ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মাদুরো যেভাবে ব্যর্থ করছেন ভবিষ্যদ্বাণী
এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি
অস্ত্র সমর্পণের জন্য নতুন শর্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের
যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন সারাহ কুক
গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবি, নিহত ১৮
ভারতের গোয়ার নাইটক্লাবে বড় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২৩
ভারতে থাকা না-থাকার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার: এস জয়শঙ্কর
যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্রই তালেবানের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি
২০২১ সালে আফগানিস্তান ছাড়ার সময় কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা অবকাঠামো রেখে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখন সেগুলোই তালেবানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি সংস্থা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবর অনুসারে, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল ও ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানেও দেখা গেছে, ওই অস্ত্রের কিছু অংশ ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন টিটিপির (তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান) হাতে চলে গেছে। ফলে পাকিস্তানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সেই গোষ্ঠী আরও শক্তিশালী হয়েছে।
স্পেশাল ইন্সপেক্টর জেনারেল ফর আফগানিন্তান রিকন্সট্রাকশন (এসআইজিএআর) নামের মার্কিন সংস্থার প্রকাশিত ১৩৭ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র প্রায়
১৪ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যই পূরণ হয়নি। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, আফগান তালেবান এখনও টিটিপিকে লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানে টিটিপির হাতে পাওয়া কমপক্ষে ৬৩টি অস্ত্রের সিরিয়াল নম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে, তারা আফগানিস্তানে প্রায় ৭১০ কোটি ডলার সমমূল্যের সরঞ্জাম রেখে গেছে। যার মধ্যে ছিল– হাজার হাজার যানবাহন, লাখ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র, নাইট ভিশন যন্ত্র এবং ১৬০টির বেশি উড়োজাহাজ। এসব অস্ত্র এখন পাকিস্তানের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসআইজিএআরের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য
অবকাঠামো, যানবাহন, অস্ত্র ও পরিবহনে তিন হাজার ১২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। দেশটি আফগান বাহিনীর জন্য ৯৬ হাজার স্থলযান, চার লাখ ২৭ হাজার অস্ত্র, ১৭ হাজার ৪০০ নাইট ভিশন ডিভাইস এবং কমপক্ষে ১৬২টি বিমান কিনেছে। ২০২১ সালে আফগান সরকার পতনের ঠিক আগে আফগান বিমানবাহিনীর কাছে ১৩১টি মার্কিন উড়োজাহাজ ছিল। এখন এর প্রায় সবই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া ঘাঁটি, সদরদপ্তর ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানাতে আরও এক হাজার ১৫০ কোটি ডলার খরচ হয়েছিল। এগুলোর বেশির ভাগই এখন তালেবানের হাতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা দুর্নীতিবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী নেতাদের ওপর ভরসা করেছিল। এ পদক্ষেপ বিদ্রোহী নিয়োগ বাড়িয়েছে এবং
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে। অপচয়, প্রতারণা ও অপব্যবহারের কারণে মোট দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৯২০ কোটি ডলার নষ্ট হয়েছে। মানবিক ক্ষতি ছিল আরও ভয়াবহ দুই দশকে আফগানিস্তানে ১০ হাজারের বেশি আফগান এবং দুই হাজার ৪৫০ জনের বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরে আসে তালেবান। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৩৮৩ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এ তথ্য দেখায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দেশটি মানবিক সংকটে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসআইজিএআরের প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা দেখায়, দুর্বল রাষ্ট্র পুনর্গঠনে এত বড় প্রকল্প চালানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যর্থ হতে পারে। এই ব্যর্থতা এখন
পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।
১৪ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো লক্ষ্যই পূরণ হয়নি। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, আফগান তালেবান এখনও টিটিপিকে লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দিচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানে টিটিপির হাতে পাওয়া কমপক্ষে ৬৩টি অস্ত্রের সিরিয়াল নম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নিশ্চিত করেছে, তারা আফগানিস্তানে প্রায় ৭১০ কোটি ডলার সমমূল্যের সরঞ্জাম রেখে গেছে। যার মধ্যে ছিল– হাজার হাজার যানবাহন, লাখ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র, নাইট ভিশন যন্ত্র এবং ১৬০টির বেশি উড়োজাহাজ। এসব অস্ত্র এখন পাকিস্তানের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এসআইজিএআরের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য
অবকাঠামো, যানবাহন, অস্ত্র ও পরিবহনে তিন হাজার ১২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। দেশটি আফগান বাহিনীর জন্য ৯৬ হাজার স্থলযান, চার লাখ ২৭ হাজার অস্ত্র, ১৭ হাজার ৪০০ নাইট ভিশন ডিভাইস এবং কমপক্ষে ১৬২টি বিমান কিনেছে। ২০২১ সালে আফগান সরকার পতনের ঠিক আগে আফগান বিমানবাহিনীর কাছে ১৩১টি মার্কিন উড়োজাহাজ ছিল। এখন এর প্রায় সবই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া ঘাঁটি, সদরদপ্তর ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানাতে আরও এক হাজার ১৫০ কোটি ডলার খরচ হয়েছিল। এগুলোর বেশির ভাগই এখন তালেবানের হাতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা দুর্নীতিবাজ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী নেতাদের ওপর ভরসা করেছিল। এ পদক্ষেপ বিদ্রোহী নিয়োগ বাড়িয়েছে এবং
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছে। অপচয়, প্রতারণা ও অপব্যবহারের কারণে মোট দুই হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার ৯২০ কোটি ডলার নষ্ট হয়েছে। মানবিক ক্ষতি ছিল আরও ভয়াবহ দুই দশকে আফগানিস্তানে ১০ হাজারের বেশি আফগান এবং দুই হাজার ৪৫০ জনের বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরে আসে তালেবান। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৩৮৩ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এ তথ্য দেখায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দেশটি মানবিক সংকটে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এসআইজিএআরের প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা দেখায়, দুর্বল রাষ্ট্র পুনর্গঠনে এত বড় প্রকল্প চালানো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যর্থ হতে পারে। এই ব্যর্থতা এখন
পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।



