান প্রযুক্তিতে ইসরাইলের পক্ষে ভূগর্ভস্থ এ স্থাপনাটি ধ্বংস করা কঠিন। একমাত্র উপায় হতে পারে কম্যান্ডো অভিযান চালিয়ে ভিতরে বিস্ফোরক স্থাপন— যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে

Massive Ordnance Penetrator (MOP) নামের ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা রয়েছে, যা ফোর্দোর মত স্থাপনাও ধ্বংস করতে পারে। এ বোমা বি-২ বোমার মাধ্যমে প্রয়োগযোগ্য। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেছেন, লড়াই করতে চাই না, তবে পরমাণু অস্ত্র রোধে যা প্রয়োজন তাই করব। পরিণতি কী হতে পারে? মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলায় জড়ায়। ফোর্দোতে আঘাত মানে চুক্তি, কূটনীতি ও শান্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইরান পাল্টা আঘাত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে, নরকের দরজা খুলে যাবে। যদি এ স্থাপনায় আঘাত হানে পশ্চিমা জোট, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যাপী এক ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে

পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলা প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার আহবায়ক কমিটি গঠন ত্বক ফর্সাকারী ২২ ব্র্যান্ডের ক্রিমে ক্ষতিকর পারদ জামায়াতের অবস্থানে হঠাৎ পরিবর্তন কেন? ট্রাম্পের পাকিস্তানপ্রীতি: ‘সাময়িক বন্ধুত্ব’ নাকি ‘নয়া কৌশল’? ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট চকরিয়া ও পেকুয়ায় গ্রেফতার ২৭ টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করবে বিসিবি কণ্ঠহীনদের জন্য প্রযুক্তির বিস্ময়, মস্তিষ্ক পাঠ করে কথা বলছে এআই কেন আলিয়ার কাছ থেকে করণকে চুরি করতে চান ওয়ামিকা ইলেকটোরাল পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট তিন সীমান্তে ৩০ জনকে পুশইন ভারি বর্ষণ-সমুদ্রের জোয়ারে বাঁশখালীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দুই পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া দণ্ডিত আসামি গ্রেফতার পুষ্টিগুণে ভরপুর সজনেপাতার গুঁড়ো যেভাবে খাবেন বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে বদলে ফেলুন লাইফস্টাইল ৩৬৮ রান খরচ করে টাইগারদের শিকার ৪ উইকেট লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম ইরানের হামলায় তেলআবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?